আমাদের শরীরের জন্য যোগাসনের ভুমিকা অনন্য- এই বোধ শক্তি প্রাচীন মুনি ঋষিদের মনে এসেছিল বলেই ঊনারা বের করেছিলেন কিভাবে আমাদের শরীর ভাল রাখা যায়- কিভাবে আমাদের সুস্থ রাখা যায়। আর এই পদ্ধতির নাম ই যোগাসন। আজ আমি খুব সাধারন একটা যোগাসনের পরিচিতি দিয়ে শুরু করবো।
১.শক্তিচালনী মুদ্রা Shaktichaloni-Mudra
শক্তি-চালনী মুদ্রা (Shakti-Chalani Mudra):
যোগ-শাস্ত্রকারীদের মতে, আমাদের শরীরের জননেন্দ্রিয় ও গুহ্যদেশের মাঝখানে অবস্থিত কুন্দস্থান থেকে ইড়া, পিঙ্গলা, সুষুম্না, কুহূ, শঙ্খিনী প্রভৃতি প্রধান নাড়ীগুলোর উৎপত্তি হয়েছে। মূলাধারচক্রের এই কুন্দস্থানেই কুলকুণ্ডলিনী নিদ্রিত সাপের আকারে বিরাজ করছে। যোগশাস্ত্রকারীরা এই কুণ্ডলিনীকে শক্তির আধার বলেছেন। যে মুদ্রা অভ্যাসে কুণ্ডলিনীকে জাগরিত করে উর্ধ্বে চালনা করা যায় তাকে বলা হয় শক্তি-চালনী মুদ্রা (Shakti-Chalani Mudra)।
পদ্ধতি: পদ্মাসন, বজ্রাসন, গোমুখাসন বা সহজ সিদ্ধাসনে বসুন। হাত হাঁটুর উপর রাখুন। এবার ধীরে ধীরে শ্বাস নিতে নিতে গুহ্যদেশ সবলে আকুঞ্চিত করুন এবং একই সাথে কুহূ ও শঙ্খিনী নাড়ীকে (জননেন্দ্রিয় ও গুহ্যদেশের মাঝখানে অবস্থিত কুন্দস্থান থেকে যার উৎপত্তি) উপরে আকর্ষণ করুন। অর্থাৎ মলদ্বার সঙ্কুচিত করে তলপেট উপরদিকে টেনে তুলুন। এই টেনে তোলার বা কুঞ্চিত করার ফলে নাভিপ্রদেশ প্রায় মেরুদণ্ডের সঙ্গে লেগে যাবে। এ অবস্থায় যতক্ষণ সহজভাবে সম্ভব দম বন্ধ রাখুন। এরপর আস্তে আস্তে শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে আকুঞ্চন শিথিল করে দিন। এইভাবে দিনে দুই বেলা সকাল-সন্ধ্যায় দশ-পনেরবার করে মুদ্রাটি অভ্যাস করুন।
উপকারিতা: মুদ্রাটিতে যৌনগ্রন্থির বিশেষ উপকার হয়। এতে ধারণশক্তি, জীবনীশক্তি, স্মৃতিশক্তি, চিন্তাশক্তি ও ইচ্ছাশক্তি বৃদ্ধি পায়। এই মুদ্রা কামজয়ী ও উর্ধ্বরেতা হতে সাহায্য করে।
নিষেধ: ১২ বছরের কম বয়সী ছেলেদের এবং ঋতু প্রতিষ্ঠিত হয়নি এমন মেয়েদের জন্য মুদ্রাটি অভ্যাস করা বারণ।
দিদি, কি যে বলবো আপনি কি মনের কথা বুঝতে পারেন?? আমি যে পোষ্ট দিবো দিবো ভাবি তার আগে আপনি ই দিয়ে দেন। একদিকে ভালো হয় আমার লেখার মানের থেকে আপনারটা অনেক ভালো হয়। যাই হোক আপনার পোষ্টে কিছু না বললে আমার ঠিক মজা লাগেনা তাই কিছু বলছি, ১. আপনি যেহেতু সিরিজ করছেন তাই আসন গুলো দিয়ে শুরু করলে ভালো হতো, এটা মুদ্রা, এটি হচ্ছে আসন সিদ্ধ হওয়ার পরের স্টেজ। ২. এই মুদ্রা করতে গেলে কুম্ভক সম্পর্কে জানতে হবে ও পারতে হবে। তারপরের কথা হিন্দু ধর্মের যোগ পথের মধ্যে অন্যতম বিশাল একটা ব্যপার হচ্ছে এই কুলকুন্ডুলিনী দেবী এর সম্পর্কে না জেনে একে জাগ্রত করার চেষ্টা করা বিশাল বড় বোকামী হবে। কেননা এটি জাগ্রত হলে একে control করার মত কোন নিয়ম জানা না থাকলে মৃত্যু ও অসম্ভব না। প্রকৃত গুরুর তত্বাবধানে ই এর চেষ্টা করা উচিত। তাই আমি সবার কাছে বিনীত ভাবে বলব এই পদ্ধতির ধারে সামনেও না যেতে। তবে দিদি আসনগুলোর পোষ্ট দেন সিরিজ আকারে অনেক ভালো হবে। আমি যথাসাধ্য সাহায্য করতে পারবো। ধন্যবাদ