হিন্দু দেবদেবীর মুর্তি ভাংগা নতুন কোন ঘটনা না। যে কোন হিন্দু পুরান পড়লে আপনি দেখবেন সেখানে রাক্ষস ও অসুর দানব কুল নির্বিচারে দেব দেবীর মূর্তি ভেংগে সাধু-সন্ন্যসী দের প্রান নাশ করে মহা আনন্দে বিজয় উল্লাস করে। এমনও অনেক কাহিনী আছে যেখানে অসুর নায়ক নিজেই ঘোষনা দেয় যে তিনিই ভগবান, তিনিই সর্ব শক্তিমান। সবার কাছে তার স্বীকৃতির জন্য অসুর কুল ঘোষনার অপেক্ষায় থাকতো। যদি কোন ব্যক্তি অসুর কুলকে স্বীকৃতির ঘোষনা না দিত মানে তাকে সর্বশ্রেষ্ঠ , মহান হিসেবে মুখে না বলতো তবে তার কল্লা তরবারির আঘাতে উড়াইয়া দিত। এরকম ভাবে পৃথিবীতে নানা রকম অসুর জন্মনিত আর নানা রকম অত্যাচার করার পাশাপাশি মূর্তি পূজারিদের মূর্তি ভাংগতো মনের আনন্দে।
প্রতিবারই দেখা যেত বিষ্ণু রুপি ভগবান নানা রুপে আর্বিভাব হয়ে অসুর কুলের সবংশে ধ্বংশ করে দিত। আবার কোন কোন সময় শুধু অসুরটিকে বধ করেই তিনি পৃথিবী থেকে তিরোধান হতেন। অনেক সময় তিনি আর্বিভাব না হয়েই একাজটি সমাধান করে ফেলতেন। একবার নারদ মুনি নামক ভগবান ভোলানাথের কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন হে ভগবান অসুর কুল মর্তলোকে যে এত অত্যাচার করছে দেবদেবীর মূর্তি ভেংগে আনন্দ উল্লাস করছে তার প্রতিকার আপনি কেন করছেন না? কেন আপনি অসুর কুল কে শাস্তি প্রদান করছেন না যখন তারা এটি করে? আপনার এই দেরী করার কারণ কি?আপনার অসুবিধাটা কি? তখন ভগবান ভোলনাথ বলেন নারদমুনি কে " ধৈয্য ধারণ কর হে নারধ অসুর কুলের পাপের ঘড়া মানে পাপের কলসি এখনো ভরে নাই , যেদিন অসুর কুলের পাপের কলসি ভরে যাবে সেদিন অসুর কুল দেখবে সমূলে মানে বংশসহ ধ্বংশ হয়ে যাবে।” এখানে সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় অসুর ,মানব,দেবতা সকলেরই পূজিত ভগবান ভোলানাথ। বাবা ভোলানাথ সবসময় অসুর কুলকে রক্ষা করতেন।দেবী কালীর পায়ের নিচে পর্যন্ত তিনি অবস্থান নিয়েছিলেন অসুর কুল কে বাঁচাতে। তবে অসুর কুল বাবা ভোলানাথের শিব লিঙ্গ পূজা করতো না তার মূর্তি তারা নির্মান করে রেখে দিত।
বর্তমান পৃথিবীতে ঐ সমস্ত মহাপরাক্রম শালী অসুর দেখা যায় না। এখন দেখা যায় অতন্ত্য নিন্মমানের অসুর । তেমনই এক নিম্ন মানের অসুর জন্ম নিয়েছিল মরুর বুকে সে অসুর নিজেকে ভগবান বলে ঘোষনা দেওয়ার সাহস পায় নাই কাফের নামক এক মহান জাতির ভয়ে। এই নিম্ন মানের অসুর যখন কাফের কুলের মুর্তি ভেংগে অসুরের এক ছোটখাট রাজ্য তৈরী করলো । তারপর অসুর কুলের অত্যাচারে অনেক কাফের এদিক ওদিক দৌড়ে পালিয়ে গেল । আর যারা ছিল তারা ঘোষনা দিল অসুর মহান তিনি সর্বশ্রেষ্ঠ। এভাবে বেশ কিছু দিন যেতে না যেতেই সেই অসুর নায়ক এক সুন্দরী ইহুদী নাড়ী দেখে তার বাড়িতে সদলবলে গেল । সেই ইহুদি নাকি ভগবান ভোলানাথের কাছে তপস্যা করে এক বাটি বিষ এনেছিল । সেই বিষ নাকি তার চেলাদেরকে পান করিয়ে যমের দূয়ারে পৌছে দিয়েছিল তার পর অনেক পরে নাকি সেই নিম্নমানের অসুরটার মৃত্যু ঘটে ছিল। মৃত্যু ঘটার আগে নাকি অসুরটা এই কাহিনী তার সন্তান ও সহচরদের কাছে বয়ান করে গিয়েছিল যা আজ বিভিন্ন বই পুস্তক পড়ে জানা যায়। তারপর আরও জানা যায় সেই অসুরের নাকি একমাত্র আদরের জামাই অন্য অসুরদের দ্বারা আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। মারা যায় অসুর রাজত্বের মালিকানা নিয়ে। অসুরে নাকি দুইটি ছেলে হয়েছিল সেটিও মারা যায় অসুখে খুব অল্পবয়সে। তারপর একই ভাবে সেই অসুরের নাতি-পুতিরাও নাকি মারা যায় কারবালা নামক এক স্থানে। এভাবে একালের মুর্তি ভাংচুর কারী অসুররে বংশ শেষ হয়ে যায়।
অধুনকিকালে আমরা অরেক ধরেণর অসুর দেখতে পাই । তারা বাম পন্থী অসুর নামে পরিচিত । তাদের জন্ম বরফের দেশে। তাদের মধ্যে যিনি এই অসুর রাজ্য স্থাপন করেন তিনি আবার এই সব মূর্তি ভাংগার কাজ কাম পছন্দ করতেন না কিন্তু তার সহযোগী অসুর গণ মনের আনন্দে এসব কাজ করতেন । তিনি একদিন হঠাৎ মাথা ঘুড়ে পড়ে মারা যান তার মারা যাওয়ার পর সাম্রাজ্ঞ্য চলে বেশ কিছু দিন। তারপর নানা কষ্টে দাারিদ্রতার মাঝে তার রাজ্য ভেংগে খান খান হয়ে যায়। এখন তারা মুর্তি বন্দনা করে রাজ্য চালাইতেছেন। মনে হয় ইশ্বর তাদের মাফ করে দিয়েছেন। এবার আসি মধ্য এশিযার আফগানিস্থানের বামিয়ান নামক এক জায়গায় অরেক অসুর কুলের কথায় উনি তার পূর্ব পূরুষের স্মৃতিচারণ করিতে গিয়ে মূর্তির শরীরে ডিনামাইট বাধিয়া প্রতিদিন একটু একটু করিয় মুর্তি ভাংগেন আর মনের উল্লাসে নাচিতে থাকেন পাশাপাশি টিভি চ্যনেলে রের্কড পাঠাইয়া নানা রকম বার্তা শুণাইয়া নিজের বীরত্ব প্রকাশ করেন। ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস ছয় মাস যেতে না যেতেই সেই মুর্তি ভাংগার দল এক রাতে পাহারের গুহায় আটকে পড়া অবস্থায় সলিল সমাধি ঘটে। এখন তারা একটু একটু করিয়া নি:শেষ হইতেছে।
এবার তাকাই নিজের দেশের মুর্তি ভাংচুর কারি অসুরদের দিকে। শুরু করি ২৫ শে মার্চের কাল রাত্রি থেকে।
পাকিজাত অসুরেরা ট্যাংক কামান নিয়ে আসলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয় নামক এক এলাকাতে । প্রথম দিনেই তারা ট্যাংকের গোলা দিয়ে মহাকালিকার মন্দিরটি উড়াইয়া দিল। তারপর পুরোহিতদের হত্যাকরল। কি হল পরর্বতীতে পাকি অসুররের সদলবলে পরাজিত হল মুর্তিপূজারিদের কাছে। তৎকালীন পকি প্রধান অসুরদ্বয়ের কি মর্মান্তিক পরিনতিই না হল। সেই অসুরের বংশ তো কিছুদিন আগে পুরোপুরি শেষ হয়ে গেল। ফিরে আসি স্বাধীন দেশের কথায় স্বাধীন দেশের স্বাধীন প্রেসিডেন্ট মহাকালিকার সেই মন্দিরটি সংস্কার করতে বাধা দেন । তৎকালীন তার মন্ত্রিসভার লোকেরা এ সম্পর্কিত ফাইল মাটিতে ছুড়ে ফেলে দেন এবং অশালীন মন্তব্য করেন তৎকালীন মূতিপজাকারীদের সাথে। তার কিছুদিন পরই সেই মহান অসুর সবংশে শেষ হয়ে যায়। তারপর আসল আরেক অসুর উনি মুর্তিভাংগচুরে বিশ্বাসী ছিলেন না কিন্তুু মূর্তি ভাংচুর কারীদের খুব কদর করতেন। যতদূর জানি উনি মূর্তি ভাংচুর কারি দলের সাথে নাকি বিশ্বাসঘতকতা করেছিলেন তাই তাকে নির্মম ভাবে শাস্তি পেতে হয়।
এবার আসি আরেক লম্পট নারী লোলুপ অসুরের দিকে তার নেতৃত্ব অনেক মূর্তি ভাংচুর হয়। তারপর আবার সেই তিনি মূর্তি ভাংগার জন্য মাফ চেয়ে পরর্বতীতে নিজের কোষাগার থেকে অর্থ বরাদ্ধ করে মূর্তি অবার যথাযথ স্থানে গড়ে দেন। কিন্তু তার পরিনাম কি তা সবার কছে পরিস্কার। তার বংশ বলে কিছু নাই আরেক ব্যটার ছাওয়াল কে নিজের ছাওয়াল বলে পরিচয় দেয়। জেল খাটা জনধিকৃত এক মাত্র অসুর। ১৯৯০ সালে আমার এলাকাতে যেসব অসুর মূর্তি ভেংগেছিল তাদের পারিনাম আমি নিজ চোখে দেখেছি। যে অসুর গুলি কালি মূর্তিটি ধরেছিল তার নায়ক কিছুদিন পরে রাস্তায় সর্ব লোকে সামনে মুখদিয়ে রক্তবমি করতে করতে মারা গিয়ে ছিল। আর তারা সাংগ পাংগরা রাস্তার ম্যানহলে পড়ে নর্দমার সাথে মিশে ধীরে ধীরে মারা গিয়েছিল। তারা কেহই আজ জীবিত নাই।
মূর্তিপূজারীরা কেহই পুতুল পূজা করে না । পুতুল জিনিস কি আমরা তা জানি। যা খেলনার দোকানে পাওয়া যায় বাচ্চার যাকে নিয়ে খেলা করে। মূর্তিপূজা করে মূর্তি পূজারীরা হাজার বছর ধরে এ সংসারে টিকে আছে। মিথ্যা হলে এতদিন এটা টিকতে পারতো না। আর যদি এই মূর্তিপূজা মিথ্যা হয়ে টিকে যায় জগৎ সংসারে তাহলে বলতে হয় সত্যের চাইতে মিথ্যার শক্তি বেশী।
ধর্মের কল বাতাসে নড়ে। খালেদা ডাইনি তার ক্যাডার দিয়ে ২০০১ এ অনেক মন্দির ভাংসে। ওর ফল ২০১০ এর ১৩ নভেম্বর হাতে নাতে পেয়েছে। ওকে যেভাবে বাড়িছাড়া করল ওর মুসলিম ভাইবনেরা।
অসুরদের প্রতিরোধ ও প্রতিশোধের ব্যবস্থা না থাকলে চলতেই থাকবে............................................................................ ....! দেশে ক্ষত্রিয় নাই। থুক্কু। আছে। জন্মসূত্রে। তাই তাদেরকে জত্রিয় বললেই ভাল শোনাবে মনে হয়। তবে ৩৩০০০ ভোল্টে রেখে জত্রিয় দের ক্ষত্রিয় বানানো অথবা নতুন করে ক্ষত্রিয় চাষের বিকল্প আছে কি?