এই আধুনিক যুগেও কেউ মধ্যযুগের আরবদের বর্বর অসহিস্নু ধর্ম কি করে পালন করে।
এখানে ঐ ছাগুর বিশেষ কিছু উক্তি খণ্ডন করা হল।
ছাগুঃ কোন মানুষের পিতৃপরিচয়ের ব্যাপারে গাণিতিক অকাট্য প্রমাণ না থাকা সত্ত্বেও সে একাধিক বাবার সম্ভাবনা সহ্য করতে পারেনা। অথচ যে আল্লাহ সত্যিকার অর্থে একজন মানুষকে পৃথিবীতে পাঠান, তাকে সেখানে বাঁচিয়ে রাখেন, তাকে প্রতিপালন করেন সেই আল্লাহকে এক বলে স্বীকার করে নিতে মানুষের যত আপত্তি। মানুষ আল্লাহর সাথে তুলনা করে দেয়ালে ঝুলে থাকা ছবির, পাথরের, কবরে শুয়ে থাকা মরা মানুষের, খড়-কুটো দিয়ে গড়া মূর্তির যাকে সে নিজে পানিতে ডুবিয়ে দেয়। মানুষ হয়ে মানুষের মনুষ্যত্বের কত বড় অপমান!
অভিমন্যুঃ আল্লাহ হচ্ছে একজন হিংসুটে গ্রীক দেবতা। ওটা কখনও পরম দয়ালু ঈশ্বর নয়। আল্লাহ্র হাত পা মুখ সব মানুষের মত। http://www.islam-watch.org/AbulKasem/BismiAllah এটা পড়ুন মুসলমানরা কাবা নামের এক কালো পাথরের স্থাপনা কে পূজা করে।
http://satyagni.com/1685/kaba-or-idol-worship/
হিন্দুধর্মে বহু দেবদেবীর উপাসনা চালু থাকলেও তা বহু ঈশ্বরবাদী ধর্ম নয়।
একের ভিতর বহুর প্রকাশ এই ধর্মের মুল কথা।
ইসলামের আল্লাহ একজন ভণ্ড হিনশুট । কিন্তু হিন্দু ঈশ্বর মহান।
গীতার ৪/১১ শ্লোকে আছে
ye yatha mam prapadyante tams tathaiva bhajamy aham mama vartmanuvartante manushyah partha sarvasah যে যেভাবে আমার উপাসনা করে আমি তাকে সেভাবেই কৃপা করে থাকি। ভক্তগণ বিভিন্ন পথে আমাকে উপাসনা করছে।
কত মহান হিন্দু ধর্ম।
ছাগুঃ আজকের মুসলিমরা এতই হতভাগা যে ‘বাস্টার্ড’ গালি শুনে যে মুসলিম তেড়ে আসে, সেই আল্লাহর জায়গায় মাটির একটা মূর্তি বসিয়ে করা পূজা দেখে শুভেচ্ছা জানায় - শারদীয় শুভেচ্ছা। পিতৃত্বে শরিক করলে আমাদের আঁতে আণবিক বোমা পড়ে অথচ যে আল্লাহ আমাদের অনস্তিত্ব থেকে অস্তিত্বে আনলেন, প্রতি মুহূর্ত অক্সিজেন দিচ্ছেন ফ্রি, আহার-পানীয়-পোশাকের ব্যবস্থা করে দিলেন সেই আল্লাহর সাথে প্রতিনিয়ত শরিক করা হলেও আমাদের ভ্রুটাও অবধি কুচকে উঠেনা। যে আল্লাহ বাংলাদেশের ১৫ কোটি মানুষের মধ্যে আমাদেরকে বেছে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মুখ দেখালেন সেই আমরা আল্লাহর দেয়া বিবেক-বুদ্ধি দিয়ে চিন্তা করে বের করলাম যে সব ধর্মই ঠিক, যেকোন একটা মানলেই চলে। আরে সব ধর্ম মানলেই যদি চলে তাহলে খামোকা কেন মুসলিম থাকা, হিন্দু-খ্রীষ্টান কিছু একটা হয়ে গেলেই হয় - এত বিধিনিষেধের বালাই থাকেনা। মেয়েদের মাথায়-শরীরে কাপড় দেয়া লাগবেনা, মদ-ঘুষ-সুদ সবই খাওয়া যাবে, বিয়ে না করেও চারজনের চার বিছানায় যাওয়া যাবে - দুনিয়ার যাবতীয় সুখ অনলি ইন মাই ডিজুস!
অভিমন্যুঃ তাতো বটেই। তোমাদের আল্লাহ সাত আসমানের উপর সিংহাসনে বসে আছে। সিংহাসনে বসে থাকলে কি করে আল্লাহ নিরাকার হয়? সিংহাসন একটি সাকার কাঠামো। অবশ্যই যে বসবে তাকে সাকার হতে হবে।
মূর্তি/প্রতিমা সাকার উপাসনার প্রতীক। তাই সেই প্রতিমা বিসর্জন দিতে হয়। কিন্তু মুসলিমরা কাবার সামনে মাথা নত করে। সেই কাবার পাথর কি বিসর্জন দিতে পারবে?
আল্লাহ সব দিচ্ছে তার প্রমান কি? আল্লাহর কি আসলে অস্তিত্ব আছে? সে যে অক্সিজেন দিচ্ছে তার কি প্রমাণ? তোমার আল্লাহ কই ছিল যখন মিরসরাইয়ে বাচ্চা গুলো জলে ডুবে মারা গেল?
হিন্দুরা বিশ্বাস করে এগুল পূর্ব জন্মের কর্মফল। এটাই এই প্রশ্নের শ্রেষ্ঠ জবাব।
ইসলাম বলে তারাই ঠিক বাকিরা দোজখে যাবে। তাহলে মোহাম্মদের জন্মের আগের রাতে যারা মারা গেল তার কি হবে? সে তো ইসলামের কিছুই জানত না?
এখনও অনেক জায়গাতে আদিবাসিদের কাছে সভ্যতার আলো পৌছায় নি। ওরা ইসলাম নিয়ে কি জানে? ওদের কি হবে?