n দেশের বিভিন্ন স্থানে দুর্গাপূজা উদযাপনের প্রস্তুতির আরও অনেক খবর - 23 September 2011 - হিন্দু ধর্ম ব্লগ - A Total Knowledge Of Hinduism, সনাতন ধর্ম Hinduism Site
Saturday
23-11-2024
7:05 PM
Login form
Search
Calendar
Entries archive
Tag Board
300
Site friends
  • Create a free website
  • Online Desktop
  • Free Online Games
  • Video Tutorials
  • All HTML Tags
  • Browser Kits
  • Statistics

    Total online: 19
    Guests: 19
    Users: 0

    Hinduism Site

    হিন্দু ধর্ম ব্লগ

    Main » 2011 » September » 23 » দেশের বিভিন্ন স্থানে দুর্গাপূজা উদযাপনের প্রস্তুতির আরও অনেক খবর Added by: DharmaJuddha
    7:22 PM
    দেশের বিভিন্ন স্থানে দুর্গাপূজা উদযাপনের প্রস্তুতির আরও অনেক খবর
    দুপচাঁচিয়ায় শারদীয় দুর্গোৎসব সুষ্ঠুভাবে পালনের লক্ষ্যে প্রস্তুতিমূলক সভা:

    আসন্ন শারদীয় দুর্গোৎসব সুষ্ঠুভাবে পালনের লক্ষ্যে দুপচাঁচিয়া উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে গত শুক্রবার মহাশ্মশান কালীবাড়ি মন্দির চত্বরে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরিষদের সভাপতি অসীম কুমার দাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের আইন বিষয়ক সম্পাদক এড. উৎপল কুমার বাগচী, পৌর সচিব কার্তিক চন্দ্র দাস, পৌর কাউন্সিলর তাপসী রানী দাস, মহাশ্মশান কালীবাড়ি মন্দির কমিটির সভাপতি দ্বিজেন্দ্রনাথ বসাক মন্টু, ব্যবসায়ী শ্যাম সুন্দর আগরওয়ালা, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সহসভাপতি তপন কুমার কুন্ডু, সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব কুমার মোহন্ত বিপুল, সাংগঠনিক সম্পাদক শিশির চক্রবর্তী, কোষাধ্যক্ষ পরিমল চন্দ্র দাস, সুশীল চন্দ্র বর্মন প্রমুখ। বক্তাগণ দুর্গোৎসব সুষ্ঠুভাবে পালন কল্পে উপজেলার ৩৯টি পূজা মন্ডপে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানান।

    [color=red]

    কৃতজ্ঞতাঃ দৈনিক করতোয়া [/color]

    দিনাজপুর দুর্গাপুজা সমন্বয় কমিটি গঠিতঃ

    দিনাজপুরে আসন্ন শারদীয় দুর্গোৎসব সুষ্ঠুভাবে উদ্‌যাপনের লক্ষ্যে দিনাজপুর সর্বজনীন দুর্গাপুজা সমন্বয় কমিটি গঠিত হয়েছে। দিনাজপুর নিত্যধর্ম বোধনী সভায় শনিবার রাতে দুর্গাপূজা কমিটির নেতৃবৃন্দের এক সভায় ৩৫ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়।
    কমিটি নিম্নরুপ : প্রধান পৃষ্ঠপোষক শ্রী অমলেন্দু ভৌমিক, উপদেষ্টা মন্ডলী শ্রী পুলিন বিহারী চক্রবর্তী, শ্রী ভোলানাথ ব্যানার্জী, শ্রী বিমল কুমার দেব, শ্রী যতীন্দ্র নাথ মুখার্জী, শ্রী নির্মল কুমার আগরওয়ালা, শ্রী সত্যেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী, শ্রী প্রনব গুহ, সভাপতি শ্রী পরিমল চক্রবর্তী তপন, সহ-সভাপতি শ্রী চিত্ত ঘোষ, শ্রী কান্তলাল সাহা, ডাঃ বি কে বোস, শ্রী ভবানী শংকর আগরওয়ালা, ডাঃ রামানন্দ বসাক, সাধারণ সম্পাদক শ্রী সুব্রত মজুমদার ডলার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শ্রী অনুপ কুমার দে, সাংগঠনিক সম্পাদক শ্রী বিশ্বনাথ গুপ্ত, কোষাধ্যক্ষ শ্রী আশীষ কুমার দত্ত বাবলা, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক, শ্রী প্রেমনাথ রায়, প্রচার সম্পাদক, শ্রী স্বরূপ বক্সী বাচ্চু, দপ্তর সম্পাদক, কমল কুমার রায়, সাংস্কৃতিক সম্পাদক, শ্রী সত্য ঘোষ, সহ- সাংস্কৃতিক সম্পাদকঃ শ্রী বিমান দাস, শ্রী সুশীল দাস প্রমুখ।


    কৃতজ্ঞতাঃ The Editor.Net


    নাটোরে দূর্গাপূজার প্রস্তুতি চলছেঃ
    নাটোর জেলার ছয়টি উপজেলার বিভিন্ন মন্ডপে ও অস্থায়ী প্যান্ডেলে দূর্গাপূজার প্রস্তুতি চলছে। পূজা মন্ডপের মূর্তি তৈরি, প্যান্ডেল ডেকোরেটর এবং সুষ্ঠু ও যথাযথ নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে পূজা উদযাপনে বিভিন্ন পূজা উদযাপন কমিটি এখন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে।

    জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি চিত্তরঞ্জন সাহা জানান, গত বছর জেলায় ৩২১টি প্যান্ডেলে দূর্গাপূজা উদযাপিত হলেও এবার ৩৫৪টি স্থায়ী ও অস্থায়ী প্যান্ডেলে উদযাপনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই অধিকাংশ প্যান্ডেল সম্পন্ন হয়েছে তবে মূর্তি রং করা বাঁকি রয়েছে।

    এবার সদর উপজেলার সদর থানায় ৬১টি, নলডাঙা থানায় ৫৫টি, সিংড়া উপজেলায় ১০১টি, বড়াইগ্রাম উপজেলায় ৪৬টি, বাগাতিপাড়া উপজেলায় ২০টি, গুরুদাসপুর উপজেলায় ২৮টি এবং লালপুর উপজেলায় ৪৩টি প্যান্ডেলে পূজা উদযাপিত হবে। তবে এখন পর্যন্ত জেলার কোথাও কোন প্যান্ডেল তৈরিতে বাধা বা কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

    বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক মজিবর রহমান জানান, আগামী ২২ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে দশটায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে দূর্গাপূজা উদযাপন বিষয়ে বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনার জন্য মিটিং আহ্বান করা হয়েছে। মিটিংয়ে সার্বিক প্রয়োজনীয় আইন-শৃঙ্খলা এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

    উল্লেখ্য, আগামী ২ অক্টোবর থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানের মত নাটোরের বিভিন্ন মন্ডপে দূর্গাপূজা শুরু এবং ৬ অক্টোবর প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে তা শেষ হবে।


    ভৈরব : হিন্দু সমপ্রদায়ের দুর্গোৎসব উপলক্ষে ভৈরবে পূজাম-পগুলোতে সাড়ম্বরে শুরু হয়ে গেছে শারদীয় দুর্গাৎসবের প্রস্তুতি। প্রতিমা শিল্পীরা দিনরাত ব্যস্ত প্রতিমা নির্মাণে। ভৈরবে বেশ কয়েকটি পূজাম-প ঘুরে সর্বত্র দুর্গাপূজার ব্যাপক প্রস্তুতি দেখা গেছে। দেবীকে স্বাগত জানাতে সব খানেই এখন সাজসাজ রব। ইতিমধ্যে মাটির কাজ প্রায় শেষ করে এনেছে মৃৎ শিল্পীরা। প্রতিমা গড়া শেষে রংতুলির অাঁচড়ে ফুটিয়ে তোলা হবে প্রতিমার চিত্রণ, দৃষ্টনন্দন নাক, চোখ, মুখসহ পূর্ণ অবয়ব। এরপর শুরু হবে পোশাক-পরিচ্ছদ পরিধানের কাজ। এদিকে মন্দিরগুলোর পরিচ্ছন্ন আর রং করার কাজও শুরু করেছে আয়োজকরা। নয়নাভিরাম আলোকসজ্জা, ডিজিটাল সাউন্ড সিস্টেম, সবমিলিয়ে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে প্রতিটি পূজাম-পে।
    ভৈরব উপজেলার পৌরসভা ও ৭টি ইউনিয়নে ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে আগামী ২ অক্টোবর গোপাল জিউর মন্দির ভৈরব বাজার, শ্রী কালিবাড়ী পূজাম-প ভৈরব বাজার, ঋষীমন্দির পরিচালনা কমিটি ভৈরববাজার দক্ষিণ ঋষি পট্টি, মধ্য ঋষি পাড়া ভৈরব বাজার টিনপট্টি, জয় সংগঠন চ-িবের দক্ষিণ পাড়া, আদ্যাশক্তি মাতৃমন্দির রেলওয়ে কলোনি চ-িবের, ভৈরব হরিজন সেবা সংস্থা পাওয়ার হাউসসংলগ্ন চ-িবের, পলতাকান্দা ঠাকুর বাড়ি পূজাম-প পলতাকান্দা চ-িবের, নবজাগরণ সংঘ টিনপট্টি, জগন্নাথপুর পূজাম-প জগন্নাথপুর দক্ষিণ পাড়া, কমলপুর ঠাকুর বাড়ি কমলপুর, পঞ্চবটি পূজাম-প পঞ্চবটি, রামশঙ্করপুর পূজাম-প রামশঙ্করপুর, উত্তর পাড়া ছাতিয়ান তলা পূজাম-প আগানগর ইউনিয়ন, সাদেকপুর পূজাম-প সাদেকপুর ইউনিয়ন, শিমুলকান্দি পূজাম-প শিমুলকান্দি ইউনিয়ন, ছাগাইয়া পূজাম-প আগানগর ইউনিয়ন, মানিকদী সেবা সংঘ পূজাম-প গজারিয়া ইউনিয়ন, মাকিনদী বড়কান্দা পূজাম-প গজারিয়া ইউনিয়ন, সোনারামপুর দুর্গামন্দির শ্রীনগর, সর্বমোট ২১টি ম-পে সনাতন ধর্মাম্বলীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা শুরু হবে। ভৈরব উপজেলা পূজা উদযাপনের সভাপতি উপাধ্যক্ষ জিতেন্দ্র চন্দ্র দাশ জানান, ইতিমধ্যে পূজার সমস্ত আয়োজন ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমরা গতবারের চেয়ে এবার আড়ম্বনাপূর্ণ শারদীয় দুর্গা উৎসব পালন করা হবে।
    এ ব্যাপারে ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহজাহান কবির জানান, পূজার নিরাপত্তার ব্যাপারে প্রতিটি পূজাম-পে পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হবে। কোনো রকম নাশকতা ও ইভটিজিং যাতে না হয় সে ব্যাপারে আমরা সতর্ক অবস্থায় আছি এবং কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনীর ব্যবস্থা করা হবে।
    বড়াইগ্রাম : দুর্গাপূজা হিন্দু সমপ্রদায়ের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব। শারদীয় এ উৎসব জমিয়ে তুলতে প্রতিমা তৈরিতে এখন মহাব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন নাটোরের বড়াইগ্রামের প্রতিমা শিল্পীরা। পূজাম-পগুলোর সাজসজ্জার কাজও চলছে পুরোদমে। পূজাকে সামনে রেখে ইতিমধ্যে ভিন্ন আমেজ বইতে শুরু করেছে। শুরু হয়েছে চোখ ধাঁধানো পূজাম-পের মঞ্চ তৈরি ও নানা পরিকল্পনার কাজ। অন্যদিকে পূজোয় নতুন পোশাক কিনতে সবাই ভিড় করছেন গার্মেন্ট ও বিলাসবহুল বস্ত্রবিতানে। মধ্যবিত্তরা সাধারণ দোকান ও দরিদ্ররা ফুটপাথ থেকে কিনছেন তাদের পছন্দের পোশাক। কসমেটিকস, জুতা, জুয়েলারি ও মনোহরি দোকানগুলোতেও ভিড় চোখে পড়ার মতো। তবে বাজারে সোনার দাম বেশি থাকায় সিটি গোল্ডের গহনার দিকে তরুণীরা বেশি ঝুঁকছেন। পূজা উপলক্ষে স্থানীয় প্রসাশনের পক্ষ থেকে উৎসব চলাকালে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানানো হয়েছে। উপজেলায় সবচেয়ে বেশি পূজা অনুষ্ঠিত হয় বনপাড়া, লক্ষ্মীকোল ও জোনাইলে। পূজা শুরুর বাকি মাত্র ১২ দিন। এর মধ্যেই সব কাজ শেষ করতে হবে। তাই প্রতিমা শিল্পীদের চোখে এখন ঘুম নেই, বছরের সবচেয়ে ব্যস্ত সময় কাটছে তাদের।
    উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে জানা গেছে, এবার প্রতিমা তৈরিতে খরচ বেড়েছে। প্রতিমা তৈরির উপকরণেও দাম বেশি। ফলে প্রতিমা তৈরিতে প্রয়োজনীয় সামগ্রীসহ প্রতিমা শিল্পীরা তাদের মজুরি বাড়িয়ে দিয়েছেন। তারপরও থেমে নেই হিন্দু সমপ্রদায়ের সর্ববৃহৎ এ উৎসব আয়োজনে। পঞ্জিকা মতে, আগামী ২ অক্টোবর দুর্গাদেবীর বোধন ও ষষ্ঠাদি কল্পনারম্ভের মধ্য দিয়ে পূজা অনুষ্ঠান শুরু হবে। ৬ অক্টোবর দশমী পূজা শেষে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে এ উৎসব শেষ হবে। প্রতিমা শিল্পী নিতাই চন্দ্র দাস বলেন, প্রতিমা তৈরির জিনিসপত্রের দাম দ্বিগুণেরও বেশি হওয়ায় আমরা বেশি টাকা নিতে বাধ্য হচ্ছি। বাগডোব হাটপাড়া ম-পের সভাপতি সুদিপ কুমার সরকার বলেন, বিভিন্ন খরচের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আমাদের আয় বারছে না, কিন্তু খরচ ঠিকই করতে হচ্ছে। বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের বড়াইগ্রাম শাখার সম্পাদক প্রভাষক গোপাল চন্দ্র জানান, এবার উপজেলায় ৪৫টি ম-পে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। উপজেলায় বড়াইগ্রাম ও জোয়াড়ী ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি ৯টি করে ম-পে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। সব সমপ্রদায়ের পদভারে মুখরিত হবে আমাদের এ ধর্মীয় উৎসব। তাই অন্য সমপ্রদায়ের মধ্যেও দুর্গা উৎসবকে ঘিরে রয়েছে ব্যাপক উৎসহ।
    ঝিনাইগাতী : শেরপুরের সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে দুর্গোৎসব পালনের ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে। ২ অক্টোবর হিন্দু সমপ্রদায়ের দুর্গোৎসব আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে। এ বছর ঝিনাইগাতী উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে ১৫টি পূজাম-পে দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি পূজাম-বে শুরু হয়েছে প্রতিমা তৈরির কাজের পাশাপাশি হিন্দু সমপ্রদায়ের লোকদের কেনাকাটার ধুম। সরেজমিন উপজেলার বিভিন্ন পূজাম-পে গিয়ে দেখা গেছে, কোনো কোনো মন্দিরে প্রতিমায় মাটি লাগানোর কাজ শেষ হয়েছে। আবার কোনো কোনোটায় চলছে রঙের কাজ প্রতিমা তৈরির কাজে নিয়োজিত ঝিনাইগাতী উপজেলার চাপাঝুড়া কুমারপাড়া গ্রামের প্রতিমা তৈরির কারিগর দিলীপ চন্দ্র পালের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এ বছর উপজেলার ১৫টি প্রতিমার মধ্যে ৭টি তৈরির কাজ পেয়েছেন সে। প্রতিটি প্রতিমা তৈরির জন্য মজুরি পায় প্রায় ১০ হাজার টাকা। বর্তমানে দিলিপ চন্দ্র পালের সময় কাটছে ব্যস্ততার মধ্যে। হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, ঐক্যপরিষদের সাধারণ সম্পাদক জীবন চক্রবর্তী ও বিশ্বজিৎ রায় জানান, দুর্গোৎসব পালনের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে।
    বরুড়া : কুমিল্লার বরুড়ায় শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতিসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কবির উদ্দীন সভাপতিত্ব করেন। প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান হাফিজ আহমেদ। বিশেষ অতিথির ছিলেন উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি অসিত রঞ্জন দাস, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) নাসির উদ্দিন মৃধা, পৌর মেয়র জসিম উদ্দিন পাটোয়ারী। বক্তব্য রাখেন মাজহারুল ইসলাম, শওকত হোসেন, জাকির হোসেন বাদল, সৈয়দ রেজাউল হক রেজু, কেন্দ্রীয় জগন্নাথ মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি গোপাল চন্দ্র সাহা, সুনীল মজুমদার, কার্তিক দেবনাথ, ভূবন মোহন প্রমুখ।
    শেরপুর : শেরপুর জেলায় এবার ১৩৩ ম-পে অনুষ্ঠিত হবে শারদীয় দুর্গাপূজা। নকলা, নালিতাবাড়ী ও শ্রীবরদী উপজেলায় পূজাম-পের সংখ্যা গতবারের চাইতে কমলেও এবার বেড়েছে সদর ও ঝিনাইগাতী উপজেলায়। এবার দুর্গোৎসবে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পর্যাপ্ত র‌্যাব-পুলিশ-আনসার মোতায়েনের পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে প্রত্যেক উপজেলায় ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ মনিটরিং টিম গঠন করা হবে। দুর্গোৎসব উপলক্ষে কোনো প্রকার লটারির অনুমতি দেয়া হবে না। গতকাল সোমবার সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে আসন্ন শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে আয়োজিত প্রস্তুতি সভায় এ তথ্য জানানো হয়। জেলা প্রশাসক মো. নাসিরুজ্জামান এতে সভাপতিত্ব করেন। বক্তব্য রাখেন জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট নারায়ণ চন্দ্র হোড়, চেম্বার সহসভাপতি আব্দুল ওয়াদুদ অদু, দেবাশীষ ভট্টাচার্য, সদর থানার ওসি আকরাম হোসেন, মলয় চাকী প্রমুখ।
    আমতলী : শারদীয় দুর্গাপূজা বরগুনার আমতলীর ৭টি পুজাম-পে অনুষ্ঠিত হবে। সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত পৌরসভার ৩টি ম-পসহ ২০ ম-ডে দুর্গাপূজা ও বাকি ম-পে ব্যক্তিগত খরচে পূজা উদযাপন করবে হিন্দু ধর্মাবলম্বী সমপ্রদায়। দুর্গাপূজা উদযাপনের যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে উপজেলা প্রশাসন ও পূজা কমিটি। আমতলী উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি পরিতোষ কর্মকার জানান, পূজা উদযাপনে সরকারি বরাদ্দ প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। আমতলীর পূজাম-পে সরকারিভাবে ৯.৫ মে.টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। নির্বিঘ্নে দুর্গাপূজা উদযাপনে বদ্ধপরিকর উপজেলা প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মশিউর রহমান বলেন হিন্দু সমপ্রদায়ের বৃহৎ উৎসব দুর্গাপূজা সুষ্ঠু সুন্দরভাবে অনুষ্ঠানে যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান সরকারি অনুদানে ২০টি পূজাম-পে দুর্গাপূজা উদযাপিত হবে।
    কমলগঞ্জ : আসন্ন শারদীয় দুর্গোৎসব সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে পালনের লক্ষ্যে উপজেলা পরিষদ হলরুমে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের মতবিনিময় সভা গতকাল মঙ্গলবার সকালে অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রকাশকান্তি চৌধুরী এতে সভাপতিত্ব করেন। এম মোসাদ্দেক আহমেদ মানিক, মো. নাজিম উদ্দিন, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদ সভাপতি শঙ্কর লাল সাহা, সৈয়দ মখলিছুর রহমান, আব্দুল মোতালিব তরফদার, ফজলুল হক বাদশা, গোলাম কিবরিয়া শফি, সুলেমান মিয়া, সাবি্বর আহমদ ভুঁইয়া, প্যানেল মেয়র-১ মো. আনোয়ার হোসেন, অর্ধেন্দু কুমার দেব, অধ্যাপক মোহ চন্দ্র দেব, প্রণীত রঞ্জন দেবনাথ, প্রমোদ চন্দ্র দেবনাথ, শ্যামল গোস্বামী, মৃনাল কান্তি সিংহ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। সভায় জানানো হয়, এ বছর কমলগঞ্জে ১০৬টি পূজাম-পে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ উপাধ্যক্ষ মো. আব্দুস শহীদ সব পূজাম-পের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় মিলিত হবেন ও পূজার জন্য সরকারি বরাদ্দকৃত চাল বিতরণ করবেন। সভায় নির্বিঘ্ন্নে দুর্গাপূজা উদযাপনের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতার ঘোষণা দেয়া হয়।



    কৃতজ্ঞতাঃ দৈনিক ডেস্টিনি

    শেরপুরে ৮০ ম-পে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত শিল্পীরাঃ

    মাত্র ১২ দিন পর শুরু হবে হিন্দু ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান শারদীয় উৎসব দুর্গাপূজা। তাই বগুড়ার শেরপুর উপজেলার ম-পগুলোতে পুরোদমে চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ। প্রতিমা শিল্পীরা এখন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন প্রতিমা তৈরির কাজে। দিনরাত পরিশ্রম করছেন কীভাবে দেবীর প্রতিকৃতীতে সৌন্দর্যের ছোঁয়া লাগে। কীভাবে অন্য ম-পের চেয়ে নিজের তৈরি প্রতিমাকে আলাদাভাবে ফুটিয়ে তোলা যায়। ৫ দিনের এই উৎসবকে ঘিরে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি। প্রতিবারের ন্যায় প্রতিটি পূজা ম-পের সামনে নানান সাজে নির্মাণ করা হচ্ছে এক একটি বিশালাকৃতির গেট। রাস্তায় রাস্তায় ও পূজা ম-পগুলোতে লাগানো হচ্ছে হাজারো সব রঙিন বাতি। এ ছাড়া পুরো পৌর শহরকে রং-বে- রংয়ের কাপড় দিয়ে মুড়িয়ে দেয়ার কাজও শুরু হচ্ছে। যা ভক্ত ও দর্শনার্থীরা দৃষ্টি কাড়বে। উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি নিমাই ঘোষ ও সাধারণ সম্পাদক সুজিত কুমার বসাক জানান, গত বছর ৭৩টি ম-পে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হলেও এবার শেরপুর পৌরশহরসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ৮০টি ম-পে জাঁকজমকভাবে শারদীয় দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে পৌরশহরে ৩০টি, কুসুম্বী ইউনিয়নে ২টি, গাড়িদহ ইউনিয়নে ৫টি, খামারকান্দি ইউনিয়নে ২টি, খানপুর ইউনিয়নে ৬টি, মির্জাপুর ইউনিয়নে ২টি, বিশালপুর ইউনিয়নে ১৩টি, সুঘাট ইউনিয়নে ২টি, ভবানীপুর ইউনিয়নে ৫টি, সীমাবাড়ী ইউনিয়নে ৮টি, ও শাহবন্দেগী ইউনিয়নে ৫টি। তারা আরো বলেন, প্রতিটি ম-পে ইতিমধ্যে কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রতিমা তৈরির কাজ পুরোদমে চলছে। উৎসব চলাকালে আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখাসহ সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করার দাবি জানান।
    Views: 860 | Added by: DharmaJuddha | Rating: 0.0/0
    Total comments: 0
    Only registered users can add comments.
    [ Registration | Login ]