বন্ধ করে দেওয়া হোক ল্যাবএইড:::মাত্র ১ হাজার টাকা না থাকায় অধ্যাপক মৃদুল কান্তিকে ভর্তি করেনি ল্যাবএইড কর্তৃপক্ষ। - 18 August 2011 - হিন্দু ধর্ম ব্লগ - A Total Knowledge Of Hinduism, সনাতন ধর্ম
Hinduism Site
Main » 2011»August»18 » বন্ধ করে দেওয়া হোক ল্যাবএইড:::মাত্র ১ হাজার টাকা না থাকায় অধ্যাপক মৃদুল কান্তিকে ভর্তি করেনি ল্যাবএইড কর্তৃপক্ষ।
Added by: শকুন্তলা-দেবী
10:45 AM
বন্ধ করে দেওয়া হোক ল্যাবএইড:::মাত্র ১ হাজার টাকা না থাকায় অধ্যাপক মৃদুল কান্তিকে ভর্তি করেনি ল্যাবএইড কর্তৃপক্ষ।
অধ্যাপক মৃদুল কান্তির মৃত্যুতে প্রতিবাদ অব্যাহত পরিস্থিতি সামাল দিতে ৫০ লাখ টাকা দেওয়ার প্রস্তাব
ভুল চিকিত্সার কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের অধ্যাপক ও বিশিষ্ট লোকসংগীতশিল্পী ড. মৃদুল কান্তি চক্রবর্তীর মৃত্যুতে উদ্ভূত পরিস্থিতি সামাল দিতে ৫০ লাখ টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে ল্যাবএইড কর্তৃপক্ষ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের উপস্থিতিতে সংগীত বিভাগের চেয়ারম্যানের কাছে চেকের মাধ্যমে এই টাকা হস্তান্তর করা হবে। এদিকে চিকিত্সায় অবহেলার অভিযোগে ল্যাবএইড ও ইবনে সিনার শীর্ষ কর্মকর্তাদের তলব করেছেন হাইকোর্ট। আলাদা দুটি ঘটনায় আগামী ২৩ আগস্ট হাইকোর্টে সংশ্লিষ্ট চিকিত্সকসহ তাদের হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক জানান, ল্যাবএইড কর্তৃপক্ষের ভুল চিকিত্সা ও অবহেলায় অধ্যাপক চক্রবর্তীর মৃত্যু হয়েছে-এমন অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন। পরিস্থিতি সামল দিতে ল্যাবএইড কর্তৃপক্ষ এখন ড. মৃদুল কান্তি চক্রবর্তীর পরিবারকে ৫০ লাখ টাকা দিতে চাইছে। ল্যাবএইড হাসপাতালের পরিচালক মেজর (অব.) মাহবুবুল হকসহ দুই সদস্যের এক প্রতিনিধি দল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সঙ্গে দেখা করেন। এ সময় ল্যাবএইড হাসপাতালকে ‘রক্তচোষা’, ‘ঘাতক’, ‘মৃত্যুকূপ’ বলে স্লোগান দিচ্ছিল সংগীত বিভাগের শতাধিক শিক্ষার্থী। এর আগে সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের প্রধান গেটের সামনে তিন দফা দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে সংগীত বিভাগ। সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক রোবায়েত ফেরদৌস বলেন, মাত্র ১ হাজার টাকা না থাকায় অধ্যাপক মৃদুল কান্তিকে ভর্তি করেনি ল্যাবএইড কর্তৃপক্ষ। ১৫ তারিখ সকালে অধ্যাপক চক্রবর্তী যখন ল্যাবএইডে যান তখন তার হাতে ছিল ১০ হাজার টাকা। কিন্তু হাসপাতালে ভর্তি হতে প্রয়োজন ছিল ১১ হাজার টাকা। এ সময় অবস্থা খারাপ দেখে বাকি টাকা পরে দেবেন জানিয়ে হাতজোড় করে স্বামীর প্রাণভিক্ষা চান বউদি (অধ্যাপক চক্রবর্তীর স্ত্রী)। তারপরও ল্যাবএইড কর্তৃপক্ষ মাত্র ১ হাজার টাকার জন্য অধ্যাপক চক্রবর্তীকে ভর্তি করেনি। টাকা জোগাড় করে ভর্তি হতে ২০-২৫ মিনিট সময় নষ্ট হয়। আর কেবিনে নিতেও দেরি হয় ২০-২৫ মিনিট। ফলে বিনা চিকিত্সায় মারা যান অধ্যাপক চক্রবর্তী। ঢাবি শিক্ষক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক গোলাম রব্বানী ল্যাবএইডে ভর্তি থাকা অবস্থায় নিজের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে বলেন, ল্যাবএইডের দায়িত্ব তো নেইই, রয়েছে অবহেলা, দৃষ্টি তাদের সেবার প্রতি নয়, টাকার প্রতি। চিকিত্সায় অবহেলার অভিযোগে বেসরকারি হাসপাতাল ল্যাবএইড ও ইবনে সিনার চিকিত্সকসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের আগামী ২৩ আগস্ট হাইকোর্টে তলব করা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মৃদুল কান্তির চিকিত্সায় অবহেলার কারণ ব্যাখ্যার জন্য ল্যাবএইড হাসপাতালের চেয়ারম্যান, পরিচালনা পরিষদের সব সদস্য, সংশ্লিষ্ট দুই চিকিত্সককে হাইকোর্টে হাজির হতে হবে। অন্যদিকে এক শিশুর চিকিত্সায় অবহেলার কারণে আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে ইবনে সিনা হাসপাতালের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান, ট্রাস্টি বোর্ডের সব সদস্য, দুই চিকিত্সক সাইদা সুলতানা এবং আনোয়ারুল আবেদীনকে তলব করেছেন। গত ১৫ আগস্ট বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল বৈশাখীতে প্রচারিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, চিকিত্সায় অবহেলার কারণে ওই হাসপাতালে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবিএম আলতাফ হোসেন।
ল্যাব এইড কতৃপক্ষের এই ঘৃণ্য আচরণের জন্য তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করছি। আসলেই তারা টাকার পাগল, একবার এক ডাঃ দেখাতে গিয়েছিলাম আর তাদের টাকার চাহিদা বুঝে এসেছি। যদিও এসব সকল প্রতিষ্ঠান ই এখন এমন। তাই মাথা ব্যাথা হলে তা কেটে না ফেলে এর প্রতিষেধকের ব্যাবস্থা নেওয়া উচিত বলে আমি মনে করি। এক্ষেত্রে কতৃপক্ষের পরিবর্তনের দরকার আছে বলে আমার বিশ্বাস।