হিন্দু ধর্ম মত আর পথ ০৭, মোহাম্মদ কি সত্যি কল্কি অবতার??? আসুন যাচাই করে দেখি - 26 June 2011 - হিন্দু ধর্ম ব্লগ - A Total Knowledge Of Hinduism, সনাতন ধর্ম
Hinduism Site
Main » 2011»June»26 » হিন্দু ধর্ম মত আর পথ ০৭, মোহাম্মদ কি সত্যি কল্কি অবতার??? আসুন যাচাই করে দেখি
Added by: Hinduism
12:20 PM
হিন্দু ধর্ম মত আর পথ ০৭, মোহাম্মদ কি সত্যি কল্কি অবতার??? আসুন যাচাই করে দেখি
বেশ অনেকদিন ধরেই দেখছি মোহাম্মদ (সা) কে হিন্দু ধর্মের ভবিষ্য পুরানের কল্কি অবতার রুপে ধারণা করা হচ্ছে। এটার প্রথম প্রবক্সা হচ্ছে জোকার নায়েক। তিনি তার কম্পিউটারের মত জ্ঞান দিয়ে অনেক খুজে খুজে প্যাচে প্যাচ দিয়ে বের করেছেন যে হিন্দু ধর্মের ভবিষ্য পুরাণে যে কল্কি অবতার নামে যার কথা বলা হয়েছে তিনি আর কেউ না স্বয়ং নবীজি। আহ সুবাহানল্লাহ। জাকির কাগুরে আগে অনেক ভালা পাইতাম, ইসলামিক টিভিতে দেখতাম আর ভাবতাম একজন মানুষ কত জানে, কত জ্ঞান। কিন্তু এখন বুঝি "যে জানে = জানোয়ার"। অনেকের কষ্ট লাগবে উনার নামে এসব বলছি দেখে। বাধ্য হয়েই বলছি কেননা দেখেছি উনি নিজের সুবিধামত অর্ধেক অর্ধেক সুরা, শ্লোক ইত্যাদির উদ্ধৃতির দেন আবার মাঝে মাঝে ভুল ও। যাই হোক উনার কথা হাদিস মনে করে অনেকেই দেখি কল্কির সাথে নবিজীর প্যাচ খাইয়ে দিছেন। আপনাদের কাছে বিনীত প্রশ্ন যদি নবিজীর কথা হিন্দু ধর্মে অনেক আগেই লিখা থাকে তবে আপনারা সনাতন তথা হিন্দু ধর্মের অনুসারী তা মানতে দোষ কোথায়? নাকি এটা ইগোতে বাধে যেমনটা হয় খ্রীষ্টানদের ক্ষেত্রে ও, মুসা কে নবী মানবেন অথছ তার নীতি মানবেন না। যাই হোক মানা না মানা নিজেদের ব্যাপার আমি এখানে একটু প্রমান করার চেষ্টা করি নবীজি কেন কল্কি না/////// প্রথমেই কল্কি সম্বন্ধে ভবিষ্যপুরাণে কি কি বলা আছে একটু দেখি
৩. স্মরণযোগ্য: জন্মের সময় পরশুরাম, কূপ, ব্যাস, অশ্বথামা এবং অন্যান্য মুনি ঋষিরা যুবক সন্যাসীর রুপে তার সাথে দেখা করবেন।
৪. ভাই বোন: তিন ভাই, বোন নাই ভাইদের নাম: কবি (Kavi), প্রজ্ঞা ( pragya), সুমন্তক (Sumantak), তার অবস্থান চতুর্থ কল্কি ৫. সেই সময় রাজা থাকবেন: রাজা বিশাখারুপ ( king Vishakhayup) ৬. শিক্ষা: নাম: গুরুকুল স্থান: মহেন্দ্র পর্বত (উড়িষ্যা) বিষয়: বেদ, ধনুর্বিদ্যা, বর্মবিদ্যা (armor) শিক্ষক: পরশুরাম
৭. ধ্যান ও শিবের করুণা: শিবের দয়াতে তিনি ধ্যান করা শিখবেন এবং শিব তাকে একটি দ্রুত চলমান ঘোড়া দেবে যেটি তার ইচ্ছা বুঝে তৎখনাত সেই স্থানে নিয়ে যেতে সক্ষম হবে। শিব তাকে একটি শুক পাখি ও দিবে, যে পন্ডিত থাকবে এবং তাকে সাহায্য করবে। শিব তাকে একটি তলোয়ার দিবে যা এতই শক্তিশালী যে এর সামনে কিছুই প্রতিরোধযোগ্য থাকবেনা।
৮. বন্ধু- বান্ধব: গর্গা, ভর্গা, বিশাল
৯. বিবাহ: সিন্হালার রাজকন্যা পদ্মবতী।।।
আচ্ছা মনে এখন কিছু প্রশ্ন জাগছে, যা একটা একটা করে শুরু করি *. মোহাম্মদের সাথে কি কোন রাজকন্যার সাথে বিবাহ হয়েছে???? *. মোহাম্মদের পিতা মাতা কি ব্রাক্ষ্মণ ছিলেন??? কুরাইশ আর ব্রাক্ষ্মন কি একই জিনিস??? *. মোহাম্মদের কি আরও তিনজন বড় ভাই ছিল??? এক্ষেত্রে সত্য টা কি? নাকি সত্য অন্য কিছু আছে যা গোপন করা হয়েছে??? *. মোহাম্মদ কি পরশুরাম থেকে বেদ শিক্ষা গ্রহণ করেছেন??? *. মোহাম্মদ কি বেদ এর প্রচার আর প্রসারের ব্যাবস্থা নিয়েছেন?? হয়তোবা নিছেন যেহেতু বেদ এ আল্লাহ শব্দটি এসেছে তাই তিনি বেদের ই তো প্রচারক, তাই না? *. মোহাম্মদের কি সেই সব বন্ধু ও ভাই ছিল??? *. মোহাম্মদ কি শিব এর উপাসক ছিলেন??? *. মোহাম্মদের জন্মের সময় কি সেই সব সন্যাসীরা এসেছিলেন???
১০. কল্কি অবতারের কারণ ও উদ্দেশ্য: তার পূর্বের প্রচারিত বেদ এর জ্ঞান যখন প্রায় লোপ পাবে সেই বেদের প্রচারে ও রক্ষার জন্য কল্কি অবতার আবির্ভূত হবেন। তখন সমাজের মানুষ অধিকাংশ ই পাপী থাকবে, তাদের তিনি তার তরবারি দিয়ে হত্যা করবেন এবং এর পরে আবার সত্য যুগ আসবে। অর্থাৎ সব পাপী ও পাপ নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। এখন কথা হচ্ছে নবীজি কি এসব করেছেন, তিনি তো তার পূর্বের গ্রন্থ বেদ, বাইবেল এসব নিষিদ্ধ করে দিসেন। তার আমলে অনেক বইপত্র ধ্বংশ করা হয়েছে। তার সময়ের পরে কি সত্য যুগ মানে সমাজের সব ভালো হয়ে গেছে?? পৃথিবীতে কি হানাহানি বেড়েছে নাকি কমেছে??? ব্যাক্তিগত ভাবে আমি মোহাম্মদ (সাঃ) কে একজন বড় ধর্মপ্রচারক মানি, উনি উনার সময়কালের আরবদের অনেক সভ্য করার চেষ্টা করেছেন যদিও শান্তির কথা বলে কিছু ক্ষেত্রে অশান্তির সৃষ্টি হয়েছে তবে সেটা আলাদা আলোচনার বিষয়। যেহেতু এখানে ভবিষ্যপুরাণ নিয়ে আলোচনা করছি তাই সেই ব্যাপারেই আর একটু বলি, ভবিষ্যপুরাণে কিন্তু মোহাম্মদ কথাটা আছে তবে তা একজন অসুর হিসাবে। জাকির কাগু কিন্তু এটার কথা একবার ও তুলে ধরেন নাই। যে ব্যাক্তি ধর্মপ্রচারক নিজেকে সকল ধর্মের ছাত্র মনে করে আবার ধর্মবিকৃতি করে তাকে জোকার ছাড়া কি বলা যায়? অনেকেই একটা কথা বলেন যে মুসলমানদের জ্ঞান মাথায় নাই, কুরআনে রাখা সব। যারা জোকার নায়েকের কথা সব সত্যি বলে মানে তাদের সম্পর্কে এটাই প্রযোজ্য। তাই সবার উদ্দেশ্যে বিনীত ভাবে বলবো অন্যের জন্য গর্ত করতে গিয়ে নিজেকে আর নষ্ট করবেন না। এতে কোন লাভই পাবেন না। উল্টা এইসকল প্রশ্নে বিদ্ধ হবেন।
এটি কোন ব্যাক্তিগত আক্রমণাত্বক পোষ্ট না, শুধুই সচেতনতামূলক পোষ্ট। তাই পোষ্টের মূল উদ্দেশ্যগুলো বুঝার চেষ্টা করে কমেন্ট করবেন। অযথা গালাগালি পছন্দ না।
আপনাকেও ধন্যবাদ দাদা। অন্তত আমি জানি এই পোষ্টের পিছনে আপনার অনেক সাহায্য রয়েছে। তাই সকল প্রশংসা আপনার ও প্রাপ্য। এজন্য আপনার কমেন্টের উত্তর সবার শেষে দিচ্ছি।
দাদা এটা সামুতে পোষ্ট করেন। একটু সংশোধন- কল্কির পিতার নাম হবে বিষ্ণুযশা। নবী ইতিমধ্যই এসেছেন মরুভুমিতে কলিযুগের শুরুতে। আর শাস্ত্রানুসারে কল্কি আসবেন কলিযুগের শেশে, তিনি সমস্ত অনাচারীদের ধ্বংস করবেন। তারপর তিনি অন্তর্হিত হওয়ার পর শুরু হবে সত্যযুগ। তখন কেউ কারও ক্ষতি করবে না এমনকি চিন্তাও করবে না । সবাই সার্বক্ষণিক ভগবানের ধ্যানে মগ্ন থাকবে। হানাহানি, যুদ্ধসংঘাত থাকবে না। এখন কি এরকম পরিবেশ আছ? দেশে দেশে মানব হত্যা যজ্ঞ চলছে। এটা কি সত্যযুগ। অতএব মোঃ কখনই কল্কি নয়। আর একটি বিষয় মোঃ এর প্রবর্তিত ধর্মের ব্যাপারে ভাগবতমে ভবিষ্যৎ বাণী আছে যে, মরুভূমি সহ বিভিন্ন এলাকায় ব্যাঙের ছাতার মত অপেক্ষাকৃত কম জ্ঞান সম্বলিত নতুন নতুন ধর্ম সৃষ্টি হবে আবার কালের প্রভাবে সেসব ধ্বংস হবে। এবং এটা শুধু প্রতি কলিযুগেই হয়।
ধন্যবাদ দাদা, কমেন্ট করার জন্য, এটা সামুতে পাবলিশ করা হয়েছে এখানে পোষ্ট দেয়ার সাথে সাথেই। এবং এত এত গ্যান্জাম হচ্ছে সেখানে যা বলার মত না। নিচে লিংক দিচ্ছি দেখে আসবেন। http://www.somewhereinblog.net/blog....6611722
আর তখন তাড়াতাড়ি করার বশে বানান ঠিক করতে পারিনি, তাই পাশে ইংরেজী টাও দিয়ে দিয়েছি। ধন্যবাদ
ভবিষ্য পুরাণ নিয়ে এমনিতে হিন্দুদের মাঝেই অনেক তর্ক আছে। আর উনারা যেহেতু নবীজি কে কল্কি অবতার বলে শান্তি পায় আর রেফারেন্ষ দেন এই ভবিষ্য পুরাণের তাই সম্পূর্ণ রেফারেন্স টাই তুলে ধরলাম, দেখি এখন কেমন শান্তি লাগে।
জোকার নায়েক কল্কি অবতারের সাথে মোহাম্মদের মিল দেখানর জন্য মুলতঃ ভবিষ্য পুরানের রেফারেন্স দিয়েছেন। কিন্তু ভবিষ্য পুরানে দেখি মহাম্মদকে অসুর হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।লিঙ্ক-bhavishyapuran.blogspot.com/ তাছাড়া যতদুর জানি ভবিষ্য পুরান ধর্মীয় বিষয়ে রেফারেন্স হিসেবে খুব একটা বিশ্বাসযোগ্য না। এতে আকবর এবং অন্যান্য মোঘল সম্রাট,গুরু নানক, শিবাজী এমনকি রানী ভিক্টোরিয়া এবং ব্রিটিশ পারলামেন্ট সম্পর্কেও বলা আছে।ধারনা করা হয় ভবিষ্য পুরান প্রায় ১৯শ শতাব্দি পর্যন্ত লেখা হয়েছে।
ভবিষ্য পুরাণ নিয়ে অনেক তর্ক বিতর্ক আছে, এটা নিয়ে পরে আলোচনা করবো আগে দেখি সবাই এটা সম্পর্কে কি ভাবে, শেষে আমার ব্যাক্তিগত মতামত দেব। আপনাকে ধন্যবাদ জয়ন্ত আপনার লেখা পাচ্ছিনা কয়েকদিন ধরে, আপনার লেখার স্টাইল টা অনেক ভালো লাগে আমার।
thansk rajat dada. কি বলবো আর জাকির কাগু বলতে পারে আমার ধর্ম নিয়ে তখন সে ছাত্র হয়ে তুলাধুনা করে আমার ধর্মের আর আমি তার ধর্ম নিয়ে বলতে গেলে আমি হই ব্যান্ড। অদ্ভুত সব নিয়ম কানুন। হা হা হা
আহা, বাছারা তোমরা ঐ জোকার ছাগলার জোকারিতে এত উত্তেজিত হয়ো না। কল্কি অবতার এই আমি, অবশেষে ধরাধামে অবতীর্ণ হয়েছি তোমাদের পরম ত্রাতারূপে! আমার অসীম শক্তিশালী ইনভিজিবল ডার্ক-এনার্জি কাম এযন্টি-ম্যাটার তরবারি দিয়ে আমি এই ধরাধাম থেকে জোকার ন্যাকা-গুয়াযম-গোল্লা গোমর-রভিটঙ্কর-বালছেঁড়া ঠ্যাঙাড়ে-পাদভানি-ধরেন্দ্র চুদি-এইচআরসিবিএম সহ যত পাপীতাপী, অসুর-দত্যি-দানো আছে সবকটাকে ঝাড়েবংশে নিকেশ করে পৃথ্বীর বুকে পরম শান্তি নামি আনব!
কুনো চিন্তা করে না, আমার সোনার টুকরা পোলাপাইনেরা! কেমন ?
শম্ভুলঃ এখানে সংস্কৃত 'শম্ভুল' শব্দ দ্বারা আরব নগরীকে বোঝানো হয়েছে? ভারতের বৈদিক যুগের পন্ডিতরা পৃথিবীর স্থলভাগকে সাতটি অঞ্চলে ভাগ করেছিলেন।
১.জম্বুঃ ভারত, তিব্বত ও চীন অঞ্চল ২.শাকঃ পারস্য ও ইরাক অঞ্চল ৩.কুশঃ আফ্রিকা অঞ্চল ৪.ক্রৌঞ্চঃ ইউনান বা গ্রীস ৫.প্লক্ষ ৬.পুষ্করঃ স্পেন ও ইতালী অঞ্চল ৭.শম্ভুলঃ আরব অঞ্চল।
বিষ্ণুযশাঃ বিষ্ণুযশা সংস্কৃত শব্দ। মুলতঃ সংস্কৃত শব্দের আড়াঁলে লুকিয়ে রাখা হয়েছে প্রকৃত সত্য তথ্য। শব্দটি বিশ্লেষণ করলে পাওয়া যায়- বিষ্ণু = ভগবান (আরবীতে আল্লাহ), যশা = সেবক বা দাস; অর্থাত্, আল্লাহর সেবক বা দাস। অপরদিকে, আরবী 'আব্দুল্লাহ' শব্দের অর্থও আল্লাহর সেবক বা দাস।
সুমতিঃ সুমতি সংস্কৃত শব্দ। সুমতি শব্দের অর্থ দাঁড়ায় শান্ত, সুদর্শনা, বুদ্ধিমতি ইত্যাদি। ইসলামের ইতিহাসের দিকে তাকিয়ে দেখুন, ততকালীন সময়ে সমগ্র আরবের মধ্যে মা আমিনা ছিলেন সবচাইতে শান্ত প্রকৃতির, সুদর্শনা, বুদ্ধিমতি।
[-] ব্রাহ্মাণ হল হিন্দু ধর্মের সর্ব্বোচ্চ বংস, গোত্র, জাত বা শ্রেণীর নাম। অন্যান্য জাত বা গোত্রের চেয়ে ব্রাহ্মণরা সম্মানে, অধিকারে, শাস্ত্রে সবদিক থেকে অগ্রগণ্য। পীয়ারে হাবীব যে বংসে (কুরাইশ) এসেছিলেন সেটিও ছিল ততকালীন আরবের মধ্যে সবচাইতে সম্মানিত, অধিকারে, ক্ষমতায়, ধর্মে-কর্মে। প্রকৃত অর্থে এখানে ব্রাহ্মাণ বলতে কুরাইশ বংসকে বোঝানো হয়েছে।