নাটোরে চলছে দূর্গাপূজা শুরুর শেষ মূহুর্তের প্রস্তুতি
নাটোর জেলার ছয়টি উপজেলার বিভিন্ন মন্ডপে দূর্গাপূজার শেষ মূহুর্তের প্রস্তুতি চলছে। পূজা মন্ডপগুলোতে প্রতিমা প্রতিস্থাপন, প্যান্ডেল সাজানো এবং সুষ্ঠু ও যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা মধ্যদিয়ে পূজা বিভিন্ন পূজা উৎযাপন কমিটির লোকজন এখন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। জেলা পূজা উৎযাপন কমিটির সভাপতি চিত্তরঞ্জন সাহা জানান, এবারে ৩৫৪টি স্থায়ী ও অস্থায়ী প্যান্ডেলে উৎযাপনের প্রস্ততি নেওয়া হয়েছে, গত বছর জেলায় ৩২১টি প্যান্ডেলে দূর্গাপূজা উৎযাপিত হয়েছে। ইতিমধ্যেই অধিকাংশ প্যান্ডেলে সাজানোর কাজ শেষ হয়ে গেছে। চলছে শেষ সময়ের রং করা। এবারে সদর উপজেলার সদর থানায় ৬১টি, নলডাঙ্গা থানায় ৫৫টি, সিংড়া উপজেলায় ১০১টি, বড়াইগ্রাম উপজেলায় ২০টি, গুরুদাসপুর উপজেলায় ২৮টি এবং লালপুর উপজেলায় ৪৩টি প্যান্ডেলে পূজা উদযাপিত হবে। নিরাপত্তা বিষয় সম্পর্কে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক মোঃ মজিবর রহমান জানান, দূর্গা পূজা উদযাপন নিয়ে সভা করে আইন শৃংখলা রক্ষায় প্রয়োজনীয় আইন শৃ্খংখা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। উলে¬¬খ্য আগামী ২ অক্টোবর থেকে দেশের অন্যান্য এলাকার মত নাটোরের বিভিন্ন মন্ডপেও দূর্গা পূজা শুরু হবে এবং ৬ অক্টোবর প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে শেষ হবে।
মোরেলগঞ্জে দুর্গোৎসবের প্রস্ততি সম্পন্ন ৬৭টি পূজামন্ডপের ২৯টি ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত
মোরেলগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ মো.আব্দুল খালেক জানান, পৌরসভাসহ উপজেলার ৬৭ টি পূজা মন্ডপের মধ্যে ২৯ টিকে ঝুঁকিপূর্ন এবং বাকি পূজা মন্ডপ গুলোকে সাধারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তিনি বলেন ৬৭ টি পূজা মন্ডপেরই শান্তি শৃংখলা রক্ষার্থে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তবে ঝুঁকিপূন্ন মন্ডপগুলোতে আইন-শৃংখলা বাহীনির অধিক সংখ্যক সদস্য মোতায়েন করা হবে। নাটোরে পূজা উদ্যাপন পরিষদ দূর্গাপূজার সময় ঘোষিত পরীক্ষার সময়সূচি পরিবর্তনের দাবী
নাটোর জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদ দূর্গাপূজার সময় (২-৬ অক্টোবর) বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ঘোষিত পরীক্ষার সময় সূচী পরিবর্তনের দাবী জানিয়েছে। নাটোর জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদ সূত্রে জানা যায়, আগামী ২ থেকে ৬ অক্টোবর সারাদেশে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। অথচ বগুড়া ও দিনাজপুর মেডিক্যাল কলেজ এবং ব্র্যাংক বিশ্ববিদ্যালয় ওই সময়ের মধ্যে বিভিন্ন পরীক্ষা অনুষ্ঠানের সময় সূচী ঘোষণা করেছে। এতে হিন্দু ধর্মালম্বি শিক্ষার্থীরা পূজার আনন্দ থেকে বঞ্চিত হবেন। তারা পরিবার পরিজনের সাথে মিলিত হয়ে পূজার উৎসবে যোগ দিতে পারবেন না। পূজা উদ্যাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ এই ঘটনাকে দূর্ভাগ্যজনক বলে মন্তব্য করেছেন। নাটোর জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি চিত্তরঞ্জন সাহার নেতৃত্বে পরিষদের অনান্য নেতারা মঙ্গলবার নাটোর জেলা প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের কাছে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান এবং ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারা অবিলম্বে পরীক্ষার ঘোষিত তারিখ পরিবর্তন করার দাবী জানান। একই সঙ্গে পরিবর্তীত তারিখ গণমাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচারের দাবী করেন। এ ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য শিক্ষা মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
এবারের দুর্গাপূজার নিরাপত্তায় ৭৫ হাজার নিরাপত্তারক্ষী
বিগত দিনগুলোর তুলনায় এবার শারদীয় দুর্গোৎসবে দেবী দুর্গার আরধনার দিনগুলোতে নিরাপত্তার স্বার্থে ৭৫ হাজার নিরাপত্তারক্ষী নিয়োজিত করার নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক উচ্চ পদস্ত কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
জানা গেছে, পুলিশ, র্যাব ও আনসার বাহিনীর ৭৫ হাজার সদস্যরা সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দেবী দুর্গার আরাধনার দিনগুলোতে সারাদেশে নিয়োজিত থাকবে। জনসাধারণের নিরাপত্তার স্বার্থে এরা সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এরই মধ্যে সংশ্লিষ্ট বাহিনীকে বিশেষ নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।
ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘শুধু পূজা মন্ডপই নয়, বরং পুরো শহর বা এলাকার নিরাপত্তা রক্ষার জন্য তিন বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরাও দায়িত্ব পালন করবেন।
পুলিশের ৪০ হাজার কর্মকর্তা-কর্মী, র্যাবের ২০ হাজার ও আনসারের ১৫ হাজার সদস্য পূজার সময়গুলোতে দায়িত্ব পালনের জন্য তিন বাহিনী এরইমধ্যে সময়সূচি তৈরি করেছে। তবে ঢাকা মহানগরীর জন্য র্যাব, পুলিশ ও আনসারের ১৫ হাজার সদস্য দায়িত্ব পালন করবে।
৩ অক্টোবর দুর্গাদেবীর বোধন ও ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে দূর্গা দেবীর আরাধনা শুরু হবে। ৭ অক্টোবর দশমী পূজার পর বিসর্জনের মধ্যদিয়ে শেষ হবে অর্চনা।
ঢাকা নগরীতে ১৯৬টি সহ সারাদেশে এ বছর ২৮ হাজারের বেশি মন্ডপে পূজার আয়োজন করা হয়েছে।