অলৌকিক সংখ্যা ১৮; শ্রী রামকৃষ্ণ তপোবন, তামিলনাড়ু, কতৃক প্রকাশিত ও স্বামী চীদ্ভানন্দ (১৯৭৯) কতৃক সম্পাদিত দি ভগবদ্গীতা ধর্মগ্রন্থে ১৮ সংখ্যাটিকে একটি অতি অলৌকিক সংখ্যা হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। কারন-১৮,১০৮,১০০৮, এবং ১০০০৮ এই সংখ্যা গুলো ৩ বা ৯ এর গুনিতক। উপরোক্ত ১৮ এর অন্যান্য গুনীতক সংখ্যা সব গুলো যোগ করলে পাই (১৮+১০৮+১০০৮+............) ১১১২৪। পৃথকভাবে এই সংখ্যা গুলো যোগ করলে পাই- ১+১+১+২+৪=৯ যা ৩ দ্বারা বিভাজ্য। এবার দেখা যাক গীতায় ৩,৬,৯,১৮ সংখ্যা গুলো কি কি ভাবে উপ্সথাপিত হয়েছে- মহাভারত মোট ১৮ পর্বে বিভক্ত- ১. আদি ২.সভা ৩.বন ৪.বিরাট ৫.ঊদোয়গ ৬.ভীষ্ম ৭.দ্রোণ ৮.কন ৯.শল্য ১০.সৌপ্তিক ১১.স্ত্রী ১২.শাস্তি ১৩.অনুশাসন ১৪.অশবমেধিক ১৫.আশ্রমবাসিক ১৬.মৌসল ১৭.মহাপ্রস্থানিক ১৮.সরগারোহন
আবার ভগবান শ্রীকৃষ্ণ কতৃক বর্ণিত ৭০০ শ্লোকের শ্রীমদভগবদ্গীতা ও ১৮ টি অধ্যায়ের সমন্বয়। তাই এই ১৮ সংখ্যাটিকে অলৌকিক বলা যায় বৈকি।
শ্রীমদ্ভগবদ্গীতাকে সংক্ষেপে শ্রীগীতা লিখতে শ, গ, ত এই তিনটি বর্ণ দরকার হয়। তেমনি শ্রীমদ্ভগবদ্গীতাকে লিখতে ৩x৩=৯ টি বর্ণ দরকার হয়। শুধু ভগবদ্গীতা লিখতে অক্ষ্র লাগে ৬টি।এ যেন তিন সংখ্যাটির এক খেলা। আবার আমরা ওঁ (প্রণব) দেখলে দেখি- অ+ঊ+ম= ওঁ যা তিনটি অক্ষরের সমন্বয়।
শুধু তাই নয়- কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের সৈন্য ছিল সর্বমোট ১৮ অক্ষৌহনি।
পদাতিক-১০৯৩৫০জন, অশ্ব- ৬৫৬১০টি- রথ-২১৮৭০ টি মোট ২১৮৭০ চতুরংগ সেনাবিশিষ্ট বাহীনি হল এক অক্ষৌহনি। এখানে ঊল্লেখিত সকল সংখ্যা ৩ দ্বারা বিভাজ্য।
শ্রীমদ্ভগবদ্গীতায় ধৃতরাষ্ট্র ১ টি, অর্জুন- ৮১ টি, সঞ্জয়-৪৫টি শ্লোকে প্রশ্ন করেছেন- ভগবান ৫৭৩টি শ্লোকে তার ঊত্তর দিয়েছেন। ধৃতরাষ্ট্রের ১ টি শ্লোক ব্যাতিত সকল শ্লোক ৩ দ্বারা বিভাজ্য। ধৃতরাষ্ট্র ১ টি শ্লোক হল মূল প্রারম্ভিক সংখ্যা-বা (basic starting number) তাই এটা শ্রীমদ্ভগবদ্গীতায় প্রথমেই আছে।
ওরে মাথা তো গুলিয়ে যাচ্ছে। কই কই থেকে কিভাবে এত সব তথ্য বের করে আনছেন? এগুলো তো এভাবে কখনও ভাবি ই নাই। চালিয়ে যান দেখি সামনে আর কি আছে। ধন্যবাদ আপনাকে।