ভোলায় এ বছর ৯৭টি মন্ডপে শারদীয় দূর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। - 30 September 2011 - হিন্দু ধর্ম ব্লগ - A Total Knowledge Of Hinduism, সনাতন ধর্ম
Hinduism Site
ভোলায় এ বছর ৯৭টি মন্ডপে শারদীয় দূর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।
কাশফুলের সাদা শুভ্রতা মনে করিয়ে দেয় দেবী দুর্গার আগমনীবার্তা। সনাতন ধর্মাবলম্বী বাংলা ভাষাভাষীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় র্দুগা পূজা। তাই শারদীয় উৎসবকে জমিয়ে তুলতে ভোলায় প্রতিমা তৈরি ও সাজসজ্জায় এখন মহাব্যস্ত আয়োজকরা। সাজসজ্জা ও প্রতিমা তৈরীর কারুকাজে পুরস্কার ঘোষনা করায় ভোলার মন্ডপগুলোতে পুরদমে প্রস্তুতির প্রতিযোগিতা চলছে। পূর্বে রাজা, জমিদার, মহাজন তথা বিত্তবানরা আতীয়স্বজন সমন্বয়ে প্রচুর অর্থ ব্যয় করে ধুমধাম করে প্রতিযোগিতার মনোভাব নিয়ে দুর্গাপূজা করতেন। সাধারন মানুষকে তাদের প্রতিযোগিতা দেখেই সন্তুষ্ট থাকতে হতো। কিন্তু কালের বিবর্তনে রাজা নেই, জমিদার ও নেই। কিন্তু মা দূর্গার পূজা প্রতি বৎসরই হয়। এখন ধনী-গরিব-গোত্র-বর্ণ সবাই একসাথে প্রার্থনা করে মায়ের চরনে।
ভোলায় এ বছর ৯৭টি মন্ডপে শারদীয় দূর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ভোলা সদরে ২০টি, বোরহানউদ্দিনে ২০টি, দৌলতখানে ৬টি, তজুমদ্দিনে ১২টি, লালমোহনে ১৯টি, মনপুরায় ৭টি ও চরফ্যাসনে ১৪টি। এ বছর সরকারিভাবে প্রতি পুজা মন্ডপের জন্য ৫শ কেজি চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ব্যয়ের তুলনায় সরকারি বরাদ্দ কম হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জেলা পুজা উদযাপন পরিষদের নেতারা। ভোলা জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে জানা গেছে, এবার প্রতিমা তৈরীতে খরচ বেড়েছে। এটেল মাটি, বাঁশ, সুঁতলীর দাম বাজারে অনেক চড়া। ফলে প্রতিমা তৈরিতে প্রয়োজনীয় সামগ্রীসহ প্রতিমা ভাস্কররাও তাদের মজুরি বাড়িয়ে দিয়েছেন। তারপরো থেমে নেই হিন্দু সম্প্রদায়ের এ সর্ববৃহৎ উৎসব আয়োজনের। পূজা মন্ডপগুলোর প্রস্তুতির কাজ চলছে পুরোদমে। হিন্দু সম্প্রদায়ের সর্ববৃহৎ এ ধর্মীয় উৎসবকে সামনে রেখে ভোলার সর্বত্র ইতোমধ্যে ভিন্ন আমেজ বইতে শুরু করেছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে উৎসব চলাকালীন সময়ে ব্যাপক নিরাপত্তা জোরদারের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি অধক্ষ্য দুলাল চন্দ্র ঘোষ জানান, আগামী ২ অক্টোবর শারদীয়া দুর্গাদেবীর বোধন ও ষষ্ঠ্যাদি কল্পারম্ভের মধ্য দিয়ে পূজা অনুষ্ঠান শুরু হবে। ৭ অক্টোবর দশমী পূজা শেষে প্রতিমা বির্সজনের মধ্য দিয়ে এ উৎসবের সমাপ্তি হবে। তিনি আরো জানান, গত বছরের তুলনায় এবার পূজা মন্ডব বৃদ্ধি পেয়েছে। ভোলা জেলায় এ বছর ৯৭টি মন্ডবে শারদীয় দুর্গা উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। এসব মন্ডবে পুজাকালীন সময়ে ব্যাপক নিরাপত্তা দাবি করেছেন তিনি। দীর্ঘদিন থেকে ভোলা জেলার সকল সম্প্রদায়ের লোকজন সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছে। স্থানীয় সাধারণ জনগণ ও প্রশাসনের সহযোগীতায় পূজা অনুষ্ঠান শান্তিপূর্ণ ভাবে সমাপ্তি হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি কানাই পাল বলেন, দেবী দুর্গা গজে গমন করবেন, তাই শস্যপূর্ণ্য বসুন্ধরা। দেবী দুর্গা মাকে বরণ করে নিতে আমাদের মন্দিরসহ পাশ্ববর্তী মন্দিরগুলোতে ইতোমধ্যে প্রতিমা তৈরির কাজ শুরু করা হয়েছে। যার অনেকটাই এখন প্রায় শেষপ্রান্তে। তিনি আরো জানান, ধর্ম যার যার উৎসব সবার। ধর্ম বর্ণ নিবিশেষে সকলের সহযোগিতা ও সকল ধর্মের মানুষদের উপস্থিতিতে ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দিপনার মধ্য দিয়ে ভোলায় বহুদিন ধরে সার্বজনীন দুর্গা উৎসব পালিত হয়ে আসছে।
ভোলা জেলা পুলিশ সুপার বশির আহম্মেদ জানান, শারদীয় দুর্গা পূজা উপলক্ষ্যে থানা পুলিশের পক্ষ থেকে নেয়া হবে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা দিতে সাদা পোশাকে নারী ও পুরুষ পুলিশ সদস্যরা বিভিন্ন পূজা মন্ডবসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকা গুলোতে বিশেষ নজরদারী রাখবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
ভোলা জেলা পুলিশ সুপার বশির আহম্মেদ জানান, শারদীয় দুর্গা পূজা উপলক্ষ্যে থানা পুলিশের পক্ষ থেকে নেয়া হবে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা দিতে সাদা পোশাকে নারী ও পুরুষ পুলিশ সদস্যরা বিভিন্ন পূজা মন্ডবসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকা গুলোতে বিশেষ নজরদারী রাখবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।