প্রথম পর্বের পর
২য় পর্বে আমি এই মন্দিরের স্থাপত্য রীতি ও টেকনিক্যাল ডিটেইল নিয়ে আলোচনা করবো।
১ম ডিজাইনঃ মায়াপুর ইসকন ডিজাইন করার সময় চিন্তা করা হয়েছিল যে এটা হবে বৈদিক স্থাপত্যের অপূর্ব নিদর্শন। তাই এই মন্দির ডিজাইনে বৈষ্ণব স্থাপত্যের প্রচুর প্রাধান্য আছে।
প্রথম ডিজাইন টি অযোধ্যা র স্থাপত্য রীতি অনুসারে করা হয়েছিল।অযোধ্যা ছিল পরম অবতার রামের জন্মস্থান। অযোধ্যার স্থাপত্যে হিমালয় পর্বতের সাদা ও মার্বেল এর মিশ্রন যুক্ত রং এর আদিক্য দেখা যায়। এবং সেই স্থাপত্য গুলা বিশালত্বে ও হার মানায় অন্যান্য গুলোকে।
যখন নাগারা স্থাপত্যের নিদর্শন সমুহ এই ডিজাইনে অন্ত্রভুক্ত করা হয় তখন দেখা যায় এটার মত বিশাল মন্দির স্থাপত্য কলা আর কখনো বানাও হয়নি।
প্রথম ডিজাইম দেখা যাচ্ছে ঊপর থেকে
প্রথম ডিজাইন এর মন্দিরের ভেতরের স্পেস সমূহ- ছেদ চিত্রের মাধ্যমে দেখা যাচ্ছে।
এটা ডিজাইন করা হয়েছিল ৩৫-৪০ তলা বাড়ির সমান উচু করে। পরবর্তীতে এটাকে আরো সুসংহত করা হয়।
২য় ডিজাইনঃ
অনেক তর্ক বিতর্কের পর শ্রীকৃষ্ণ শাসিত দ্বারকার স্থাপত্য রীতির অনুসারে এটা বানানো হ্য।এটা তখন হয়ে ওঠে ভারতীয় স্থাপত্য রীতির এক অদ্ভুত উপস্থাপনা।
এটাতে বৈদিক গ্রাম এর ধারনাকে ফলিত রুপে মন্দিরের চারপাশে বসানো হয়। যেখানে ট্র্যাডিশনাল বাড়ি এবং কলকারখানা বসানো হয়। ভারতের এক দারিদ্রপিড়িত অঞ্চলে এই মন্দিরের অংশ গুলো এক বিশাল ভুমিকা রাখবে এমন ভাবেই করা হয় সেই ডিজাইন।
তৃতীয় ডিজাইন:
বৈষ্ণব এবং পশ্চিম বাংলার ট্র্যাডিশনাল স্থাপত্য রীতিকে যাতে উপস্থাপন করতে পারে সে জন্য এই ডিজাইনে কিছু পরিবর্তন আনা হয়। এতে বিহার ও ওরিষ্যার স্থাপত্য রীতির ও প্রতিফলন ঘটানো হয়।
বাংলার ট্র্যাডিশনাল স্থাপত্যের নিদর্শন
ওড়ীষ্যার ট্র্যাডিশনাল স্থাপত্যের নিদর্শন।
পরবর্তী পর্বে সমাপ্য
|