পুরান ঢাকায় ৮৮টি পূজামণ্ডপে এবার দুর্গা পূজা হবে। পূজামণ্ডপের প্রতিমাগুলো সাজানো হয়েছে নানা সাজে। তৈরি করা হয়েছে নানা ধরনের মঞ্চ ও গেট।
কোতয়ালী থানা এলাকার ২০টি পূজামণ্ডপের মধ্যে শাঁখারি বাজার রোডেই আছে ১১টি মণ্ডপ। এছাড়া সূত্রাপুরে ৩৫টি, গেণ্ডারিয়ার ১৩টি, হাজারিবাগে ৯টি, বংশাল, লা লবাগ ও চকবাজারে ১১টি মণ্ডপে পূজা উদযাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন মাহনগর পূজা কমিটির কর্মকর্তারা।
রাজধানীর একশ ৯৯টিসহ সারা দেশে মোট ২৮ হাজার পূজামণ্ডপে রোববার থেকে শুরু হতে যাওয়া দুর্গা পূজা চলবে পাঁচদিন।
শাঁখারীবাজারে ঢুকতেই কমলা রঙের দৃষ্টিনন্দন সুউচ্চ ফটক। 'প্রতিদ্বন্দ্বী সংঘ' দুর্গাপূজা উদযাপনে তাদের ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষে তৈরি করেছে ফটকটি।
'প্রতিদ্বন্দ্বী' পূজা কমিটির সভাপতি অনিল রায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "মঞ্চ, প্রতিমা ও গেট এই তিন জিনিস তৈরি করতে বিশেষ লক্ষ্য রেখেছি আমরা।"
তার পূজামণ্ডপের মোট ৮০ জন সদস্য রয়েছে বলে জানান তিনি।
এছাড়া তাঁতিবাজার পুজা কমিটি, কোতয়ালী রোডের শ্রী শ্রী শিব মন্দির পুজা কমিটি, দুর্গাবাড়ি পূজা কমিটি, সংঘ মিত্র পূজা কমিটি, গোয়ালনগর পঞ্চায়েত কমিটি, জমিদার বাড়ি পূজা কমিটি ও লক্ষ্মীবাজার পাতলাখান লেনের সবুজ সংঘের পূজা কমিটির সভাপতিরা জানিয়েছেন তাদের প্রস্তুতি প্রায় শেষ।
৮৮ নম্বর শাঁখারী বাজারের মুক্তা রানী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, এখনও শাঁখা-সিঁদুর ও পুজার কিছু উপকরণ কেনা বাকি রয়েছে। তাই বাজারে ঘুরছি।"
গেণ্ডারিয়ার 'যমুনা মঈ আশ্রম' পূজা কমিটির সাধারণ সম্পাদক নির্মল রায় চৌধুরী বলেন, প্রতিমার রঙের কাজ চলছে। রাতেই প্রস্তুতি শেষ হবে।
বাংলা ১৩৩০ সালে আশ্রমটি চালু হলেও ২০০৫ সাল থেকে এখানে দুর্গাপূজা উদযাপন শুরু হয় বলে তিনি জানান।
'জমিদার বাড়ি' পূজা কমিটির সভাপতি শ্রী বাবুল দে বলেন, আমাদের পূজা মণ্ডপের পাশেই ফরিদাবাদ পুলিশ ফাঁড়ি তাই নিরাপত্তা নিয়ে আমরা চিন্তিত নই।
শনিবার সকালে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার বেনজির আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, যথেষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
"প্রতিমা বিসর্জনের পর বলতে পারবো নিরাপত্তা ব্যবস্থা সন্তোষজনক কি না।"