হিন্দু ধর্ম মত আর পথ - প্রধান মত আর পথ সমূহের সংক্ষিপ্ত বিবরণ - 11 June 2011 - হিন্দু ধর্ম ব্লগ - A Total Knowledge Of Hinduism, সনাতন ধর্ম
Hinduism Site
Main » 2011»June»11 » হিন্দু ধর্ম মত আর পথ - প্রধান মত আর পথ সমূহের সংক্ষিপ্ত বিবরণ
Added by: Hinduism
0:16 AM
হিন্দু ধর্ম মত আর পথ - প্রধান মত আর পথ সমূহের সংক্ষিপ্ত বিবরণ
ঈশ্বর মূলে কিন্তু তাকে পাওয়ার জন্য বিভিন্ন উপায় আছে, পথের শেষ নাই। হিন্দু ধর্মের (সনাতন) এই বিশাল পথ পরিক্রমায় কোন পথের বিলুপ্তি ঘটেনি, কিন্তু বিভিন্ন যুগে মহাপুরুষেরা এবং ঈশ্বরের বিভিন্ন অবতারের দ্বারা নতুন পথের শুভ সূচনা ঘটেছে মাত্র। যেমনটা দেখা যায় ঋকবেদে যেমনটা স্তোত্র এর সমাহার আবার সামবেদে গানের মাধ্যমে ঈশ্বরের বন্দনা করা হয়েছে। আবার যজ্ঞ কেও প্রধান্য দেওয়া হয়েছে। কথা হচ্ছে ঈশ্বরকে বন্দনা করা তার স্তব করা এখন তা আমি কিভাবে করে নিজে শান্তি পাই তুষ্টি পাই তা আমার ব্যাপার। ঈশ্বর আমার আমি তাকে আমার মন মত ভক্তি করব নাকি বন্ধুরুপে দেখব নাকি তার সাথে প্রেম করব তা তো আমার ব্যাপার, আমি যেভাবে চাইব আমার ঈশ্বর সেভাবেই আমার কাছে আসবেন। এই নীতির উপর ভিত্তি করে হিন্দু ধর্মে অনেক পথের অবতারণা হয়েছে। প্রতিটা পথেই বিভিন্ন মহাপুরুষগণ মুক্তির স্বাদ পেয়ে গেছেন, যিনি যে পথে মুক্তি পেয়েছেন তিনি তার অনুসারীদের সেই পথ অনুসরণের নির্দেশ ই দিয়ে গিয়েছেন। এভাবে দিনে দিনে পথের বৃদ্ধি পেয়েছে কিন্তু কোন পথই আমি খারাপ বলবনা। আসলে এটা অনেকটা সাধক অনুযায়ী নির্ভর করে কার মন কেমন তা অনুযায়ী সাধন করা উচিত। কিন্তু বর্তমানে আমরা এমন অবস্থায় আছি যেখানে সব পথের মিশ্রণে জগাখিচুড়ি অবস্থা। আমরা সব কিছুই করি কিন্তু বেশির ভাগই না বুঝে। মূল খুজতে যাইনা শুধু চলছি অজানা গন্তব্যে, বিশ্বাস শুধু একটাই পথের শেষ আছে। যাই হোক আমি ধর্মের মূল কিছু পথের বিবরণ আজকে দিব। ১. কর্মযোগঃ (কৃ + মন) কর্ম, কায়দ্বারা, মনদ্বারা ও বাক্যদ্বারা যাহা করা যায়, তাই কর্ম। কর্ম পরিত্যাগ করা সহজ নয়। কায়(শরীর) দ্বারা কর্ম পরিত্যাগ করলেও মনের কর্মনিবৃত্তি যথার্থ জ্ঞানলাভ না হলে হয় না। যেহুতু কর্ম পরিত্যাগ আমাদের দ্বারা সম্ভব নয় আবার কর্ম করলেও তার ফলের শিকলে বাধা পরব তাই এমন ভাবে কর্ম করা উচিত যেন কর্মের বন্ধনে বাঁধা না পরি। এর সমাধানে গীতায় শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন, "তোমার কর্মেই অধিকার, ফলে নয়- কর্মফলে যেন তোমার আসক্তি না হয়। কর্মফলের আশায় কর্ম করোনা আবার কর্ম ত্যগেও যেন তোমার প্রবৃত্তি না হয়"। গীতা ২।৪৭, আবার বলেছেন "ঈশ্বরের প্রীতির জন্য অনুষ্ঠিত কর্ম ভিন্ন অন্য কর্ম বন্ধনের কারণ, সুতরাং তুমি অনাসক্ত হয়ে ঈশ্বরের প্রীতির জন্য শাস্ত্রবিহিত কর্ম কর" গীতা ৩।৯... সুতরাং কর্মযোগ অনুযায়ী যখন সাধকের কোন প্রকার পূণ্য বা পাপ কিছুই থাকেনা তখন তাকে কর্মফল ভোগের জন্য আবার পৃথিবীতে আসতে হয়না। তার মুক্তি হয়ে যায়। কর্মযোগ সম্বন্ধে বিস্তারিত আমার পূর্বের পোষ্টে থাকায় আর বেশী আলোচনা করলামনা।
২. জ্ঞানযোগঃ ধর্মের ভাষায় জ্ঞান কি? মহাভারতে আছে, "বহির্মূখী মন, বুদ্ধি ও ইন্দ্রিয়গণকে সমস্ত বাহ্য বিষয় হইতে নিবৃত্ত করিয়া অন্তর্মূখী করতঃ সর্বব্যাপী পরমাত্মাতে সংযোজনা করার নাম জ্ঞান" -মোক্ষধর্ম। জ্ঞানী ব্যাক্তি তার জ্ঞানের আলো দ্বারা মনের সকল অন্ধকার পরিষ্কার করে মুক্তির পথ খুজে পান। এই জীবজগতে সমস্তই ব্রক্ষ্মময়- তুমি-আমি, চন্দন-বিষ্ঠা, শত্রু-মিত্র, সুখ-দুঃখ, ভেদাভেদ ধর্মাধর্ম, কিছুই নাই, সকলই ব্রক্ষ্ম-- এইরুপ ভাবকেই জ্ঞানযোগ বলে। গীতায় বলা আছে, " ইহলোকে জ্ঞানের সদৃশং পবিত্র বস্তু আর নাই"। মূলত জ্ঞান হচ্ছে শক্তি এই শক্তির বলে জ্ঞানী সকল কিছুর রহস্য ভেদ করেন এবং ঈশ্বরতত্ব সম্বন্ধে জানেন। যখন একজন জ্ঞানী ভাল খারাপের প্রকৃত তত্ব বুঝতে পারেন তখন তিনি সঠিক কাজটিই করেন। তিনি সর্বদা ঈশ্বরকে বুঝবার চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে যখন তার সামনের মায় অপসারিত হয় তখনই তিনি প্রকৃত সত্যকে উপলব্ধি করতে পারেন। আপন জ্ঞানবলেই তিনি নিজ আত্মাকে পরমাত্মাতে লীন করেন।
৩. ভক্তিযোগঃ বর্তমানে হিন্দুধর্ম অনুসারীরা অধিকাংশ ই যো যোগ অবলম্বন করে তা হচ্ছে ভক্তিযোগ। কারণ শ্রীকৃষ্ণ বলে গিয়েছেন "কলিতে নামকীর্তন ছাড়া কোন গতি নাই" । আর এই ঈশ্বরের নাম সংকীর্ত্তনই হচ্ছে ভক্তিযোগ। এখানে ঈশ্বরকে নিজের অত্যন্ত আপন করে দেখা হয়। কখনও পিতা , কখনও মাতা, কখনও বন্ধু আবার কখনও বা প্রেমিক হিসেবে। কেননা শ্রীকৃষ্ণ ই গীতায় বলেছেন "যে আমাকে যেভাবে ভজনা করে তাকে আমি সেরুপেই ফলদান করে থাকি"। ভক্তিযোগ অনুযায়ী মানুষ বা প্রাণী যেমন ঈশ্বরের আনুকূল্য পাবার জন্য আকূল তেমনি ঈশ্বর ও মানুষকে বা তার ভক্তকে সর্বদা ডেকে চলেছেন। কিন্তু মাঝের মায়া অপসারিত হলেই ভক্তের আর ঈশ্বরের মিলন হবে। ভক্তিযোগ অনুযায়ী ভক্ত শুধুমাত্র তার ভক্তির জোড়েই তার আত্মা পরমাত্মার সাথে লীন করাতে পারেন। এবং ভক্তি সাধনায় সিদ্ধিপ্রাপ্তরা সরাসরি শ্রীকৃষ্ণের বৃন্দাবনের বাসিন্দা হয়। তাদের আর পৃথিবীতে ফিরে আসতে হয়না। যদিও ভগবান তার ভক্তকে ডাকে কিন্তু তিনি সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী তাহলে এত সমস্যা কিসের। সবাইকে তিনি মুক্তি দিয়ে দিক। এখানে একটা কথা বলা দরকার, ভগবানের ভাষ্য অনুযায়ী, যে করে আমার আশ, করি তারে সর্ব্বনাশ। তবু যদি না ছাড়ে আশ, তবে হই তার দাশের দাশ।। অর্থাৎ ভগবান তার ভক্তকে ভক্তির পরীক্ষা করেন। এজন্যই দেখা যায় অনেক সাধু, বা ভাল ব্যাক্তিরা ও অনেক রকম বিপদের সন্মুখীন হয়। অথচ যারা সর্বদাই পাপকার্য করে তাদের কিছুই হয়না। এখানে ঈশ্বর তার ভক্তকে পরীক্ষা করেন এবং যথাসময়ে তাকে সঠিক ফলটিই দান করেন।
মূলত এই তিনটিই হিন্দু ধর্মের প্রধান তিন রাস্তা কিন্তু এগুলো ছাড়াও আর ও অনেক আছে। নিচে সেগুলো নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হল।
৪. তন্ত্রযোগঃ তন্ত্র হচ্ছে মন্ত্র। অনেকেই তন্ত্র কে খারাপ বলে মনে করেন বিশেষত তান্ত্রিকদের জীবন ধারা সম্পূর্ণই আলাদা, শ্মশানে যাতায়াত, মানুষের ক্ষতি করা। এগুলোর সাথে তান্ত্রিকদের জড়িয়ে ফেলা হয়েছে। মূলত এই পথটা সম্বন্ধে সাধারণ মানুষের বিন্দুমাত্র ধারণা নাই, আর অনেকে অল্প কিছু মন্ত্রে সিদ্ধিলাভ করে নিজেকে তান্ত্রিক পরিচয় দিয়ে অনেক ক্ষতিসাধনা করে বলে এটাকে একটা খারাপ পথ হিসেবে দেখা হয়। আসলে ভক্তিযোগ টা ভাল হলেও মনে সম্পূর্ণ ভক্তি জাগ্রত না হলে সাধনা হয়না। তাই সবাই ভক্তিযোগে সিদ্ধিলাভ করতে পারেনা। যেমন সাধক রামপ্রসাদ উনি উনার শ্যামসঙ্গীত এর জন্য বিখ্যাত ছিলেন। উনি প্রথমে ভক্তিতেই সাধনা করতেন, কিন্তু বারবার চুড়ান্ত পর্যায় থেকে ব্যার্থ হওয়াতে শেষে উনি তান্ত্রিক মতে সাধনা করে সিদ্ধিলাভ করেন। (তন্ত্রযোগ নিয়ে বিস্তারিত একটি পোষ্ট দেব সামনে তাই আর লিখছিনা)
৫. রাজযোগঃ এই যোগের প্রধানতম অনুসারী ও প্রচারক স্বামী বিবেকানন্দ। একে অষ্টাঙ্গ যোগ ও বলা হয়। অর্থাৎ এই সাধন পদ্ধতিতে আটটি পর্যায় আছে। যেগুলো হচ্ছে যম, নিয়ম, আসন, প্রাণায়াম, প্রত্যাহার,ধারণা, ধ্যান, সমাধি। এগুলো প্রতিটি পর্যায় সম্পন্ন হলে সাধক তার মধ্যে আলাদা রকম অনুভূতি অনুভব করতে পারবেন। এভাবেও সাধনায় সহজে সিদ্ধিলাভ সম্ভব। তবে প্রচুর অধ্যাবসায় থাকতে হবে। (এটি নিয়ে ও অনেক লেখা সম্ভব যদি কেউ আগ্রহী হন এই পর্যায় গুলো জানতে তবে কমেন্টে লিখলে পরে আমি এটা নিয়ে আলাদা পোষ্ট দেব)
৬. হঠযোগঃ এটা মূলত শরীর কে সক্ষম রাখার মাধ্যমে সাধনা করা। যেমন সাধনা করতে হলে শরীরকে সচল রাখতে হবে। এমন অনেক আসন আছে যা করা অনেক কষ্টকর কিন্তু সেই সকল আসনে সাধনা করলে খুব তাড়াতাড়ি সাধনায় সিদ্ধিলাভ করা যায়, হঠাযোগ অনুযায়ী বিভিন্ন প্রকার আসন অভ্যাশের মাধ্যমে শরীরকে প্রথমেই উপযোগী করা হয় তারপরে যে কোন পথেই সাধনা করা যায় খুব সহজেই। বাবা লোকনাথ ব্রক্ষ্মচারী হঠযোগের অনুসারী ছিলেন বলেই তিনি ১৬০ বৎসর বেঁচেছিলেন এবং নিজ ইচ্ছায় দেহত্যাগ করেন।
৭. লয়যোগঃ এটা একটা গুপ্তযোগ এর কথা অনেকেই জানেনা। এই মত অনুযায়ী শরীরের মাঝেই সব কিছু আছে। কাশী বৃন্দাবন বাইরে কোথাও না । সব শরীরে ই বিদ্যমান শুধুমাত্র একটার সাথে আর একটার সংযোগ ঘটাতে হবে। লয় অর্থ হচ্ছে সংযোগ করা। ছোট একটা বাস্তব প্রমান দেই, আমাদের নাকের নিঃশ্বাষ কিন্তু সব সময় দুই পাশ দিয়ে সমান ভাবে প্রবাহিত হয়না। কখনও বাম পাশ দিয়ে বেশী আবার কখনও ডানপাশ দিয়ে বেশী। বাম পাশের টাকে বলা হয় ইড়া আর ডান পাশের টাকে বলা হয় পিঙ্গলা । কিন্তু যারা মোটামুটি ভাবে ও সৎ তারা কয়েকদিন খেয়াল করলে দেখবেন খুব অল্প সময়ের জন্য হলেও দিনে দুই একবার দুই নাকের নিঃশ্বাশের মাত্রা প্রায় সমান থাকে সেই নিঃশ্বাষকে বলা হয় সুষুম্মা। এই অবস্থায় ভবিষ্যত সম্পর্কে কোন কিছু বললে সেটা সঠিক হবার সম্ভাবনা প্রায় শতভাগ। তবে আশার কথা হচ্চে যোগী ছাড়া সাধারণ মানুষের নিঃশ্বাষ সম্পূর্ণভাবে সুষুম্মাতে প্রবাহিত হয়না।
এগুলো হচ্ছে হিন্দু ধর্মের সাধনার প্রধান পথ সমূহ। তবে পথের আর ও শাখা প্রশাখা আছে কিন্তু এগুলো মূল পথ। এগুলো নিয়ে আর ও বলা সম্ভব কিন্তু তাতে পোষ্ট টি অতিরিক্ত বড় হয়ে যাবে এবং কেউ পড়বে না তাই এখানেই শেষ করছি। যদি কেউ কোন বিষয় নিয়ে আরও জানতে চান তবে কমেন্ট করবেন, আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করব।
এখানে আপনি হটযোগ নিয়ে আলোচনা করেন নি- যদি ভবিয্যতে আলোচনা করতেন তাহলে ভাল লাগতো
এখানে একটি বিষয় জানা দরকার সিদ্ধিলাভ বলতে আসলেই আমরা কি বুঝতে পারি? কেন আমাদের সিদ্ধিলাভ করতে হবে? নিজের ঘরে থেকেই কি সিদ্ধিলাভ সম্ভব নয়? নাকি বনে যেতে হবে? কি কি উপায়ে ( আরো বিস্তৃত) সিদ্ধিলাভ করা যায়?
দাদা যে কমেন্ট করছেন, এসব নিয়ে বিস্তারিত বলতে গেলে কমপক্ষে তিনটা পোষ্ট দিতে হবে। ঠিকাচে পরের পোষ্টগুলোতে আলোচনা করব। এখানে সংক্ষিপ্ত উত্তর দেই। ১. হঠযোগ নিয়ে বিস্তারিত মিনিমাম তিনটা পোষ্ট দেব, বিশেষ করে আসন, প্রাণায়াম ও মুদ্রা নিয়ে। একটু সময় লাগবে আর ধারাবাহিকতার অপেক্ষা করছি। ৩. পৃথিবী টা অনেক কষ্টের যত থাকবেন ততই মায়া বাড়বে আর দোষ বাড়বে তার চেয়ে একবারে মুক্তিলাভ ই কি ভালো না ? ৪. সাধনের অনেক গুলো পথ দেখিয়েছি, কিছু কিছু ঘরে বসেই করা যায় তবে শেষের দিকে সংসারের কিছু আর ভাল লাগেনা। তাই তখন সংসারে আর থাকা হয়না। যেমন আপনি কৃষ্ণ প্রেমে পাগল হলে সংসার ভাল লাগবেনা। ৫. পিতামাতা হচ্ছেন পরম গুরু তাদের অসুখী করে কোন সাধনা সফল হবেনা। তাই বাইরে যেতে হলেও তাদের অনুমতি নিয়ে যেতে হবে। এখানে একটি বিষয় জানা দরকার সিদ্ধিলাভ বলতে আসলেই আমরা কি বুঝতে পারি? লিখলে অনেক লিখতে হয়, গীতার একটা উদ্ধৃতি দেই শুধু তাতেই মনে হয় আপনি বুঝতে পারবেন। "যে ব্যাক্তি আত্মাতেই সুখী এবং যে ব্যাক্তি আত্মারা হ্ইয়া আত্মাতেই ক্রীড়া করেন, আর যাহার আত্মাতেই দৃষ্টি, সেই যোগী ব্যাক্তিই উক্ত প্রকারের ব্রক্ষ্মে স্থিতিলাভ করিয়া ব্রক্ষ্মনির্বাণ প্রাপ্ত হন। যাহারা নিষ্পাপ, যাহাদিগের সংশয়চ্ছেদ হইয়াছে, যাহাদিগের চিত্ত বশীভুত এবং যাহারা ভুতসকলের হিতার্থে রত, সেই মহাত্মারাই ব্রক্ষ্মনির্বাণরুপ মোক্ষলাভ করেন। কামা-ক্রোধ হইতে বিমুক্ত জ্ঞানযোগী সন্ন্যাসিগণের জীবিতাবস্থা ও মৃতাবস্থা উভয়াবস্থাতেই ব্রক্ষ্মনির্বাণতা সিদ্ধ হয় অর্থাৎ তাহারা জীবন্মুক্তরুপে বিরাজ করেন।" গীতা ১৮।৫১-৫৩
"যখন সাধক ব্রক্ষ্মসত্তাসমুদ্রে মগ্ন হইয়া আপনার নিজ নির্বণস্তু মনোলয়ঃ"- বুদ্ধি, মন ব্রক্ষ্মধ্যানে একেবারে লয়-বিলয় প্রপ্ত হয়, তখনই তাহার সে অব্স্থাকে নির্বাণ বা চুড়ান্ত মুক্তি বলে।" --কামাখ্যাতন্ত্র, ৮ম পটল। আশা করি একটু হলেও বুঝতে পেরেছেন। বাকীটা ধীরে ধীরে