n জন্মান্তরবাদ কি? - 19 September 2011 - হিন্দু ধর্ম ব্লগ - A Total Knowledge Of Hinduism, সনাতন ধর্ম Hinduism Site
Tuesday
24-12-2024
6:30 AM
Login form
Search
Calendar
Entries archive
Tag Board
300
Site friends
  • Create a free website
  • Online Desktop
  • Free Online Games
  • Video Tutorials
  • All HTML Tags
  • Browser Kits
  • Statistics

    Total online: 15
    Guests: 15
    Users: 0

    Hinduism Site

    হিন্দু ধর্ম ব্লগ

    Main » 2011 » September » 19 » জন্মান্তরবাদ কি? Added by: Koilas
    1:55 PM
    জন্মান্তরবাদ কি?
    অন্য জন্ম জন্মান্তর। আর এই জন্মান্তর সমন্ধে যে দার্শনিক চিন্তা ভাবনা করে তাকে বলে জন্মান্তরবাদ।
    শ্রীমদ্ভগবদ্গীতায় অর্জুনকে উদ্দেশ্য করে ভগবান শ্রী কৃষ্ণের উক্তিটি প্রণিধানযোগ্য-

    বহুনি মে ব্যতীতানি জন্মনি তব চার্জুন।
    তান্যহং বেদ সর্বাণি ন ত্বং বেথু পরন্তপ ।।

    অর্থাৎ যে অর্জুন তোমার আমার বহুবার জন্ম হয়েছে। সে কথা তোমার মনে নেই, সবই আমার মনে আছে। এই বক্তব্যর মধ্য দিয়ে শ্রীকৃষ্ণ যে অর্জুনের সখা এবং তাঁর রথের সারথি এ সত্য অতিক্রম করে আর একটি পরম সত্য প্রকাশিত হয়েছে, তা হল তিনি সর্বজ্ঞ, পরেমেশ্বর। তিনি শাশ্বত. অব্যয় পরমাত্মার প্রতীক। আবার যখন বলা হয় অর্জুনের বহুবার জন্ম হয়েছে, এ থেকে বোঝা যায় অর্জুনের মধ্যেও পরমাত্মার ন্যায় কোন শাশ্বত বস্তু রয়েছে যা বহু বার জন্ম-মৃত্যুর মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয়েও নষ্ট হয়ে যান নি। শাস্ত্রের ভাষায় জীবদেহের ঐ শাশ্বত বস্তুটি হল জীবাত্মা, সংক্ষেপে আত্মা।
    জীবাত্মা পরমাত্মার অংশ বিশেষ। অংশের মধ্যেও মূলবস্তুর গুনাগুন বিদ্যমান। তাই পরমাত্মার ন্যায় জীবাত্মাও অব্যয়, জন্ম মৃত্যুহীন, শাশ্বতবস্তু। তবে কোন অনাদী অতীতে পরমাত্মা থেকে বিযুক্ত হয়ে জীবাত্মা ঐ পরমাত্মার পুনরায় মিলিত হওয়ার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তা বলা কঠিন। তবে যত দিন পর্যন্ত পরমাত্মা বা ঈশ্বরপ্রাপ্তি না ঘটে তত দিন পর্যন্ত জীবাত্মাকে বারবার নতুন দেহ ধারণ করে মোক্ষলাভ বা ঈশ্বর প্রাপ্তির জন্য যোগ্যতা অর্জন করতে হয়।


    দেহ ও আত্মা
    দেহ ও আত্মার মধ্যে এক ঘনিষ্ঠ সম্বন্ধ রয়েছে। দেহকে আশ্রয় করে আত্মার অভিযাত্রা, আবার আত্মাকে লাভ করে দেহ সজীব। দেহহীন আত্মা নিষ্ক্রিয়, আত্মাহীন দেহ জড়। তবে দেহের মধ্যে যে আত্মার অবস্থান এটা উপলব্ধি করা সহজ কাজ নয়। আত্মা যে দেহকে আশ্রয় করে সেটি কিন্তু নশ্বর। ক্ষিতি, অপ, তেজ, মরুৎ, ব্যোম-এই পঞ্চভূতে বা উপাদানে গড়া দেহ। এই দেহের বিনাস আছে । যিনি জীবদেহ ধারণ করে এসেছেন তারই দেহনাশ নিশ্চিত হয়ে রয়েছে। গীতায় এ সম্পর্কে বলা হয়েছে ‍‌‍‌‌‌‌ "জাতস্য হি ধ্রবো মৃত্যুঃ”- জাত ব্যাক্তির মৃত্যু অবধারিত । তবে ঐ যে দেহে জীবাত্মা ছিল তার কিন্তু বিনাশ নেই। ঐ জীবাত্মা এক দেহ ত্যাগ করে অন্য নতুন দেহে চলে যায়।

    “ধ্রবুং জন্ম মৃতস্য চ’ মৃত ব্যাক্তির জন্মও সুনিশ্চিত।

    জন্মান্তর প্রক্রিয়া
    জীবাত্মার পক্ষে মৃত্যুর অর্থ হল দেহত্যাগ। জীবাত্মা কেমন করে এবং কেনইবা দেহ ত্যাগ করে, গীতায় এ প্রসংঙ্গে বলা হয়েছে দেহত্যাগ ব্যাপারটি একটি সহজ কাজ, যেমন একই দেহে বাল্য, কৈশোর, যৌবন বার্ধক্য আসে, তেমনি আত্মাও স্বাভাবিকভাবেই জীর্ণ দেহ ত্যাগ করে চলে যায়। যেমন একই লোকে পুরাতন ছিন্ন বস্ত্র ত্যাগ করে নতুন বস্ত্র পরিধান করে. সেইরূপ জীবাত্মাও জীর্ণ দেহ ত্যাগ করে নতুন দেহ গ্রহন করে।
    এভাবে পুরাতন দেহ ত্যাগ করে জীবাত্মা যে নতুন দেহ ধারন করছে অর্থাৎ দেহের সংঙ্গে তার যে সংযোগ বিয়োগ ঘটেছে এটাই জন্মান্তরবাদ।


    কর্মবাদ
    জন্মান্তরবাদের সংঙ্গে কর্মবাদ অতন্ত্য ঘনিষ্ঠভাবে সম্পৃক্ত। আত্মার অবিনাশিতা ও জন্মান্তরবাদের ন্যায় কর্মবাদও হিন্দু ধর্মের বিত্তি প্রস্তর স্বরূপ। কর্মবাদের মূল কথা হচ্ছে বিশ্ব জগৎ স্রষ্টার বিরাট কর্মক্ষেত্র। এখানে জীব ভাবনা, বাসনা ও চেষ্টার দ্বারা নানা রকম কর্ম করে যাচ্ছে। আর প্রত্যেকটা কর্মের রয়েছে পৃথক পৃথক কর্মফল। হিন্দুধর্মের মতে কর্ম করলেই উৎপন্ন হবে, আর কর্মকর্তাকে তা অবশ্যই ভোগ করতে হবে। আর এই কর্মফল ভোগ শেষ না হওয়া পর্যন্ত মোক্ষপ্রাপ্তি বা জন্ম মৃত্যুরূপ সংসারচক্র থেকে মুক্তি হবে না।

    মুক্তির উপায়

    তবে জীবের মুক্তির উপায় কী? নিষ্কামভাবে কর্ম করলে, সে কর্মের যে ফল উৎপন্ন হবে তা কর্মকর্তাকে ভোগ করতে হবেনা। সুতরাং নিষ্কাম কর্মের অনুশীলন করাই সঙ্গত কাজ। নিষ্কাম কর্ম করে জীভ মুক্তি লাভ করতে পারে।
    Views: 1467 | Added by: Koilas | Rating: 5.0/3
    Total comments: 4
    +1  
    1 নামহীন   (19-09-2011 2:10 PM) [Entry]
    ভাল লাগলো

    বেদে জন্মান্ত্র নিয়ে যে কথা গুলা আছে সেগুলো কি জানাবেন?

    0  
    2 rajendra   (19-09-2011 2:57 PM) [Entry]
    লেখক কে ধন্যবাদ

    এটা নিয়েই একটা লেখাদিতে চাইছিলাম

    আপনি দেয়াতে খুশি হলাম

    নামহীন এর প্রশ্নের উত্তর টা আমার ও জানা দরকার biggrin biggrin

    0  
    3 Koilas   (19-09-2011 3:33 PM) [Entry]
    ধন্যবাদ আপনাদের মন্তব্য করার জন্য।

    হিন্দু ধর্ম বিশ্বাস করে, জীবের মৃত্যুর পর আত্মা পুনরায় জীবদেহ নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। হিন্দু ধর্মে মৃত্যু পরবর্তী জীবনে সবাই বিশ্বাসী। ‘জন্মান্তর’ কথাটির মূল অর্থ হল, জীবাত্মা একদেহ পরিত্যাগ করলে কর্মফল ভোগ করার জন্য অন্য দেহ ধারণ করে এ জগতেই পুনরায় জন্মগ্রহণ করে।

    বেদ, উপনিষদ এবং ভগবৎ গীতায় বলা হয়েছে, জীবাত্মা স্বরূপতঃ ঈশ্বরের সাথে সম্পর্কিত। কিন্তু জাগতিক বস্ত্তর প্রতি আসক্তিবশতই আত্মাকে দেহ ধারণ করতে হয়। জীবাত্মার একাধিক জন্মগহণের কারণ হল তার ভোগাকাঙ্ক্ষা। আর এরূপ পুনঃপুনঃ জন্ম গ্রহণকেই বলা হয় জন্মান্তরবাদ।

    গীতায় বলা হয়েছে, মানুষ প্রকৃতির সংসর্গবশত প্রকৃতির, গুণ অর্থাৎ সত্ত্বঃ তমোঃ এবং রজঃ গুণের প্রভাবে সুখ-দুখ, মোহাদিতে আবদ্ধ হয়ে পড়ে এবং আমি সুখী, আমি দুঃখী, আমি কর্তা, আমার কর্ম ইত্যাদি আমিত্ব প্রকাশ করতঃ কর্মনাশে প্রবৃত্ত হয়। এ সকল কর্মফল ভোগের জন্য তাকে বারবার জন্মগ্রহণ করতে হয়। আর একাধিকবার জন্মগ্রহণ করাকেই বলা হয় জন্মান্তরবাদ।

    0  
    4 নামহীন   (19-09-2011 10:07 PM) [Entry]
    দাদা ভাল লাগলো পড়ে

    biggrin biggrin biggrin biggrin

    Only registered users can add comments.
    [ Registration | Login ]