চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে একই পরিবারের ১১ জনকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় উপজেলা বিএনপি'র সহ-সভাপতি আমিনুুর রহমান চৌধুরী ওরফে আমিন চেয়ারম্যানসহ ৩৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।
সোমবার চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ বিকাশ কুমার সাহার আদালতে অভিযোগ গঠন করা হয়।
২০০৩ সালের ১৮ নভেম্বর গভীর রাতে বাঁশখালীর সাধপুরের শীল পাড়ার তেজেন্দ্র শীলের দ্বিতল মাটির ঘরে তালা দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এতে চার দিনের নবজাতকসহ ওই পরিবারের ১১ জন ঘুমন্ত অবস্থায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান।
বেঁচে যাওয়া একমাত্র সদস্য ডা. বিমল চন্দ্র শীল বাদী হয়ে ওই ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও জেলা পিপি আবুল হাশেম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বিচারক ৪৩৬ ও ৩৯৬ ধারায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন।
আগামী ১৭ অক্টোবর সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এর আগে গত ৯ জানুয়ারি এ মামলার অষ্টম তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে সিআইডি'র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) হ্লা চিং প্র" অভিযোগপত্র জমা দেন। এতে আমিন চেয়ারম্যানসহ নতুন করে আরো আটজনকে সংযুক্ত করে মোট ৩৯ জনকে আসামি করা হয়। পরে শুনানিতে নুরুল ইসলাম নামে অভিযোগপত্রভুক্ত এক আসামিকে বাদ দেওয়া হয়।
ঘটনার পর থেকে ওই ঘটনায় স্থানীয় বিএনপি নেতা আমিনুর রহমান জড়িত থাকার অভিযোগ উঠলেও তৎকালীন সরকারের সময়ে তদন্তে পুলিশ তাকে অভিযুক্ত করা থেকে বিরত থাকে।
মামলার প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা সাতকানিয়া সার্কেলের তৎকালীন এএসপি ক্লারেন্স গোমেজ ২০০৫ সালের ১৪ ডিম্বের তাকে বাদ দিয়ে ৩১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে তদন্ত শেষ করেন। মামলার বাদী বিমল শীল এর বিরুদ্ধে নারাজি দিয়ে অধিকতর তদন্তের আবেদন করেন। আদালত ২০০৭ সালের ২০ মার্চ মামলাটি অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন।
এরপর বেশ কয়েকবার আমিনুর রহমানকে বাদ দিয়ে অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হলেও প্রতিবারই বাদী এর বিরোধিতা করে আদালতে অধিকতর তদন্তের আবেদন করেন।
এ মামলায় তিনজন আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।