গুরুধাম আন্দরকিল্লা- চট্টগ্রাম
গুরুধাম এর ভিতরের অংশ
প্রার্থনারত ভক্তরা
গুরু ধামের সন্মুখভাগ
নবগ্রহ বাড়ী - লালদীঘির পাড়- চট্টগ্রাম
নবগ্রহ বাড়ী শনি মন্দিরের নবগ্রহ
নবগ্রহ বাড়ী শনি মন্দিরের নবগ্রহ
নবগ্রহ বাড়ী শনি মন্দিরের নবগ্রহ
চট্টগ্রাম অখন্ড মণ্ডলী, রহমতগঞ্জ, চট্টগ্রাম
মন্দিরের মূল অংশ
চট্টগ্রাম অখন্ডমণ্ডলী চিকিৎসাকেন্দ্র সদন
পঞ্চাননধাম আশ্রম, সিরাজদ্দৌল্লা রোড
পঞ্চাননধাম আশ্রম, সিরাজদ্দৌল্লা রোড
মহিরা ক্ষেত্রপাল বিগ্রহমন্দির
মহিরা ক্ষেত্রপাল বিগ্রহমন্দির এর মুর্ত্তি
মন্দিরের সন্মুখভাগ
মন্দিরের ফটক
মন্দিরের একাংশ
মন্দিরের একাংশ
মন্দিরের্ গাছ
উত্তর কাট্টলী কালীবাড়ী
মা কালীর মুর্তি
উত্তর কাট্টলী কালীবাড়ী
মা কালীর সামনে পূজারত মন্দিরের পূজারী
কালীবাড়ীর সন্মুখ ভাগ
সদরঘাট কালী বাড়ি- চট্টগ্রাম
মন্দিরের সন্মুখভাগ
মা কালী
মা কালী
বালক সাধুর আশ্রম- নন্দন কানন
জয় গুরু সত্য নাম
বালকসাধুর সন্মুখ ভাগ
আশ্রমের ভিতরের অংশ
লোকনাথ মন্দির - নন্দন কানন- চট্টগ্রাম
লোকনাথ বাবার মুর্তি
বাবার মুর্তি
লোকনাথ ব্রহ্মচারীর বাবার মন্দিরের ফটক
শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র সৎসঙ্গ আশ্রম
মানুষ আপন টাকা পর, যত পারিস মানুষ ধর
এই মানুষ গড়ার কারখানা হচ্ছে সৎসঙ্গের যুগপুরুষোত্তম শ্রীশ্রীঠাকুর
অনুকূল চন্দ্র প্রবর্তিত সৎসঙ্গ । সৎসঙ্গের যাত্রা বহু আগে। কালের
বিবর্তনে বর্তমান পর্যায়ে সৎসঙ্গ কে দীর্ঘ বাধা-বিপত্তি ও বন্ধুর পথ
অতিক্রম করতে হয়েছে। আধুনিক সভ্যতার সাথে তাল মিলিয়ে বর্তমান তথ্য
প্রযুক্তির যুগে সৎসঙ্গ কে এগিয়ে নিয়ে শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র যে
আদর্শ রেখে গেছেন তা সময়োপযোগী প্রমাণিত হয়েছে ইতোমধ্যে। ইতিহাসঃ সৎসঙ্গের
ইতিহাস সে তো অনেক প্রাচীন। সৃষ্টির আদি থেকেই সৎসঙ্গ হয়ে আসছে। সৎ এর
সহিত সংযুক্ত হওয়া মানেই সাধারণ অর্থে সৎসঙ্গ । আর সৎসঙ্গের সাথে যারা
জড়িত তারাই তো প্রকৃত অর্থে সৎসঙ্গী। এই সৎসঙ্গের প্রাণ পুরুষ পরম দয়াল
শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র সেই সৎসঙ্গ কে একটি আধুনিক, বিজ্ঞান সম্মত,
জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বশেষে সকল মানুষের মিলন ক্ষেত্রে পরিণত করতে রূপকার
হিসেবে আবির্ভূত হন। সেই থেকে সৎসঙ্গের যাত্রা শুরু হয়ে তা আজ বিশ্বের
বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছে।
মন্দিরের প্রার্থনালায় চট্টগ্রামে সৎসঙ্গের যাত্রা শুরুঃ
চট্টগ্রামের সর্বত্র সৎসঙ্গের যাত্রা শুরুর পূর্বে মুষ্টিমেয় কয়েকজন
তৎকালীন প্রথিতযশা সামাজিক ব্যক্তিত্ব তথা ধর্মপ্রাণ সৎসঙ্গী ১৯৪৭খ্রীঃ এর
দিকে বর্তমান বক্সিরহাটস্থ অনন্ত মলিকের দোকানে সৎসঙ্গ অধিবেশনে মিলিত
হতেন। পরবর্তীতে গোসাইল ডাঙ্গায় ভূবন মোহন কানুনগোয়, জে.সি কানুনগোয় এর
বাড়ীতেও অধিবেশন শুরু হয়। পর্যায়ক্রমে সৎসঙ্গী উদ্যোক্তারা ১৯৫০-৫১
খ্রীঃ এর দিকে চট্টগ্রাম শহরে একটি আশ্রম প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন। তখনকার
দিনে মাত্র ৫০/- টাকা ভাড়ার বিনিময়ে ফিরিঙ্গী বাজার শিববাড়ীতে সৎসঙ্গের
কার্যক্রম শুরু হলেও পরবর্তীতে ভাড়া বৃদ্ধি পেয়ে ৭৫/- টাকায় উন্নীত হয়।
শুরুর দিকে অনেক বাধা-বিপত্তি ও প্রতিকূলতার ভিতর দিয়ে সৎসঙ্গের কার্যক্রম
চালাতে হতো। ১৯৬৪-৬৫খ্রীঃ এর দিকে চট্টগ্রাম সৎসঙ্গে যুক্ত হন হিন্দু
সমাজের কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তি। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সর্বশ্রী
চন্দ্রনাথ চক্রবর্ত্তী, যাদবনাথ, সুরেন্দ্রনাথ চক্রবর্ত্তী, ফণীন্দ্রকুমার
নাথ, মনোরঞ্জন দে, সুখেন্দু বিকাশ চৌধুরী, মানিক লাল ঘোষ ও রনজিত
চৌধুরী। পরবর্তীতে তাঁদের সাথে যোগ দেন অমূল্য রঞ্জন দাশ, মনমোহন
চক্রবর্ত্তী। তাঁরা দেওয়ানজী পুকুর পাড়ে স্থানীয় সমাজ হিতৈষী ব্যক্তিত্ব
শ্রী কৃষ্ণ গোপাল সেনের কাছ হতে তৎকালীন ১২০০০/- (বার হাজার) টাকায় তিন
গন্ডা জায়গা ক্রয় করে টিনের ছাউনি, বাঁশের বেড়ার ঘরের ভিতর সৎসঙ্গ আশ্রম
ফিরিঙ্গীবাজারস্থ শিব বাড়ী হতে স্থানান্তর করেন। পরে একতলা পাকা দালানের
মাধ্যমে আশ্রমের মোটামুটি পূর্ণাঙ্গ রূপ দেওয়ার চেষ্ঠা করা হয়। ১৯৭১ এর
রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধে সৎসঙ্গ আশ্রম সম্পূর্ণ রূপে ধ্বংস করে দেওয়ার পরও
পরবর্তীতে সৎসঙ্গীদের আপ্রাণ প্রচেষ্ঠায় ১৯৭২খ্রীঃ আশ্রমটি পুনঃনির্মাণ
করা হয়। এসময় তৼকালীন সরকারের কাছ থেকে কিছু সরকারী অনুদানও পাওয়া সম্ভব
হয়। ১৯৭৫খ্রীঃ এর দিকে কয়েক জনের প্রচেষ্ঠায় আরও দেড় গন্ডা জায়গা ক্রয় করা
হয় ঐ আশ্রমের পাশেই। মোট জায়গার পরিমান দাঁড়ায় ৬ গন্ডা। এই জায়গার উপর
নব কলেবরে আশ্রম প্রতিষ্ঠার বৃহৼ পরিকল্পনা গ্রহন করা হয়। এমতাবস্থায় জেলা
সৎসঙ্গের কর্মকর্তা রনজিত কুমার চৌধুরী, সুধীর বিকাশ দেব ও রাজগোপাল
ভৌমিক (সঃপ্রঃঋঃ) বৃহৎ সৎসঙ্গ আশ্রম প্রতিষ্ঠার অভিপ্রায় উলেখ করে
পাশাপাশি আরো জায়গা ক্রয়ের ব্যাপারে স্থানীয় ব্যক্তিদের সাথে যোগাযোগ
করেন। এই পর্যায়ে স্থানীয় সমাজসেবী আশুতোষ চৌধুরী (লালু বাবু) যিনি
তৼকালীন দেওয়ানজী পুকুরের মালিক তাঁর সাথে যোগাযোগ করে পুকুর সংক্রান্ত
বিভিন্ন সমস্যা কৃষ্ণগোপাল সেন (কাঁলা চান বাবু) এর সহযোগিতায় মালিক
আশুতোষ চৌধুরী বনাম এডভোকেট নির্মলেন্দু দত্তের নেতৃত্বে স্থানীয়
জনসাধারণের মধ্যে দীর্ঘ আইনগত সমস্যার সমাধানের মাধ্যমে বহুদিনের পূঞ্জিভূত
সমস্যার নিষ্পত্তি হয়। সমস্যা নিষ্পত্তিতে আশুতোষ চৌধুরী সাড়ে তিন
গন্ডা জায়গা বিনামূল্যে তাঁর মহানুভবতার স্বীকৃতি স্বরূপ সৎসঙ্গ আশ্রমকে
দান করেন। এই পর্যায়ে এসে প্রায় ১০ গন্ডা জায়গার উপর প্রকৌশলী শিবপ্রসাদ
কামুদোর পরিকল্পনা মাফিক আশ্রম নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়। সারাদেশে
বর্তমানে প্রায় ১৫০ জন ঋত্ত্বিকের মধ্যে ২৪ জন ঋত্ত্বিক আছেন চট্টগ্রামে।
বৃহত্তর চট্টগ্রামে শাখা আশ্রম মোট ৭৫টি। বৃহত্তর চট্টগ্রামে এক লক্ষেরও
অধিক সৎসঙ্গ ী আছে। বর্তমানে বাংলাদেশে মোট সৎসঙ্গীর সংখ্যা প্রায় ত্রিশ
লাখ।
রাসবিহারী ধাম, শাকপুরা বোয়ালখালী চট্টগ্রাম
শ্রী শ্রী রাসবিহারী ধামের প্রধান ফটক
গ্রামীণ
সংস্কৃতি ও ধর্মীয় ঐতিহ্য সংরক্ষণে বোয়ালখালী উপজেলার শাকপুরা শ্রী শ্রী
রাসবিহারী ধাম এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এখানে প্রতি বছর
শ্রীকৃষ্ণের ঝুলন যাত্রা, জন্বাষ্টমী, রাস মহোৎসব, দোল পূর্ণিমা, অন্নকূট
উৎসব, রথ যাত্রা অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়ে থাকে। এ ছাড়া এখানে প্রতিদিন
পূজা, ভোগ, আরতি, প্রার্থনা প্রভৃতি নিয়মিত কর্মসূচী পালন করা হয়।
বিগ্রহ মন্দিরর মুর্তি
বিগ্রহ মন্দিরঃ
শাকপুরায় ১৯৮৯ সালের ১০ নভেম্বর শ্রী শ্রী রাসবিহারী ধাম প্রতিষ্ঠিত হয়
এবং ঐদিনই শ্রীবিগ্রহ প্রতিষ্ঠিত হয়। তবে এই গ্রামে রাস মহোৎসব উদযাপন
শুরু হয় এবং ১৯৫৬ সাল থেকে। অর্থাৎ এ বছর রাস মহোৎসবের ৫০তম বর্ষ পূর্তি
হয়েছে। শুরু থেকেই এখানে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনায় ও জাঁকজমকপূর্ণভাবে ধর্মীয়
উৎসবগুলো উদযাপিত হচ্ছে এবং প্রতিটি উৎসবে বিপুল সংখ্যক লোক সমাগম হয়।
উৎসব উপলক্ষে এখানে লোক শিল্পের মেলাও বসে। ১৯৮৯ সালের ১০ই নভেম্বর শ্রী
ধাম প্রতিষ্ঠা দিবসে বিগ্রহের আবরন উন্বোচন করেন কৈবল্য ধামের তৎকালীন
মহারাজ শ্রীমৎ ভবতোষ বন্দোপাধ্যায়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন
প্রাক্তন মৎস ও পশু সম্পদ মন্ত্রী শ্রী সুনীল গুপ্ত। এই অনুষ্ঠানে
সীতাকুন্ড শংকর মঠের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ জ্যোতিশ্বরানন্দ গিরি মহারাজ, শ্রীল
রাধা বিনোদ মিশ্র সহ বহু ধর্মীয় গুরু মহারাজগন উপস্থিত ছিলেন। শ্রী
শ্রী রাসবিহারী ধামের নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ার সময়ে পরিষদের সভাপতি ছিলেন
শ্রী সাধন রঞ্জন চৌধুরী, সাধারন সম্পাদক ছিলেন অধ্যাপক নারায়ন চৌধুরী ।
পরবর্তী ১৯৮৯ সালে ভক্তদের দশ লক্ষ টাকা অনুদানে তোরণ, কীর্তন প্যান্ডেল এবং
মূল মন্দির সহ শ্রী শ্রী ধামের নির্মান কাজ সম্পূর্ন হয়।
ঋষিধাম- বাঁশখালী
ঋষিধাম- বাঁশখালী প্রধান মন্দির
শ্রী শ্রী স্বামী অদ্বৈতানন্দপুরী মহারাজের পাদুকা
ঋষিধাম- বাঁশখালীতে শ্রী শ্রী অদ্বৈতানন্দ পূরী মহারাজের মুর্ত্তি
এ ছাড়া ও চট্টগ্রামের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে বহু মন্দির- যে গুলোতে প্রতিদিন জমায়েত হন হাজারো নর নারী।
ভাল থাকবেন- সবাই
হরে কৃষ্ণ
{লেখা ও ছবির জন্য www.hindupage.org এর কাছে চির কৃতজ্ঞ থাকলাম}
|