রাজশাহীর তানোরে শারদীয় দূর্গা মন্দিরে প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এই নিয়ে ওই এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে চরম আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। খবর পেয়ে তানোর উপজেলার নির্বাহী অফিসার কাজী জিয়াউল বাসেত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে হিন্দু সমপ্রদায়কে শান্তনা দেন। এই সময় তিনি নতুন করে প্রতিমা তৈরী করে পূজা করার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে সকল প্রকার সহযোগিতা করা হবে। ঘটনার পর থেকে সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এই ঘটনায় ওই পূজা মন্দির কমিটির সভাপতি অনূকূল চন্দ্র কবিরাজ বাদী হয়ে ১৫ জনকে আসামী করে তানোর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলার বিবরণ ওই এলাকার সূত্রে জানা গেছে, তানোর পৌর এলাকার সমাসপুর হরিমন্দিরে দীর্ঘ দিন থেকে হরিপূজা করে আসলেও এবছর নতুন করে সেখানে দূর্গাপূজা উদযাপনের জন্য প্রতিমা তৈরী করা হচ্ছিল। প্রতিমা তৈরীর শেষ দিকে গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে কে বা কাহারা ওই মন্দিরের ছয়টি প্রতিমার মধ্যে দূর্গা ও গণেষ প্রতিমা বাদ দিয়ে লক্ষী দুটি, কার্তিক একটি, শ্বরসতী একটি মোট চারটি প্রতিমা ভাংচুর করে। অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয় ওই প্রতিমা তৈরীর সময় সমাসপুর ও হরিদেবপুর গ্রামের ইসমাইল মৃধাসহ কয়েক জন তাদেরকে হুমকী দিয়ে বলেন এই সম্পতি আমার এখানে পূর্জা করলে দেখে নেওয়া হবে। এ হুমকীর প্রেক্ষিকে ওই পূর্জা মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক নির্মল চন্দ্র দাস বাদী হয়ে গত ২৭ অক্টোবর ২০১১ তানোর থানায় ইসমাইলসহ ১১জনের নাম উল্লেখ করে একটি সাধারণ ডায়েরী করেন।
এ ব্যাপারে তানোর উপজেলা অফিসার কাজী জিয়াউল বাসেত বলেন, যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তাদেরকে খুজে বের করে আইনের আওতায় নেওয়ার চেষ্টা চলছে। সকল প্রকার সংঘাত এড়াতে সেখানে পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।