জন ডালটনের আনবিক তত্ত্ব নিশ্চয়ই ক্লাস নাইন টেনের রসায়ন বইতে পড়েছেন। সেখানে যে আনবিক তত্ত্ব দেয়া আছে সেটাই আচার্য কনাদ দেন যিশু খৃষ্টের ও জন্মের ৬০০ বছর আগে।
বৈষয়িক দর্শন নামে একটি গ্রন্থ রচনা করেন তিনি যাতে বস্তুর গঠন সম্পর্কে উল্লেখ করেন। তিনি প্রভাস ক্ষেতে (বর্তমান এ ভারতের গুজরাটে) জন্মগ্রহণ করেন। তিনিই প্রথম উল্লেখ করেন যে বস্তুর বিভাজন হয়। তিনি বস্তুকে ৯টি ভিন্ন ভিন্ন ক্ষুদ্র অংশের মিলন বলে উল্লেখ করেন। এই অংশ গুলো হলঃ ক্ষিতি , অপ, তেজ, মরুত, বৌম, সময়, স্থান, মন ও আত্মা। এই বিভাজন প্রক্রিয়া কে তিনি ব্যাক্ত করেছেন এভাবে " প্রতিটি বস্তু মৌল দ্বারা গঠিত যা পরমানু কতৃক বন্ধনে আবদ্ধ" কি চিনতে পারছেন? এটাই ডালটনের পরমানু তত্ত্ব। এখন হয়ত এই তত্ত্ব চলেনা। এখন চলে এসেছে স্ট্রিং থিওরি। কিন্তু এই পরমানু তত্ত্বে কনাদ এর অবদান ও আছে মানতে হবে। কারন বিজ্ঞানী জন ডাল্টন এর ২৫০০ বছর আগেই তিনি তা ব্যাক্ত করেছিলেন।
একই সাথে কনাদ বিভিন্ন মৌলের মাঝে রাসায়নিক বন্ধনের কথা ও উল্লেখ করেছেন যা আজকে আমরা আধুনিক বিজ্ঞানের বই গুলোতে খুঁজে পাই। তাই T.N. Colebrook বলেছিলেন " ইউরোপের বিজ্ঞানী রা যা আধুনিক কালে আবিষ্কার করেছেন- তা ভারতীয় ঋষিরা হাজার বছর আগে থেকেই জানেন।" T.N. Colebrook এর মত আপনি ও তাই মেনে নেবেন আশা করি।