n শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেব-------এক অসাম্প্রদায়িক মহান সাধক। - 17 June 2011 - হিন্দু ধর্ম ব্লগ - A Total Knowledge Of Hinduism, সনাতন ধর্ম Hinduism Site
Monday
16-06-2025
5:35 AM
Login form
Search
Calendar
«  June 2011  »
Su Mo Tu We Th Fr Sa
   1234
567891011
12131415161718
19202122232425
2627282930
Entries archive
Tag Board
300
Site friends
  • Create a free website
  • Online Desktop
  • Free Online Games
  • Video Tutorials
  • All HTML Tags
  • Browser Kits
  • Statistics

    Total online: 8
    Guests: 8
    Users: 0

    Hinduism Site

    হিন্দু ধর্ম ব্লগ

    Main » 2011 » June » 17 » শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেব-------এক অসাম্প্রদায়িক মহান সাধক। Added by: Joyanta
    6:33 PM
    শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেব-------এক অসাম্প্রদায়িক মহান সাধক।
    "আমার ধর্ম ঠিক, আর অপরের ধর্ম ভুল – এ মত ভাল না। ঈশ্বর এক বই দুই নাই। তাঁকে ভিন্ন ভিন্ন নাম দিয়ে ভিন্ন ভিন্ন লোকে ডাকে। কেউ বলে গড, কেউ বলে আল্লা, কেউ বলে কৃষ্ণ, কেউ বলে শিব, কেউ বলে ব্রহ্ম। যেমন পুকুরে জল আছে – একঘাটের লোক বলছে জল, আর-একঘাটের লোক বলছে ওয়াটার, আর-একঘাটের লোক বলছে পানি – হিন্দু বলছে জল, খ্রীষ্টান বলছে ওয়াটার, মুসলমান বলছে পানি, - কিন্তু বস্তু এক। মত-পথ। এক-একটি ধর্মের মত এক-একটি পথ, - ঈশ্বরের দিকে লয়ে যায়। যেমন নদী নানাদিক থেকে এসে সাগরসঙ্গমে মিলিত হয়।"

    বৈষ্ণব ভক্তি শাস্ত্রে ঈশ্বরের প্রতি প্রেম নিবেদনে পাঁচটি ভাবের উল্লেখ রয়েছে – শান্ত, দাস্য, সখ্য, বাৎসল্য ও মধুর।. শ্রীরামকৃষ্ণ এই ভাবগুলির কয়েকটি অভ্যাস করেন।

    কালীদর্শন ও বিবাহে মধ্যবর্তী সময়ে কিছুকালের জন্য তিনি দাস্যভাবে সাধনা করেছিলেন। এই সময় তিনি হনুমানভাবে ভাবিত হয়ে রামচন্দ্রের আরাধনা করেন। এইসময় তাঁর হাবভাব সকলই হনুমানের মতো হয়েছিল। তিনি কদলীভক্ষণ করতেন, অধিকাংশ সময় বৃক্ষশাখায় কাটাতেন, এমনকি বানরের মতো অস্থির চোখের দৃষ্টিও লাভ করেছিলেন। শ্রীরামকৃষ্ণ বলেছিলেন, তাঁর মেরুদণ্ডের নিচে সামান্য অংশও এই সময় লেজের মতো প্রসারিত হয়েছিল। দাস্যভাবে সাধনার সময় তিনি রামের পত্নী সীতাদেবীর দর্শন পান এবং সীতার সেই মূর্তি তাঁর নিজদেহে অন্তর্হিত হতে দেখেন।

    ১৮৬৪ সালে দেবীপ্রতিমায় মাতৃভাব আরোপ করে শ্রীরামকৃষ্ণ বাৎসল্যভাবের সাধনা করেন। এই সময় তিনি ‘রামলালা’ অর্থাৎ বালক রামচন্দ্রের একটি ধাতুমূর্তি পূজা করতেন। পরে তিনি বলেছিলেন, এই সময় তাঁর হৃদয় মাতৃভাবে পূর্ণ হত। তাঁর মধ্যে নারীর ভাব ফুটে উঠত এমনকি তাঁর কথাবার্তা ও হাবভাবও মেয়েলি আকার নিত। শ্রীরামকৃষ্ণ আরও বলেছেন যে এই সময় তিনি ধাতুমূর্তিতেই জীবন্ত বালক রামচন্দ্রকে চাক্ষুষ করতেন।

    পরবর্তীকালে গোপিনী রাধার ভাব আরোপ করে কৃষ্ণের প্রেমিক রূপে মধুর ভাব সাধনা করেন শ্রীরামকৃষ্ণ।এই প্রেম উপলব্ধি করার জন্য তিনি দীর্ঘকাল নারীর বেশে নিজেকে বৃন্দাবনের গোপিনী কল্পনা করেছিলেন। এই সাধনার অন্তে তাঁর সবিকল্প সমাধি হয় – তিনি কৃষ্ণের সহিত আধ্যাত্মিক মিলনে মিলিত হন।

    ১৮৬৬ সালে সুফিমতে সাধনাকারী হিন্দু গুরু গোবিন্দ রায়ের কাছে ইসলাম ধর্মতত্ত্ব শিক্ষা করেন শ্রীরামকৃষ্ণ। তিনি বলেছেন "ঐ সময়ে ‘আল্লা’মন্ত্র জপ করিতাম, মুসলমানদিগের ন্যায় কাছা খুলিয়া কাপড় পরিতাম; ত্রিসন্ধ্যা নমাজ পড়িতাম এবং হিন্দুভাব মন হইতে এককালে লুপ্ত হওয়ায় হিন্দুদেবদেবীকে প্রণাম দূরে থাকুক, দর্শন পর্যন্ত করিতে প্রবৃত্তি হইত না।”

    তিনদিন অনুরূপ সাধনার পর তিনি "এক দীর্ঘশ্মশ্রুবিশিষ্ট, সুগম্ভীর, জ্যোতির্ময় পুরুষপ্রবরের (মহানবী) দিব্যদর্শন লাভ” করেন। সেই পুরুষ তাঁর দেহে লীন হন।

    ১৮৭৩ সালের শেষভাগ নাগাদ শম্ভুচরণ মল্লিক তাঁকে বাইবেল পাঠ করে শোনালে তিনি খ্রিস্টীয় মতে সাধনা শুরু করেন। শ্রীরামকৃষ্ণ বলেছিলেন, এই সময় তাঁর চিত্ত খ্রিস্টীয় ভাবে পূর্ণ হয়েছিল এবং তিনি কালীঘরে যাওয়া বন্ধ করেছিলেন। একদিন মেরিমাতার কোলে যিশু খ্রিস্টের চিত্রে তিনি জীবন্ত যিশুর দিব্যদর্শন লাভ করেছিলেন। তাঁর ঘরে হিন্দু দেবদেবীদের সঙ্গে পিতরকে ত্রাণরত যিশুর একটি চিত্র ছিল, সেটিতে তিনি প্রত্যহ সকাল ও সন্ধ্যায় ধূপারতি করতেন।

    বাংলা তথা ভারতের এক সামাজিক অস্থিরতার যুগে শ্রীরামকৃষ্ণের জন্ম। তাঁর সময়কালে পাশ্চাত্য ও ভারতীয় বুদ্ধিজীবিদের সমালোচনার বাণে জর্জরিত ছিল হিন্দুধর্ম। বিশেষভাবে সমালোচিত হয়েছিল হিন্দুদের মূর্তিপূজা। অনেক উচ্চশিক্ষিত হিন্দু খ্রিস্টধর্ম বা নাস্তিকতার আশ্রয় গ্রহণ করছিলেন। আধুনিক ভারতের তথা আধুনিক হিন্দুধর্মের পুনর্জাগরণের ইতিহাসে রামকৃষ্ণ পরমহংস ও তাঁর মতাদর্শী রামকৃষ্ণ মিশনের আন্দোলন একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে। উনিশ শতকের বাংলা তথা ভারতের নবজাগরণে তাঁর জীবন ও শিক্ষা একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। মানবতাবাদে শ্রীরামকৃষ্ণের অবদানের কথা ম্যাক্সমুলার, মহাত্মা গান্ধী, জওহরলাল নেহেরু, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, শ্রী অরবিন্দ, লিও তলস্তয় প্রমুখ চিন্তাবিদ কর্তৃক স্বীকৃত। ফ্রাঞ্জ ডিভোরাক ও ফিলিপ গ্লাস প্রমুখ চিত্রশিল্পীর শিল্পকলাতেও শ্রীরামকৃষ্ণের প্রভাব লক্ষিত হয়।

    ১৮৯৭ সালে স্বামী বিবেকানন্দ প্রণীত নীতি অনুসারে স্থাপিত হয় রামকৃষ্ণ মিশন। স্বাস্থ্য পরিষেবা, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ত্রাণকার্য, গ্রামোন্নয়ন, আদিবাসী উন্নয়ন, বুনিয়াদি ও উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে রামকৃষ্ণ মিশনের কাজ অবিস্মরণীয়।

    রামকৃষ্ণ পরমহংসের ব্যক্তিত্ব, ধর্মীয় অভিজ্ঞতা ও তাঁর সাধনা, বিশেষত তন্ত্র ও মধুর ভাব সাধনা বিশিষ্ট দার্শনিক তথা বিদ্বজ্জন কর্তৃক পর্যালোচিত হয়েছে। শ্রীরামকৃষ্ণের সমাধি, যা চিকিৎসাশাস্ত্রের লক্ষণ অনুসারে মৃত্যুবৎ, তাও বিভিন্ন মনস্তাত্ত্বিক ও গবেষকের আলোচনার বিষয়বস্তু হয়েছে। রোমাঁ রোঁলা, সুধীর কক্কর, নরসিংহ শীল, জেফরি কৃপাল, অ্যালান রোনাল্ড, ডক্টর জিন ওপেনশ, সোমনাথ ভট্টাচার্য, কেলি অ্যান রাব ও জে এস হলে প্রমুখ পণ্ডিতগণ এই সব ক্ষেত্রে মনোবিশ্লেষণমূলক ব্যাখ্যা দিয়েছেন। অবশ্য এই ব্যাখ্যা অনেকক্ষেত্রেই বিতর্কিত। তাঁর ব্যক্তিত্ব ও ধর্মমত, যা রামকৃষ্ণ মিশনের সামাজিক ও ধর্মীয় আন্দোলনের মূলভিত্তি, তার পর্যালোচনা করেছেন লিও শেনেডারম্যান, ওয়াল্টার জি নিভাল, সাইরাস আর প্যাঙ্গবর্ন ও অমিয় পি সেন।

    তথ্যসুত্রঃ বাংলা উইকিপিডিয়া।
    Views: 1121 | Added by: Joyanta | Rating: 0.0/0
    Total comments: 2
    0  
    1 rajendra   (17-06-2011 6:43 PM) [Entry]
    ধন্যবাদ এমন একটি পোস্ট আমাদের পড়ার সৌভাগ্য প্রদান করার সুযগ দেবার জন্য

    আসলেই ঈশ্বর এক ও অদ্বিতীয় -

    তিনি এক আবার অনেক- এটাই হিন্দু ধর্মের মূল ভাব।

    আমাদের এই ব্লগ খোলার মূল ঊদ্দেশ্য ও তাই- যাতে সবাই সবার সাথে আলোচনা করে জানতে পারে- সবাইকে জানাতে পারে

    আমাদের সাথেই থাকবেন।


    0  
    2 Hinduism   (18-06-2011 0:16 AM) [Entry]
    জয়ন্ত অনেক সুন্দর একটা পোষ্ট দিয়েছেন।
    আসলে আমি নিজেও শ্রীরামকৃষ্ণের মতে বিশ্বাস করি যে, ঈশ্বর এক এবং তাকে পাওয়াই আমাদের উদ্দেশ্য। সেখানে পথের ভিন্নতা থাকতেই পারে এবং মতের ভিন্নতা থাকতে পারে। আমার তাকে দরকার, যে যে পথ ইচ্ছা পালন করে করুক তাকে পেলেই চলে। কিন্তু কেউ যখন বলে যে এটাই একমাত্র পথ বা সর্বোকৃষ্ট পথ তখন খারাপ লাগে কেননা সকল পথেই কেউ না কেউ সিদ্ধি লাভ করে গেছেন। তাহলে তারা কি ভুল ছিলেন?
    যাই হোক আপনার লেখার স্টাইল অনেক ভালো। লেখালিখি চালিয়ে যান। ধন্যবাদ আপনাকে

    Only registered users can add comments.
    [ Registration | Login ]