দুর্গাপূজার শেষ দিকেও অসুরদের তাণ্ডবঃ দমন করতে হবে শক্ত হাতে - 7 October 2011 - হিন্দু ধর্ম ব্লগ - A Total Knowledge Of Hinduism, সনাতন ধর্ম
Hinduism Site
Main » 2011»October»7 » দুর্গাপূজার শেষ দিকেও অসুরদের তাণ্ডবঃ দমন করতে হবে শক্ত হাতে
Added by: Abimanyu
8:26 AM
দুর্গাপূজার শেষ দিকেও অসুরদের তাণ্ডবঃ দমন করতে হবে শক্ত হাতে
পূজামণ্ডপে হামলা, প্রতিমা ভাঙচুর:
বরিশালের গৌরনদীতে আরতি করাকে কেন্দ্র করে দুর্গাপূজামণ্ডপে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় এক মহিলাসহ ১০ জন আহত হয়েছে। এতে পূজা অর্চনা ও আরতি পণ্ড হয়ে যায়। আগৈলঝাড়া উপজেলার মোল্লাপাড়া গ্রামে দুটি সর্বজনীন মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর করেছে দুষ্কৃতকারীরা। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গৌরনদী উপজেলার তাঁরাকুপি গ্রামের সুমন খান (২১) কয়েকজন সহযোগীকে নিয়ে মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে পশ্চিম বার্থী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্বরে পূজামণ্ডপে অনুষ্ঠান দেখতে যায়। রাত সাড়ে ১০টার দিকে সুমন খান ও তাঁর দুই বন্ধু মঞ্চের কাছে গিয়ে তাৎক্ষণিক আরতি করতে ইচ্ছা প্রকাশ করে। অনুষ্ঠানের দায়িত্বে থাকা রনি দত্ত (২২) কিছুক্ষণ পর তাঁদের সুযোগ দেওয়ার কথা বলেন। এতে সুমন ও তাঁর বন্ধু রেগে গিয়ে কমিটির লোকজনকে গালিগালাজ করতে থাকে। এ নিয়ে বাগিবতণ্ডার একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। ক্ষিপ্ত হয়ে সুমন ও তাঁর সহযোগীরা মণ্ডপের আরতি অনুষ্ঠানে হামলা চালায়। এ সময় দর্শক শিপ্রা রানী (২৪), রনি দত্ত (২২), সঞ্জয় দাস (২০), প্রসঞ্জিত তপাদার (২২), ননী গোপাল কর (২০), খোকন দাসসহ (২৪) ১০ জন আহত হন। গৌরনদী থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। গৌরনদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, থানায় একটি মামলা হয়েছে। হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের জোর চেষ্টা চলছে । একই দিন গভীর রাতে মোল্লাপাড়া গ্রামের সর্বজনীন কালীমন্দিরের শীতলা প্রতিমা ও রায়বাড়ির কালীমন্দিরের শীতলা প্রতিমা ভাঙচুর করে দুষ্কৃতকারীরা। আগৈলঝাড়া থানার ওসি অশোক কুমার নন্দীসহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ওসি অশোক কুমার নন্দী বলেন, দুর্গাপূজা দেখে গভীর রাতে বাড়ি ফেরার পথে উশৃঙ্খল যুবকেরা এ কাজ করে থাকতে পারে।
চুয়াডাঙ্গায় পূজামণ্ডপ থেকে স্কুলছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ:
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার সরিষাডাঙ্গা গ্রামে এক স্কুলছাত্রী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। গত বুধবার রাতে চার যুবক স্থানীয় মুচিপাড়া পূজামণ্ডপ থেকে ওই ছাত্রীকে কৌশলে একটি পানের বরজে নিয়ে মধ্যরাত পর্যন্ত পাশবিক নির্যাতন চালায়। এ ঘটনায় দুই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধর্ষণের শিকার ওই মেয়েটি সরিষাডাঙ্গা ব্র্যাক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী। এলাকাবাসী জানান, গত বুধবার রাতে ওই ধর্ষণের ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটায় উপজেলার মোমিনপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) কার্যালয়ে সালিসের আয়োজন করা হয়। বিষয়টি জানাজানি হলে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম মুসার নেতৃত্বে একদল পুলিশ সালিস থেকে অভিযুক্তদের মধ্যে মিলন হোসেন ও হুমায়ুন নামের দুই ধর্ষণকারীকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে চার যুবককে আসামি করে একটি মামলা করেছেন। তাঁরা আরও জানান, ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে সালিসের আয়োজনের খবর এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) জানানো হয়। পরে ওসি শামীম মুসা বিকেল পাঁচটায় ঘটনাস্থলে যান এবং মিলন ও হুমায়ুনকে গ্রেপ্তার করেন। এ ছাড়া ধর্ষণের শিকার ওই স্কুলছাত্রীকে মেডিকেল চেকআপের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সদর থানার ওসি শামীম মুসা বলেন, বাকি দুজনকে ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।