কয়েকদিন আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া একটি ভাষণের পর ধর্মপ্রাণ মুসলিম জাহানের মনে(নাকি পিছনে ???) চুলকানি ধরে গেল।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্গাপূজার উৎসব উপলক্ষে ভাষন দিতে গিয়ে বলেছেন-
“ আমরা জানি এবং শুনেছি মা দুর্গা প্রত্যেক বছর কোনো না কোনো বাহনে চড়ে আমাদের এ বসুন্ধরায় আসেন। এবার আমাদের দেবী এসেছেন গজে চড়ে। জানি, গজে চড়ে এলে এ পৃথিবী ধন-ধান্যে পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে—তা আমরা দেখতেই পাচ্ছি। এবার ফসল ভালো হয়েছে”
ব্যাস! শুরু হয়ে গেল তোলপাড়।
জাতীয় ফতোয়া বোর্ডের ৫০০১ মুফতি এক যৌথ বিবৃতিতে হিন্দুদের দুর্গা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানান। মুফতিগণ বলেন, ৯২% মুসলমানের এদেশে একজন মুসলিম প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্য আমরা আশা করি না। যে অশুভ শক্তি ও বামদের চাপে প্রধানমন্ত্রী এহেন ঈমান বিধ্বংসী বক্তব্য দিয়ে মুসলিম মিল্লাতকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন, বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশের ভাব-মর্যদা ক্ষুন্ন করেছেন। সে অশুভ শক্তিদের সম্পর্কে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে এখনী সর্তক হওয়া জরুরি।
এ বক্তব্য ঈমান বিনষ্টকারী সর্বনাশা বক্তব্য। এ বক্তব্য থেকে তাওবা করা জরুরি।
আমার ওতে কিছু যায় আসে না। ধর্ম ব্যাক্তিগত বিশ্বাসের ব্যপার। মুসলিমরা এটা বুজে না। তাই মুসলিম দেশে অমুসলিমদের উপর চলে ভয়াবহ নির্যাতন। এমনকি তারা নিজেরা নিজেদের মসজিদে বোমা ফাটাতে দ্বিধা করে না।
ওই মুফতিদের কাছে আমার প্রশ্নঃ
১। constitution এর শুরুতে 'বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম' অর্থ ঃ পরমকরুনাময় আল্লাহর নামে শুরু করছি।
২। ১৯৭৭ সাল থেকে ২০১১ পর্যন্ত সংবিধানে চার মূলনীতির মধ্যে ছিল সর্ব শক্তিমান আল্লাহ্র উপর পূর্ণ বিশ্বাস এবং আস্থা। এটা বাতিল করার ফলে মোল্লারা খেপেসে। হরতাল ডাকছে।
আমি হিন্দু। আল্লাহ্র উপর পূর্ণ বিশ্বাস এবং আস্থা দুটোর কোনটাই আমার নেই। আমি তাহলে কেন ওই মূলনীতি মানব? আমি কেন পরমকরুনাময় আল্লাহর নামে শুরু করব? এটা কি ইসলাম ধর্ম আমার ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে না? হাসিনার কথায় আপনারা খেপবেন আর আমাদের অমুসলিমদের উপর অবিচার আমরা কেন মেনে নিব?