আপনারা কয়জন দেগঙ্গাতে হিন্দুবিরোধী দাঙ্গার কথা জানেন?
২০১০ এর ৬ সেপ্টেম্বর।
স্থানঃ দেগঙ্গা, উত্তর ২৪ পরগনা, পশ্চিম বাংলা।
জায়গাটি সিডি ব্লক এ অবস্থিত। ২০০১ এর আদমশুমারি অনুযায়ী এখানে ৬৯.৫১% মুসলিম। এতি বসিরহাট নির্বাচনী এলাকাতে অবস্থিত। হাজি নুরুল ইসলাম ২০০৯ সালে এখান থেকে নির্বাচিত হন তৃণমূল কংগ্রেস হতে এবং তারপর বাংলাদেশ থেকে অবৈধ মুসলিমদের প্রবেশ বেড়ে যায়।
ঐদিন সকাল বেলা হিন্দুরা একটি কবরস্থানের কাছে দুর্গামণ্ডপ বানাতে গেলে মুসলিমরা বাধা দেয়। পুলিশ থামাতে গেলে মুসলিমরা তাদেরকেও মারপিট করে ও ওসি অনুপ ঘোষের মাথা ফাটিয়ে দেয়। হাজী নুরুল ইসলাম তার মুসলিম গুণ্ডা দের নিয়ে পুলিশ স্টেশন এ যায় ও পুলিশকে শাসায়। এতিমদ্ধে ১৪৪ ধারা জারি হয়েছে। ডিএস্পি অশোক রায় অনেক পুলিশ ও Rapid Action Force নিয়ে যান গণ্ডগোল থামাতে। মুসলিমরা তাদেরকেও মারধর করে। এ দিকে হিন্দুদের উপর ইসলামী জেহাদিদের তাণ্ডব চলছে। অবশেষে ২ কলাম সেনা দেগঙ্গাতে প্রবেশ করে। হিন্দুরা আশার আলো পায়। জেহাদিরা আর্মি দেখে পালিয়ে যায় ও হিন্দুরা বাড়ি থেকে বের হয়ে কাঁদতে থাকে।
ভারতীয় মুসলিমরাই হিন্দু মন্দির আক্রমন করে। দেগঙ্গা বিপ্লবী কলোনির কালী মন্দিরটি নুরুল ইসলামের তদারকি তে ভাঙ্গা হয়। হিন্দুরা বাধা দিতে যায় কিন্তু মুসলিমরা তাদের তাড়া দেয়। মুসলিমদের হাতে ছিল তলোয়ার ও ড্যাগার। কাক্রা মিরযা নগরের কালী মন্দিরটিও আল্লার মোমিন বান্দাদের হাত থেকে বাচে নাই। কার্তিকপুরের শনি মন্দিরটিও ভাঙ্গা হয়। পরদিন রাম্নাথপুর ও খেজুরডাঙ্গাতে মুসলিমরা হিন্দুবাড়ি আক্রমন করে। ২৩টি বাড়ি ভাঙ্গা হয়। হিন্দুরা পালিয়ে আশ্রয় নেয় কার্তিকপুরে। দেগঙ্গা থানা থেকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে মুসলিমরা তাদের পিটিয়ে আহত করে।
দাঙ্গা বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চলে। আর্মির সামনেই জেহাদিরা ঘোষণা দেয় তারা হিন্দু নারীদের ভোগ করবে। এই এলাকার হিন্দুরা অনেকে বাংলাদেশ থেকে নির্যাতিত হয়ে এসেছে। তারা বলে মুসলিমরা আমাদের অপারেও মেরেছে, এপারেও মেরেছে। আমরা কোথায় যাব? কিন্তু মুসলিমদের ভোটের ভয়ে তৃণমূল ও সিপিএম কিছুই করল না। এটা মিডিয়াতেও তেমন বড় করে এল না। অথচ এই মিডিয়াই গুজরাট দাঙ্গার সময় কত মিথ্যাচার করেছে মুসলিমদের পক্ষে।
বৃহস্পতিবার বিজেপির নেতারা জায়গাটি পরিদর্শন করেন। ১০ তারিখ বিজেপি ঘতনার মুল নায়ক হাজী নুরুল ইস্লামের গ্রেপ্তার দাবি করেন। হিন্দু সমিতি অনেক সাহায্য করেছে দাঙ্গার খবর বাইরে প্রচার করতে। মুসলিমদের ভোট হারানোর ভয়ে কোলকাতার মিডিয়া চুপ ছিল।