দশাবতার বিষ্ণু দশ প্রধান অবতার। বৈষ্ণব দর্শনে, কোনো বিশেষ উদ্দেশ্যে মর্ত্যে অবতীর্ণ পরম সত্ত্বাকে অবতার (সংস্কৃত: अवतार, avatāra) নামে অভিহিত করা হয়। বিষ্ণুর (বা কোনো কোনো ক্ষেত্রে কৃষ্ণের) দশ মুখ্য অবতারের সমষ্টিগত নামই দশাবতার। এই দশাবতারের কথা জানা যায় গরুড় পুরাণ (১।৮৬।১০-১১) থেকে। এই দশ অবতার মানব সমাজে তাঁদের প্রভাব-প্রতিপত্তির ভিত্তিতে সর্বাপেক্ষা অধিক গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হন।
আজ আমরা আলোচনা করবো ভগবান বিষ্ণুর মৎস্য অবতার কে নিয়েঃ
মৎস্য পুরান মতে সত্য যুগে একবার সত্যব্রত নামে এক দ্রাবিড় রাজা (পরে যার নাম হয় মনু) স্নান করতে গেলে উনার হাতের মাঝে একটি মাছ ধরা পড়ে। মাছটি মনুর কাছে প্রাণ ভিক্ষা চায়। রাজা মাছটিকে উনার কমন্ডুলে ধারন করেন। কিন্তু আসতে আসতে মাছটি বাড়তে থাকে। কোনভাবেই রাজা মাছটিকে কোন পাত্রে ধারন করতে পারছিলেন না। যেখানেই রাখেন সেখানেই মাছটি সেই পাত্রের আকার ধারন করে। শেষে রাজা মাছটিকে সমুদ্রে ছেড়ে দেন। তখন মাছটি নিজের সব্রুপে দেখা দেন- মানে ভগবান বিষূর রুপে দেখা দেন। তখন ভগবান বিষ্ণু বলেন সাত দিনের মাঝে একটি বিশাল ঝড় ঊঠবে। এই ঝড়ে পৃথিবী লন্ডভন্ড হবে। এই জন্য ভগবান বিষ্ণূ একটি বড় নৌকা পাঠাবেন। সেই নৌকার মাঝে মনুকে পৃথিবীর সকল প্রানীর এক জোড়া করে নিয়ে ঊঠতে বললেন। তারপর সেই ঝড় শুরু হলে বিষ্ণু মাছের রুপে আসবেন। তখন যেন মনু সেই মাছের লেজে নৌকাটির একটি অংশ বেধে দেন। এই বলে ভগবান অদৃশ্য হলেন।
যথারীতি সাত দিনের মাঝে ঝড় শুরু হল। একটি নৌকা আগেই ঘাটে অপেক্ষা করছিল। রাজা তাতে সকল প্রানীর একটি করে জোড়া এবং সাত জন মুনি কে নিয়ে নিজে সেই নৌকায় ঊঠেন। তারপর ভগবান বিষ্ণু মাছের রুপে অভিরভুত হন। এবং পৃথিবীর সকল জীবকে রক্ষা করেন।
এই ছিল ভগবান বিষ্ণুর প্রথম অবতার মৎস্য অবতার এর কাহিনী। ভাল থাকবেন সবাই।
এই ঘটনাটা ইসলাম ধর্মতে ও আছে আবার খ্রীষ্টান ধর্মতেও আছে। সবাই নিজের নিজের বলে দাবী করে। কিন্তু প্রমানের বিষয় কোনটা আগে এসেছে??? জ্ঞানী ব্যাক্তি মাত্রেই বুঝবেন।