বন্দর নগরী চট্টগ্রাম সব সময় শান্তি প্রিয় অঞ্চল হিসেবে প্রসিদ্ধ। কিন্তু গতকাল কে পাথর ঘাটায় যে দাঙ্গা হল তাতে শান্তির ধারা আর অব্যহত নেই
আসুন দেখে নেই কি ঘটেছিল গতকাল
খেলা নিয়ে কিছু ছেলে মেয়ের মাঝে মারামারি হয়। তখন এলাকার মুরুব্বিরা এক ছেলে কে মসজিদের পাশে বেধে রাখে। পরে সেই ছেলের পরিবারের লোকজন গিয়ে ছেলে কে ছাড়িয়ে নিয়ে আসে। সন্ধ্যায় লক্ষ্মী পুজা উপলক্ষে কিছু ছোট ছোট বাচ্চা বাজি ফুটিয়েছিল। যেখানে ফুটিয়েছিল সেই এলাকাটা হিন্দু প্রধান এলাকা। এর আগে ১৯৯২ এ দাঙ্গায় সেখানে কিছু ক্ষয় ক্ষতি হয়। কিন্তু গতকাল এই বাজি ফুটানো টা কাল হয়ে দাঁড়ায়। মসজিদের কিছুতা দূরে এই বাজি ফুটানো নিয়ে মসজিদে নামাজ পড়তে আসা কিছু মুসল্লি মারধোর করে সেই ছেলে গুলোকে। পরিনাম এ শুরু হয়ে যায় সেই ছেলে গুলোর পরিবারের সাথে মুসলমান দের মারা মারি। এবং এর পর পরই মসজিদের ইমাম ঘটনা রোধ না করে আরো উস্কে দেয়। তিনি নিজে মসজিদের মাইকে ঘোষনা দেয় যে হিন্দুরা মসজিদ আক্রমন করেছে। ফলে হটাত করে ছোট ঘটনা বড় হয়ে যায়। হাজার হাজার মুসলমান এক্ত্র হয়ে আক্রমণ করে হিন্দু পরিবার গুলোর উপর।জ্বালিয়ে দেয় ৬ টি ঘরবাড়ি। আহত হয় ২ জন সাংবাদিক সহ ৬০ জন। দুই পক্ষের এই মারামারি ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। কিছু উষ্কানি দাতা আক্রমন করে পাথর ঘাঁটা লোকনাথ মন্দির ও দুইটি কালী বাড়িতে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এলাকায় পুলিশ আর র্যাব ঘীরে রেখেছে সকল ধর্মীয় স্থান। দৈনিক পূর্ব কোন আর দৈনিক আজাদী ছাড়া এই বড় সংবাদটা ছাপায়নি কোন পত্রিকা।
এইভাবে দাঙ্গা যারা লাগায় তাদের উদ্দ্যেশে বলছি- তারা কেন এটা করল? তারা তো পারত ঘটনা থামিয়ে দিতে? কেন মসজিদের ইমাম মাইকে ঘোষনা দিল??
এখন এই ক্ষয়ক্ষতির দায় কে নেবে? এতগুলো মানুষ আহতের দায় কে নেবে??
খবর টা শুনে অনেক খারাপ লাগল,কিন্তু এটা ভেবেই ভাল লাগছে যে এটা খুব বেশিদূর গড়ায় নি।আপনেরা বলছেন যে কেন পত্রিকা গুলো এই খবর ছাপায় নি।না ছাপিয়ে কি ভাল কাজ করেনি তারা?? এই খবর যদি ছাপত তাহলে লিখত যে হিন্দুরা মসজিদ ভাঙ্গতে আসছিল,আর সারা দেশ এ মারামারি লেগে যেত।তাই এই অর্থে ভালই হয়েছে,তবুও আমরা সংখ্যা লঘু হয়ে এই ন্যায় বিচার পাওয়ার দাবি জানাই। মনে রাখবেন হরতাল কিন্তু হয় Media তে যখন ফলাও প্রচার হয়,এটা না হলে শুধু ঢাকাতেই হত।তাই ভাই এটা ফলাও করে প্রচার হয় নি এটাই ভাল হয়েছে
দয়া রাইখেন ভাই, এই অধমদের প্রতি, আর আল্লাহ তো আমাদের কথা শুনবেনা , আমাদের কানে ও মোহর করা তার কথা শুনিনা। তাই আমাদের হয়ে একটু দোয়া কইরেন আল্লাহর কাছে যেন আমরা সত্য কি জিনিস শিখতে পারি। আর সত্য টা যেন আপনারা মানতে পারেন এটা ও একটু বইলেন। ধন্যবাদ আমাদের সাইটে আসার জন্য ও কমেন্টের জন্য ।
সারা বাংলাদেশে হিন্দু পরিবার ও হিন্দু মন্দির ধ্বংসের প্রতিবাদে আগামী শুক্রবার ২১ শে অক্টোবর সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেস ক্লাব এর সামনে মানব বন্ধনের ডাক দিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু মহাজোট। সাথে জোট বদ্ধ হয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু ছাত্র মহাজোট, বাংলাদেশ হিন্দু যুব মহাজোট এবং বাংলাদেশ হিন্দু মহিলা মহা জোট। এই মানব বন্ধন একাত্মতা জানিয়ে দলে দলে এসে মানব বন্ধন কর্মসূচি সফল করুন।
আসুন আমরা প্রতিবাদ করি-এই বাংলাদেশে কোন হিন্দু পরিবারের উপর কোন নির্যাতন করা হবে- কোন মন্দির ও বিগ্রহ ভাংচুর হবে এটা আমরা মেনে নিতে পারিনা। আপনি হয়ত ভয় পাবেন। কিন্তু আপনি ভয় পেলেই নির্যাতন কারীরা আরও বেশী বেশী নির্যাতন করবে। তাই আসুন একাত্ম হই। এই সব নির্যাতনের প্রতিবাদ করি।
MUSHOLMAN RA ALLAR MAAL AR BANGLADESH ALLAR MOSHOLLA.....HINDU VAIERA , OI SOB ALLAR MAAL AR MOSHOLLA THEKE BACHTE CHAILE JE JEVHABE PARO OI DESH THEKE VHAGO WITH TOLPI-TOLPA(FAMILY). BEING A GENTLEMAN YOU CAN NOT LIVE WITH MUSHOLMAAN.