অনেকে গণেশ সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে চান। আজ গণেশ চতুর্থীর শুভ দিনে কিছু প্রশ্নের উত্তর দিবঃ
১। প্রথম প্রশ্ন হচ্ছে গণেশের হাতির মাথা কেন? হাতি শুঁড়ের সাহায্যে ছোট সুঁই থেকে গাছের কাণ্ড তুলতে পারে। ঠিক একই ভাবে গণেশের শুঁড় বলে একজন বিজ্ঞ প্রচণ্ড শক্তিশালী থেকে সাধারণ জিনিস আলাদা করতে পারেন।
২। গনেশের বর কান বোঝায় বিজ্ঞ সব কিছু শুনতে পান।
৩। গণেশের ৪ হাত। ৩ হাতে পদ্ম, কুঠার, লাড্ডু আরেক হাতে তিনি ভক্ত দের আশীর্বাদ করছেন। পদ্ম আলোকিত মনের প্রতীক। কুঠার বলে যখন আত্মা আলোকিত হয় তখন অতীত কর্ম বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। লাড্ডু পবিত্র জীবনের উপহার। মজার ব্যাপার গণেশ নিজে লাড্ডু খান না। মানে বিজ্ঞ কখনই কর্মফল কামনা করেন না। তিনি নিষ্কাম কর্ম করেন যা মুক্তির একমাত্র উপায়। আশীর্বাদ এর ভঙ্গিতে হাত বোঝায় বিজ্ঞ লোক সবার ভাল কামনা করেন। ৪। মাঝে মাঝে গণেশের একটি দাঁত ভাঙ্গা থাকে। একটি দাঁত বোঝায় আমরা যেন সবাই এক থাকি। ৫। গণেশ বসে আছেন এক পায়ের উপর ভর করে। এর মানে বৈষয়িক সংসারে থাকলেও বিজ্ঞ তা নিজেকে স্পর্শ করতে দেন না। ৬। বাহন ইঁদুর আমাদের ইন্দ্রিয়র প্রতীক। যা ৬ রিপুর তাড়না তে মক্ত থাকে। গণেশের ইঁদুর এর উপর বসে থাকা বোঝায় বিজ্ঞ ইন্দ্রিয়কে সদা নিয়ন্ত্রণে রাখেন।
আসুন গণেশ চতুর্থীর দিন আমরা শপথ নেই আমরা রিপুর তাড়নাতে বিভ্রান্ত না হয়ে নিষ্কাম কর্ম করে মুক্তির পথে অগ্রসর হই।
দাদা আপনার প্রস্তাব টা অনেক সুন্দর । এটা রাজেন্দ্র দাদা এর আগে বলছিলেন, কিন্তু আমরা বর্তমানে যে সিস্টেমে আছি মানে ucozএ এখানে এটা মনে হয় সম্ভব না। যদি ভগবানের কৃপায় আমরা নিজস্ব ডোমইন নিয়ে শুরু করতে পারি তবে অবশ্ই সেটা হবে। সাধারনত wordpress দিয়ে সাইট করলে সেই সুবিধা টা পাওয়া যায়। আমরা চেষ্টা করছি ডোমইন নেওয়ার,একটু প্রার্থনা করবেন।