শ্রীমদ্ভাগবত পুরাণ সংক্ষেপে ভাগবত আমাদের অন্যতম ধর্মগ্রন্থ। মহির্ষি বেদব্যাস এ পুরাণ রচান করেছেন। এত ১২টি অধ্যায় বা স্কন্ধ আছে। শ্রীকৃষ্ণের প্রিয় সখা অর্জুন, অর্জুনের পুত্র অভিমুন্য, অভিমুন্যের পুত্র রাজা পরীক্ষিৎ। ভাদ্র মাসে শুল্ক পক্ষের নবমী তিথিতে হরিণ শিকারের উদ্দেশ্যে বনে গিয়ে শিকার না পাওয়ার পর অত্যন্ত ক্লান্ত ও পিপাসার্ত হয়ে রাজা জল পানের উদ্দেশ্যে শমীক মুনির আশ্রমে যান। কিন্তু মুনি ধ্যানে ছিলেন বলে রাজা মুনিকে কিছু না বলে একটি মরা সাপকে মুনির গলায় জড়িয়ে দিয়ে আসেন। সন্ধ্যার সময় মুনির পুত্র শৃঙ্গি আশ্রমে এসে বাবার ঐ অবস্থা দেখে অভিশাপ দেন। যে আমার পিতার গলায় সাপ জড়িয়ে দিয়েছে সাত দিনের মধ্যে তক্ষকের দংশনে তার মৃত্যু হবে। এই ব্রাহ্মনের কথা মহারাজ পরীক্ষি জানতে পেরে পুত্র জন্মেজয়ের নিকট রাজ্যভার অর্পণ করে দীন কাঙ্গালবেশে হরিদ্বারে ব্যাসদেবের পুত্র শুকদেব গোস্বামীর নিকট সাত দিন হরিকথা ও ভাগবতীয় কথা শ্রবন করেন। এই হরিকথা নিয়েই ভাগবত। ভাগবত প্রসঙ্গক্রমে আরও অনেক কাহিনী এসেছে। তবে শ্রী কৃষ্ণ লীলাই এতে প্রধান হয়ে উঠেছে। ভাগবতে শ্রীকৃষ্ণের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত বিভিন্ন লীলার কথা বলা হয়ছে। শ্রীকৃষ্ণ মথুরার রাজা কংসের কারাগারে জন্মগ্রহন করেন, এবং ঐ রাত্রীতেই শ্রীকৃষ্ণের পিতা বসুদেব তাঁকে নন্দরাজের বাড়িতে রেখে আসেন। নন্দরাজের সদ্যজাত মেয়েকে নিয়ে এসে কংসের হাতে অর্পণ করেন। সেই থেকে শ্রীকৃষ্ণ বৃন্দাবনে যশোদার কোলে বগ হতে থাকেন। ঐ সময় থেকে মথুরার এসে কংস কে ব ধ করার পূর্ব পর্যন্ত শ্রীকৃষ্ণ বৃন্দাবনে ছিলেন। সেই বৃন্দাবনের দিনগুলো এবং মথুরায় এসে কংসকে বধ করে মথুরার রাজা হন। মথুরা ও বৃন্দাবনলীলা, রাসলীলা, যদুবংশের কীর্তি ও ধ্বংস প্রভৃতি ভাগবত পুরাণের বিষয়বস্তু। এ ছাড়া ব্রহ্মার সৃষ্টি, ধ্রুব চিরত, প্রহলাদ চরিত চন্দ্র ও সূর্য বংশের বিবরণ প্রভৃতি ভাগবতকে বর্ণিত হয়েছে।
ভাগবতে শ্রীকৃষ্ণ ভক্তের ভগবান হয়ে সকল উপাস্য দেবতারূপে পূজিত হন। তিনি সাধারণ মানুষের মত সকলের সংঙ্গে মিলেমিশে লীলা করেছেন বলে সকলের প্রাণের মধ্যে আসন করে নিয়েছেন। তাঁর বাল্য লীলার মধ্যে ‘দামবন্ধন’ যেমন চমৎকার তেমনি শিক্ষাপ্রদ। অন্য ভক্তিশাস্ত্রে ভক্ত ভগবানকে ডাকে, আর ভাগবতে ভগবানই বাঁশি বাজিয়ে ভক্তকে কাছে ডাকেন। পূজার্চ্চনা করে অন্যান্য দেব-দেবতাদের আর্শীবাদ পাওয়া যায় কিন্তু ভাগবতে আছে শ্রীকৃষ্ণ ভক্তের নিকট নিজে এসে উপস্থিত হন। ভগবানকে লাভ করতে হলে সাধকের সাধনা চাই। ভক্তি চাই। ভক্তের ভক্তিতে ভগবান তুষ্ট হন এবং কৃপা করেন। ভাগবতে পুরাণ সবচেয়ে প্রসিদ্ধ পুরাণ। বিশেষ বিশেষ ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ভাগবত পুরাণ এক অবশ্য পাঠ্য গ্রন্থ।
দাদা আমি চাইছি হিন্দু ধর্মের ধর্মীয় বিষয় গুলো সবার কাছে পৌছে দিতে, ধর্মগ্রন্থ, দেবদেবী, পূজা-পার্বণ এই বিষয় গুলো নিয়ে ধারাবাহিক ভাবে পোষ্ট করব। শুধু মাত্র আপনাদরে সাপোর্ট দরকার।
সবসময় ই পাবেন। সবার সন্মিলিত চেষ্টায় ই আমাদের ধর্মকে পুনরুজ্জীবিত করতে পারব আমরা। আর দাদা আপনার সাথে কথা বলা দরকার। আমাকে একটু মেইল দিয়েন তো। pongkoj32@gmail.com অপেক্ষায় আছি।