শ্রী শ্রী চন্ডীর মধ্যমচরিত্রের মহিষাসুর সৈন্যবধ শীর্ষক দ্বিতীয় অধ্যায়ে
অতি তাৎপর্যের সাথে তান্ত্রিক ঋষি বিশদভাবে অসুর পরিচয় দিয়েছেন। এখানে
স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন আসবে, দেবীর পরিচয় যে ক্ষেত্রে আমরা আশা করি
সেক্ষেত্রে অসুর পরিচয়ের প্রয়োজন কি? শাস্ত্রে উল্লেখ আছে- দেবীর পূজা
করতে হলে দেবতা হতে হয়। দেবতার পর্যায়ে উন্নীত হয়েই দেবপূজায় অগ্রসর হওয়ার
বিধান আছে। 'দেবো ভূত্বা দেবং যজেৎ', আগে দেবতা হও, তারপর দেবতার পূজা কর।
দেবগুণ আহরণ করতে হলে অসুর পরিচয়ের প্রয়োজন আছে। অসুরের ত্রুটিগুলো ও
অসুর প্রবৃত্তির স্বরূপসমূহ জানা থাকলে নিজেকে বিচার করতে সুবিধা হয়। তাই
দেবতার গুণাবলী ব্যাখ্যার সাথে সাথে শাস্ত্রকার অসুরের তাত্ত্বিক পরিচয়ও
আমাদের জ্ঞাতার্থে বিশেষ গুরুত্ব সহকারে উপস্থাপিত করেছেন। অসুরত্ব পরিহার
করার জন্য
... বিস্তারিত
আমরা মানবজাতি। পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জীব। আদি কাল থেকে মানব সন্তানরা ক্রমাগত নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছে প্রাণী কূলের শিরোমনি হিসেবে। মানুষের চেয়ে অনেক গুন শারিরিক শক্তি সম্পন্ন প্রাণীরা পদনত হয়েছে মানুষের জ্ঞানের কাছে। এমনকি প্রাচীন কালে পৃথিবীতে আধিপত্য স্থাপনকারী প্রাণী ডাইনোসর ও হারিয়ে গেছে কালের গর্ভে। মানুষই একমাত্র প্রাণী যাঁরা যেকোন পরিবেশে, প্রতিকূলতায় নিজেদের টিকিয়ে রাখতে সক্ষম। আর এভাবেই মানবকূল এগিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। এর সবটুকু সম্ভব হয়েছে বিজ্ঞানের কল্যাণে। বর্তমান যুগে সর্বত্র বিজ্ঞানের জয়-জয়কার। আমাদের নিত্য-নৈমিত্তিক জীবন-যাপনে বিজ্ঞানের
... বিস্তারিত