ভূপৃষ্ঠের ৭০.৯ শতাংশই হল জল। পৃথিবীতে যাবতীয় জীবনের লক্ষণ প্রকাশের জন্যে জল অপরিহার্য। পৃথিবীতে পাওয়া বেশিরভাগ জলই সাগর বা মহাসাগরের। এছাড়াও ভূপৃষ্ঠের নীচের ভৌমজল (প্রায় ১.৬ শতাংশ) এবং খুবই নগন্য পরিমাণে (০.০০১ শতাংশ) বায়ুমণ্ডলের জলীয় বাষ্প, মেঘ ও অধঃক্ষেপ পৃথিবীতে জলের অন্যতম উৎস। সমুদ্রের জলই ভূপৃষ্ঠে পাওয়া জলের মূল উৎস (প্রায় ৯৭ শতাংশ); এছাড়া হিমবাহ ও মেরুদেশীয় বরফ (প্রায় ২.৪ শতাংশ) এবং নদী, হ্রদ ও জলাশয় ভূপৃষ্ঠের জলের অন্যতম উৎস (প্রায় ০.৬ শতাংশ)। ভূপৃষ্ঠে পাওয়া জলের খুব সামান্য অংশ বিভিন্ন জীবদেহ এবং তা থেকে উৎপন্ন পদার্থগুলিতে থাকে।
বেদে জল সম্পর্কে কি বলা হয়েছে তা দেখ
... বিস্তারিত
হিন্দু দেবদেবীর মুর্তি ভাংগা নতুন কোন ঘটনা না। যে কোন হিন্দু পুরান পড়লে আপনি দেখবেন সেখানে রাক্ষস ও অসুর দানব কুল নির্বিচারে দেব দেবীর মূর্তি ভেংগে সাধু-সন্ন্যসী দের প্রান নাশ করে মহা আনন্দে বিজয় উল্লাস করে। এমনও অনেক কাহিনী আছে যেখানে অসুর নায়ক নিজেই ঘোষনা দেয় যে তিনিই ভগবান, তিনিই সর্ব শক্তিমান। সবার কাছে তার স্বীকৃতির জন্য অসুর কুল ঘোষনার অপেক্ষায় থাকতো। যদি কোন ব্যক্তি অসুর কুলকে স্বীকৃতির ঘোষনা না দিত মানে তাকে সর্বশ্রেষ্ঠ , মহান হিসেবে মুখে না বলতো তবে তার কল্লা তরবারির আঘাতে উড়াইয়া দিত। এরকম ভাবে পৃথিবীতে নানা রকম অসুর জন্মনিত আর নানা রকম অত্যাচার করার পাশাপাশি মূর্তি পূজারিদের মূর্তি ভাংগতো মনের আনন্দে।
প্রতিবারই দেখা যেত বিষ্ণু রুপি ভগবান নানা রুপে আর্বিভাব হয়ে অসুর ক
... বিস্তারিত
শুম্ভ ও নিশুম্ভ হলেন দুইজন হিন্দু পৌরাণিক চরিত্র। শাক্ত ধর্মগ্রন্থ দেবীমাহাত্ম্যম্ অনুযায়ী, এঁরা হলেন অসুর ভ্রাতৃদ্বয়। দেবী দুর্গার সঙ্গে এঁদের যুদ্ধ হয়েছিল; এবং যুদ্ধের শেষে এঁরা দেবীর হস্তেই পরাজিত ও নিহত হয়েছিলেন। জন স্ট্র্যাটন হাউলে ও ডোনা মেরি উলফের মতে, শুম্ভ ও নিশুম্ভ হলেন ঔদ্ধত্য ও অহংকারের প্রতীক, যাঁরা দেবীর বিনয় ও প্রজ্ঞার নিকট পরাস্ত হন
দেবীমাহাত্ম্যম্
দেবীমাহাত্ম্যম্ গ্রন্থের পঞ্চম অধ্যায় থেকে শুম্ভ ও নিশুম্ভের কাহিনির সূচনা। এই দুই ভাই ত্রিলোক অধিকার করার বাসনায় কঠোর তপস্যা করার সিদ্ধান্ত নেন।তাঁরা পুষ্কর নামে এক পবিত্র ক্ষেত্রে গিয়ে এক হাজার বছর তপস্যা করেন। তাঁদের তপস্
... বিস্তারিত
বৎসর কে বারটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রতি ভাগকে এক একটি মাস
বলা হয়। প্রতি মাসে ২টি পক্ষ, একটি কৃষ্ণ পক্ষ অপরটি শুক্লপক্ষ। প্রতিপদ
তিথি হইতে অমাবস্যাকে বলা হয় কৃষ্ণ পক্ষ, আবার প্রতি পদ হইতে পূর্ণীমাকে
বলা হয় শুক্ল পক্ষ। বৎসরে ২৪টি পক্ষ আছে, তন্মধ্যে ২টি পক্ষ বিশেষ
তাৎপর্য্যপূর্ণ। প্রথমটি পিতৃপক্ষ ও দ্বিতীয়টি দেবীপক্ষ। আশ্বিনের কৃষ্ণ
পক্ষের তিথীকে বলা হয় মহালয়া। এই কৃষ্ণ পক্ষকে বলা হয় অপরপক্ষ কিংবা
পিতৃপক্ষ। পিতৃপক্ষে স্বর্গত পিতৃপুরুষের উদ্দেশ্যে পার্বন শ্রাদ্ধ ও তর্পন
করা হয়। যমালয় থেকে মর্ত্যলোকে এ সময় পিতৃ পুরুষেরা আসেন। তাদেরকে তৃপ্ত
করার জন্য তিল, জল, দান করা হয়। এবং তাহাদের যাত্রাপথকে আলোকিত করার জন্য
... বিস্তারিত