সনাতন হিন্দু ধর্ম বহুধা বিভক্ত হয়েছে বিভিন্ন দিক থেকে।দেবতা ভাগ করেছে যেমন-শাক্ত,বৈষ্ণব, শৈব, গাণপত্য সৌর প্রভৃতি।গুরুগণ আমাদের ভাগ করেছেন যেমন-অখন্ডমন্ডলী,সৎসঙ্গ,গোপিনাথ সম্প্রদায়,জগবন্ধু সম্প্রদায়,গিরি প্রভৃতি।এর পর ভাগ হয়েছে বর্ণভাগ । ব্রাহ্মণ,ক্ষত্রিয়,বৈশ্য,শূদ্র।এ সবগুলোকে বিচার করলে দেখা যাবে যে আমরা কেউ সনাতান হিন্দুধর্ম থেকে বিচ্যুতি হয়নি।মূল ধম আমাদের ঠিকই আছে কিন্তূ উপসনা বা ভালো লাগা না লাগাকে প্রাধান্য দিয়ে একে অপরের বিরুদ্ধচারন করছি। গুরুগন কিন্তু আমাদের বলেনি নতুন করে সমাজ গঠন করতে।তাদের দীক্ষা দেওয়ার একমাত্র উদ্দেশ্য ছিলো শিষ্যের আধ্যাতিক কল্যাণ সাধন করা। কিন্তূ আমরা একটা নতুন সম্প্রদায় এবং সমাজ তৈরি করেছি। যার ফলে সনাতন হিন্দু সমাজ থেকে ঐক্য পালিয়ে গেছে। আমরা যানি ঐক্যই বল। কিন্তূ প্রভাব,প্রতিপত্তি,হিংসা এগুলোর আমদের আধ্যাতিক উন্নতি তো হচ্ছেই না বরং সৃষ্টি করচি বিশৃংখলা।সামাজিক দুষ্ট ব্যাধির মতো বর্ণভেদ প্রথা সনাতন হিন্দু সমাজ কে গ্রাস করেছে।এ ব্যাধি থেকে আমাদের বের হতে হবে। গীতার বাণী আমদের সবার মানতে হবে। গীতা শ্রীভগবানের বানী তার অন্যথা করা জীবনের জন্য অভীশাপ ডেকে আনবে। গুন ও কর্মের দারাই মানুষের বিচার করতে হবে। জন্ম সুত্রে নয়। এ বষয়টি আমাদের সকলের মধ্যে আন্দোলিত হক। কে নিচ, কে বড়, এ বিচার না করে সকলেই আমরা মানুষ এবং গুনে আমরা সরবশ্রেষ্ট হবো। বণে যদি সবশ্রেষ্ট ব্রাহ্মন হয় তা হলে আমরা সবাই ব্রাহ্মন হবো।
সুন্দর একটা পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ দিদি। কথাগুলো অনেক সত্যি, তবে আমি মনে করি ধর্মের যে পথেই যে থাকুক না কেনো, অন্য পথগুলোকে যথাযোগ্য সম্মান প্রদর্শন করা ও নিজেদের মাঝে ঐক্য থাকা উচিত। নয়তো ধীরে ধীরে এই প্রাচীন ধর্ম শুধু নামেই রয়ে যাবে।