৩৫ তলা বাড়ির সমান উচু মায়াপুর ইসকন মন্দির হল পৃথিবীর সব চেয়ে উচু হিন্দু মন্দির। আসুন দেখে নেই এই মন্দির- জেনে নেই কি কি আছে এতে।
স্থাপত্যের নিদর্শন হিসেবে ভারতের স্থাপত্যরীতি বরাবর ধর্মীয় ভাবধারায় তার অবস্থান জানান দিয়েছে। আর পৃথিবীর সব চাইতে উচু এই মন্দির জানান দিয়েছে যে সে মিসরের পিড়ামিডের চাইতে ও অনেক অনেক উচু।
আমেরিকার এ এফ বই ফাউন্ডেশনের আলফ্রেড বুশ ফল্ড এই মন্দির করতে ৬০০ কোটি টাকা ব্যয় হবে বলে জানিয়েছেন।
বৈদিক গ্রাম ইসকন মায়াপুরের সাইট প্লান
আলফ্রেড আরও জানান যে এই মন্দির ২০২০ সালে কাজ শেষ হবার পর পৃথিবীর সবচাইতে বিশাল মন্দির হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে এবং এটা দেখার জন্য দুরদুরান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসবে এখানে।
মায়াপুর ইসকনের ত্রিমাতৃক মডেল
এই মন্দির প্রায় ২২ একর ভুমির উপর অবস্থিত হবে। যখন এটা স্থাপন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয় তখন মায়াপুর প্রজেক্ট সোসাইটি নামে একটি চ্যারিট্যাবল বডি গঠন করা হয় যারা এই প্রজেক্টের জন্য অর্থ সংগ্রহ করতে শুরু করে। এ বি এফ এর ডিরেক্টর আরও বলেন এই ২০ একর গ্রামের মাঝে থাকবে সকল হাঊজিং সুবিধা সমুহ যা আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃত।
মায়াপুর ইসকনের স্থাপত্য রীতি
মায়াপুর ইসকন উত্তর ভারতীয় নাগারা এবং অরিসসার কলিংগ মন্দির গুলোর স্থাপত্য রীতি অনুসারে ডিজাইন করা হয়েছে। এটাতে তিনটি ডোম আছে যা মন্দিরটি অনেক দূর থেকে প্রতিয়মান হওয়ার সাক্ষ বহন করে।
প্রথমেই থাকবে এক্সিভিশন হল। এখানে একটি প্লানেটেরিয়াম ও থাকবে। এই এক্সিভিশন হল নয় তলা উচ্চতার হবে যা সব চাইতে ছোট স্ট্রাকচার হবে। দ্বিতীয় স্ট্রাকচারটা হবে কীর্তন হল। এটি আঠারো তলা উচ্চতা বিশিষ্ট হবে।এর মাঝে থাকবেন শ্রীল প্রভুপাদ স্বয়ং।
তৃতীয় স্ট্রাকচার হল এর শিখারা বা শিখর এটি প্রায় ৩৫ তলা সমান উচু হবে। এতেই থাকবে মন্দিরের মূল অংশ।
মন্দিরের উচ্চতাঃ
খাজুরাহর মন্দিরের সাথে উচ্চতার ভিন্নতা (১১ শতক)
তাজমহ্লের সাথে উচ্চতার ভিন্নতা (১৭ শতক)
ইস্তাম্বুলের হেগা সোফিয়ার সাথে উচ্চতার ভিন্নতা ( ৬ষ্ট শতক)
সেন্ট পলস এর সাথে উচ্চতার ভিন্নতা ( ১৭ শ শতক)
রোমের সেন্ট পিটার এর সাথে উচ্চতার ভিন্নতা ( ১৭ শ শতক)
গিজার পিড়ামিডের এর সাথে উচ্চতার ভিন্নতা ( ৩২০০ খ্রীষ্ট পূর্বাব্দ )
—–==–=–==—–
কন্সট্রাকশনের ব্যাবহৃত ম্যাটেরিয়েলস
এই কমপ্লেক্স এ কোন স্টিল ব্যাবহৃত হবেনা। গঙ্গার মাটি থেকে বানানো ইটের দেয়াল দিয়ে এই উচ্চতা তৈরি করা হবে।বাংলার আদি স্থাপত্য সমুহ এই মাটি দিয়েই বানানো হত। তাই স্থপতি এখানে সেই পুরাতন স্থাপত্য রীতি ই ব্যাবহার করবেন।
মন্দিরটি গঙ্গা থেকে থেকে ৫ মিটার উচ্চতায় বানানো হবে।মাটিতে থাকবে ২.৫ মিটার পুরু কনক্রিট স্লাব যা ৪ এক্র জায়গা জুড়ে থাকবে- যা মায়া পুরের কাদা মাটি থেকে এই মন্দিরকে পতনের হাত থেকে রক্ষা করবে। এবং যা হবে অনেক দিন স্থায়ী একটি মন্দির। ২য় পর্বে সমাপ্য
|