ভারতের ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক, পতৌদি পরিবারের শেষ নবাব মনসুর আলী খান মারা গেছেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দিল্লির একটি হাসপাতালে মৃত্যু হয় সাবেক এই তারকা ক্রিকেটারের। তার বয়স হয়েছিল ৭০ বছর। তিন মাস আগে তার ফুসফুসে সংক্রমণ ধরা পড়ে। এ কারণেই গত মাসে তিনি দিল্লির স্যার গঙ্গা রাম হাসপাতালে ভর্তি হন।
মাত্র ২১ বছর বয়সে ভারতীয় দলের অধিনায়ক হওয়া এই ক্রিকেটার পরিচিতি পেয়েছিলেন টাইগার পতৌদি নামে। ১৯৬১ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক হয় তার। শেষ করেন ১৯৭৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টেস্টের মধ্য দিয়ে। মাঝে খেলেন ৪৬টি টেস্ট। ৩৪.৯১ গড়ে করেন ২ হাজার ৭৯৩ রান। নেতৃত্ব দিয়ে নয় টেস্টে জেতান ভারতকে।
১৯৭১ সালে ভারতে নবাবী প্রথা বাতিল হলেও ক্রিকেটার হিসেবেও 'নবাবের' সম্মানই পেয়েছেন ভারতের পতৌদি পরিবারের নবম ও শেষ নবাব মনসুর আলী। তার নেতৃত্বেই ১৯৬৮ সালে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে দেশের বাইরে প্রথম টেস্ট জেতে ভারত। সে বছর উইজডেনের বর্ষসেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হন তিনি।
দলে বেশ কয়েকজন স্পিনার খেলানোর রীতি চালু হয় পতৌদির কৌশল থেকেই। ভারতের সর্বকালের সেরা ক্রিকেট অধিনায়কদের একজন ধরা হয় তাকে।
সাফল্যের স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৬৪ সালে 'অর্জুন' ও ১৯৬৭ সালে 'পদ্মশ্রী' পুরস্কার পান মনসুর আলী। পদ্মশ্রী পুরস্কার পাওয়ার দুই বছর পর বলিউডের তখনকার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুরকে বিয়ে করেন তিনি।
এত কিছু তাঁর নামে বলছে ভারতীয় মিডিয়া। আমি নিজেও পতৌদির ফ্যান। তবে কিছু কিছু জিনিস খারাপ লাগে তাই বলতে বাধ্য হচ্ছি।
এই পতৌদি পরিবারের ঐতিহ্যই হল love jehad করা। অর্থাৎ ভালোবাসার কবলে ফেলে হিন্দু মেয়েদের ধরমান্তরিত করা। শর্মিলা ঠাকুরকে বিয়ে করে মনসুর আলী খান তাকে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করেন। শর্মিলা ঠাকুর নাম রাখতে বাধ্য হন বেগম আয়েশা সুলতানা।
তাদের ছেলে সাইফ আলি খাঙ্কে আপনারা সবাই চিনেন। বলিউডের নায়ক। ১৯৯১ সালে অমৃতা সিংকে ধর্মান্তরিত করে বিয়ে করেন তিনি। তাদের ২ সন্তানের নামও রাখেন মুসলিম নাম। ২০০৪ এ তাকে ছেড়ে দেন সাইফ। এরপর কারিনা কাপুরের সাথে লিভ টুগেদার করছেন। হয়তও কারিনাও লাভ জিহাদের স্বীকার হবেন। হিন্দু মেয়েদের চোখ কবে খুলবে?