২য় পর্বের পর
এখানে দেখা যাচ্ছে কিভাবে ওড়িশ্যার ও বাংলার স্থাপত্যের মিলনে তৈরি হয়েছে মায়াপুরের নতুন মন্দিরের স্থাপত্য রীতি। বাংলার মন্দির গুলোর মতই এই মন্দির ও ইটের তৈরি হবে এবং একে ঘীরে টেরাকোটা র কারুকাজ।
মুল মন্দিরের শিখারা বা শিখর ওড়িষ্যার স্থাপত্য রীতির এক রুপকল্প।
শেষ ডিজাইন করার আগেঃ
২০০০ সালে এই মন্দিরের ডিজাইন করার কাজ শেষ হয়। অনেক বার পরিবর্তনের পর এই শেষ ডিজাইন ঊঠে আসে সবার নজরে। যাতে যুক্ত হয়েছে হিন্দু ধর্মের অনেক অনেক গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শনের ছাপ।
এটা গুরু দেশাম এর একটা শ্তাপত্য কলাই নয়- এতে যুক্ত হয়েছে ট্র্যাডিশনাল বৌদ্ধিক ও হিন্দু শ্তাপত্য কলার এক অদ্ভুত মিশ্রন যা একে দাঙ্করেছে এক অমুল্য স্থাপত্যের স্বীকৃতি।
এই স্থাপত্য কলাকে এক স্ম্যক রুপ দান করা কিন্তু ইসকনের প্রথমবারের মত চেষ্টা নয় । এর আগে ইসকনের বেঙ্গালোর মন্দিরটির মাঝে দেখা যায় ইসকনের অপূর্ব মিশ্রনের সদিচ্ছা। এখানে একদম নতুন ভাবে ইসকনের মন্দিরটা বানানো হয়েছে যাতে ব্যাবহৃত হয়েছে এক অনন্য ডিজাইনের মোজাইক- টাইলস সহ নবীন সব ম্যাটেরিয়েলস।
শ্রী রাধা কৃষ্ণ মন্দির ব্যাঙ্গালোর
দুই বছর এর প্রচেষ্টার পর বাংলার এবং ওড়িষ্যার স্থাপত্য রীতির মিশ্রনে এই বৈদিক মন্দির এর ডিজাইন করা হয় যাতে প্রতিফলিত হয় বাংলার ট্র্যাডিশনাল বাঁশের তৈরি ঘরের আদলে আর্চ । এই আর্চ বাংলার অনেক মন্দিরের মুল স্থাপত্য রীতিতে দেখা যায়।
বাংলার মন্দির গুলোতে দেখা যাউ গোলাকার দেয়ালে ঘীরে থাকে টেরাকোটা যাতে দেখানো হয় হাজার বছরের পুরানো ইতিহাস ও ঐতিহ্য। রামায়ন ও মহাভারতের ইতিহাস ও অংকিত আছে এই সকল মন্দিরে। ইসকনের এই নতুন মন্দিরে এই বাংলার টেরাকোটা ও ঊঠে এসেছে সবিনয়ে। যেখানে মিশেছে আধুনিক গ্লাস ও কাঠের মিশ্রন।
বাংলার মন্দিরের টেরাকোটা
অবশেষে বলা যায় স্থাপত্য কলার অদ্ভুত নিদর্শন এই ইসকনের মন্দিরে আছে টেরাকোটা এবং গ্লাসের সমন্বয় যার মাধ্যমে সূর্যের আলোর ও বাতাস কে নিয়ে তৈরি করা হবে এক সুন্দর পরিবেশ যাতে ভক্তের মন হবে ঈশ্বরের বন্দনায় পবিত্র।
এই পর্বে সমাপ্ত করা গেলনা- আগামী পর্বে সমাপ্য
|