সংখ্যাতত্ত্বে গীতা
শ্রীমদ্ভগবদগীতা একটি
অতি প্রাচীন ও পবিত্র হিন্দু ধর্মগ্রন্থ। পৃথিবীতে দ্বাপর যুগে এই গ্রন্থ প্রচারিত
হয়। সনাতন হিন্দু ধর্ম হল প্রাচীন এক ধর্ম। সনাতন মানে হল যা পূর্বে ছিল- এখন আছে
এবং ভবিষ্যতে ও থাকবে। এই শাশ্বত ধর্ম লক্ষ বৎসর ধরে এই পৃথিবীতে আছে এবং টিকে
থাকবে।যুগে যুগে বিভিন্ন অবতার এসে এই ধর্মের গ্লানি দূর করে রক্ষা করেছেন এই
ধর্মকে।
দ্বাপর যুগে
ভগবান শ্রীহরির অবতার শ্রীকৃষ্ণের মুখনিঃসৃত বাণী পরিচিত হয় শ্রীমদভগবদগীতা নামে।
এই গীতা কোন মানুষের দ্বারা রচিত গ্রন্থ নয়- স্বয়ং ভগবান এই বানী দিয়েছেন তৃতীয়
পান্ডব অর্জুনকে। কোন মানুষের দ্বারা রচিত কোন গ্রন্থকে নিঊমারলজি বা সংখ্যা
তত্ত্বে প্রকাশ করা খুব ই দুরহ কাজ।কিন্তু গীতাকে এই সংখ্যাতত্ত্বে বিচার করলে
কিছু বিস্ময়কর তথ্য পাওয়া যায়। নিচে সেগুলো ধীরে ধীরে আলোচনা করা হল।
১. সংখ্যা ৩
গীতায় এই তিন
সংখ্যা টি এক বিশাল অংশ জুড়ে আছে। যেমনঃ
ত্রিগুনঃ সত্ত্ব, রজ ও তমো
ত্রিমূর্তিঃ
ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহেশ্বর
ত্রিভুবনঃ স্বর্গ
, মর্ত ও পাতাল
ত্রিশক্তিঃ কালী,
তারা, ত্রিপুরা
ত্রিমধুঃ ঘৃত,
চিনি, মধু
ত্রিকালঃ ভুত,
ভবিষ্যত, বর্তমান
ত্রিবিষ্ণু
শক্তিঃ সৎ, চিত, আনন্দ
ত্রিশুলঃ
মহাদেবের অস্ত্র
ত্রিনেত্রঃ তৃতীয়
নয়ন বা তিন নয়নের সমষ্টি
তিন আহারঃ
সাত্ত্বিক, রাজসিক, তামসিক
এভাবে গীতার মাঝে
লুকিয়ে আছে অনেক অনেক সংখ্যা। ধীরে ধীরে আমি আপনাদের মাঝে সেই সংখ্যা গুলো তুলে
ধরবো।
ধন্যবাদ সবাইকে।
কোন প্রকার ভুল হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
|