বিষ্ণুপদ মন্দির- ভগবান বিষ্ণুর চিহ্ন বহন কারী এক আশ্চর্য সুন্দর তীর্থ - 28 June 2011 - হিন্দু ধর্ম ব্লগ - A Total Knowledge Of Hinduism, সনাতন ধর্ম
Hinduism Site
ভগবান বিষ্ণু- সনাতন হিন্দু ধর্মের প্রধান তিন দেবতার মাঝে পালনকর্তা দেবতা হিসেবে পূজিত হয়ে আসছেন। তিনি এই ব্রহ্মাণ্ডের পালন করেন। ভগবান ব্রহ্মা সৃষ্টি করেছেন এই ব্রহ্মাণ্ড- ভগবান শিব ধবংস করবেন এবং এই সময়ের মাঝে ভগবান বিষ্ণু পালন ও রক্ষা করেছেন এবং করবেন। আর এই ঊপমহাদেশের ভারতবর্ষের বিহারে আছে গয়া নামে এক স্থান- এক পূর্ণ তীর্থ- এখানে আছে ভগবান বিষ্ণুর মন্দির- বিষ্ণু পাদ মন্দির। এই মন্দির কে ঘীরে রয়েছে এক বিশাল কাহিনী। এই মন্দির গয়াতে অবস্থিত। গয়া নামটি এসেছে গয়াসুরের নামে। পুরাকালে গয়া সুর নামে এই অসুর বিষ্ণুর উপাসনা শুরু করে। তার উদ্দেশ্য ছিল অমরত্ব লাভ করা এবং স্বর্গ দখল করা। সে এই জন্য তুখোড় তপস্যা শুরু করে।
তপস্যা এত দাপটে করতে থাকে যে বিষ্ণু আর স্থির থাকতে পারেন না- তিনি ছুটে যান গয় এর কাছে। গয় বিষ্ণুর কাছে বর চান যেন অমর হতে পারেন। তখন বিষ্ণু বলেন- " হে গয়- আমার অবতার গন ও জন্ম নেয় এবং এই পৃথিবী তেই তাদের মৃত্যু হয়। তুমি অন্য কোন বর চাও।এই পৃথিবীর সৃষ্টির কারন আমি। আমি তোমাকে পৃথিবীর নিয়মের ব্যাতিক্রম কোন বর দিতে পারবোনা। তুমি অন্য কিছু চাও।" তখন গয় মহা চিন্তায় পড়ে যায়। শেষে সে বলে- " হে পরম বিষ্ণু- আমাকে এমন এক দেহ দান করুন যেন আমার দেহ স্পর্শ না করে এই পৃথিবীর কারো স্বর্গ লোক প্রাপ্তি না হয়।" তখন ভগবান বিষ্ণু বললেন- "এ জন্য আমাকে যজ্ঞ করতে হবে- এবং তোমাকে মৃত্যু বরন করে দেহ খানা দিতে হবে।" এ শুনে সদা হাস্য ময় গয় নিজের দেহ দান করতে প্রস্তুত হল। কিন্তু সে এত বিরাট ছিল যে বিষ্ণু কোথাও দাড়াতে পারছিলেন না। তখন গয় নিজের মাথা পেতে দেয়- ভগবান বিষ্ণু সেই মাথায় পা দিয়ে অত্র এলাকাকে মহা পবিত্র করে দেন। এবং বর দেন যে এই খানে পিন্ড দান না করে কোন দেব দানব বা মানুষের আত্মা স্বর্গ লোকে প্রবেশ করবেনা।
তারপর থেকে এই স্থান মহা পবিত্র তীর্থ ক্ষেত্র হিসেবে প্রকাশিত।
আসুন দেখে নেই সেই বিষ্ণু মন্দির-
এটা সেই বিষ্ণু মন্দিরের প্লান। ঠিক মাঝে বিষ্ণু মূর্তি রাখা- কিন্তু এখানে কোন বিগ্রহ পুজা করা হয়না। যেখানে ভগবান বিষ্ণু পা দিয়ে প্রথম যজ্ঞ স্থান নিরধারন করেন সেখানে ভগবানের ডান পায়ের একটা ছাপ পড়ে যায়। সেই ছাপে এখন পিণ্ড দেয়া হয়। এখানে পিন্ড না দিলে মানব আত্মা মুক্ত হয়না।
ভগবানের এই পায়ের ছাপের জন্য এখাঙ্কার মন্দিরের নাম হয় বিষ্ণু পদ মন্দির।
বিষ্ণুর দশ অবতারের টেরাকোটা।
ঐতিহাসিকেরা বলেন এই মন্দির খ্রিষ্টপূর্ব ৭ম শতকে তৈরি করা হয়। এখানে সেই আমলের দুর্গা মূর্তি। দেবী এখানে মহিষ মর্দিনী রুপে বর্তমান।
ভগবান বিষ্ণু সাথে ব্রহ্মা ও শিব লিংগ্ম।
শ্রীকৃষ্ণের বাল লীলা
ভগবানের কষ্টি পাথরের মূর্তি।
সেই আমলের এক অদ্ভুত শিব লিঙ্গ। এখানে অনেক অদ্ভুত শিব লিংগ আছে। এটা তাদের মাঝে অন্যতম। পাশেই মহামায়ার যোনী লিঙ্গ। এই দুই লিঙ্গ যথাক্রমে ভগবানের পুং ও স্ত্রী সত্ত্বা প্রকাশ করে।
আরেকটি শিবলিঙ্গ
শঙ্খ চক্র গদা পদ্ম ধারী ভগবান বিষ্ণু
মহামায়া
ভগবান বিষ্ণুর নৃসিংহ অবতার রুপ
দেবী স্বরসবতী
অক্ষয় বটের পদমূলে বিভিন্ন দেবদেবীর মূর্তি
হর পার্বতী
মহাদেবের রুদ্র মূর্তি
দেবাদিদেব মহাদেবের সাথে গৌরি
ফল্গু নদীর তীরে অবস্থিত এই মন্দির। রামায়নে লেখা আছে এই ফ্লগু নদী পূর্বে প্রবাহ মান ছিল। রাজা দশরথের মৃত্যুর পর এখানে শ্রী শ্রী রামের অনুপস্থিতিতে সীতাদেবী দশরথের পিন্ড দেন। এখানে এই পিন্ড দানের সাক্ষি ছিল এই ফল্গু নদী, অক্ষয় বট,ও তুলসী কে সাক্ষি মানেন। শ্রী রাম ফিরে এলে সীতা দেবী পিন্ড দানের কথা জানান।এবং বলেন যে এর সাক্ষি ও আছে। এই সময় অক্ষয় বট সত্য স্বীকার করেন। কিন্তু ফ্লগু নদী ও তুলসী রামের পায়ের স্পর্শ পাবার আশায় মিথ্যে সাক্ষি দেন। এতে সীতা দেবী অভিশাপ দেন। এর পর থেকে এই ফ্লগু নদীর পানি যায় শুকিয়ে। আর তুলসি যেখানে সেখানে জন্মায়। এমন কি কুকুর প্রস্রাব করলেও সেখানে জন্মায়। এই ফ্লগু নদী এখন ও শুকনো। এখানে মাটির দুই হাত খুরলেই পানি বের হয়।
এই সেই অক্ষয় বট- এখনো অক্ষয় বটে পিন্ড না দিলে পিন্ড দান সম্পন্ন হয়না। সীতাদেবীর বরে এই বট অক্ষয় হয়ে আছে।
এই তীরথে এসে নিজের ও পরিবারের সবার জন্য পিন্ড দান করা প্রতিটি হিন্দু তথা সনাতন ধর্মীর দায়িত্ব ও কর্তব্য। ধন্যবাদ সবাইকে কষ্ট করে পড়ার জন্য। ভাল থাকবেন।
এর প্রশংসা যতই করবো ততাই মনে হয় কম হবে। শুধু শুধুই কি আর এত বড় তীর্থস্থান, আমার খুব ইচ্ছা করে এসব জায়গায় একমনে বসে থাকতে, জানিনা কখনও সেই সুযোগ হবে কিনা..................
JOY BOGOBAN SRIKISNHA BOGOBAN SRI HORI apnar kace 1ti prathana ai doradame ace joto tirthastan sobkicu DORSON kore jeno apnar CORONE dite pari ai pran. HORE KRISNHA HORE KRISNHA KRISNHA HORE HORE HORE RAM HORE RAM RAM RAM HORE HORE.