ডাঊণলোড করুন গায়ত্রী মন্ত্র- ডুবে যান এক অদ্ভুত সুন্দর ভাবনার সাগরে - 24 July 2011 - হিন্দু ধর্ম ব্লগ - A Total Knowledge Of Hinduism, সনাতন ধর্ম
Hinduism Site
ওঁ ভূর্ভুবঃ স্বঃ তৎ সবিতুর্বরেণ্যং ভর্গো দেবস্য ধীমহি ধিয়ো যো নঃ প্রচোদয়াৎ ওঁ অনুবাদ: ঈশ্বর পৃথিবী, পৃথিবী আর সূর্যের মধ্যবর্তী বিস্তার, সূর্য আর স্বর্গের মধ্যবর্তী বিস্তার এবং স্বর্গ-- এই চতুর্লোকের অধীশ্বর, বাহ্মণবংশীয় দেব, অতনু নির্গুণ পরম ব্রহ্মকে আমি ধ্যান করছি। আমায় জ্ঞান দাও। ঈশ্বর। রবীন্দ্রনাথ কৃত অনুবাদঃ
যাঁ হতে বাহিরে ছড়ায়ে পড়িছে পৃথিবী আকাশ তারা , যাঁ হতে আমার অন্তরে আসে বুদ্ধি চেতনা ধারা — তাঁরি পূজনীয় অসীম শক্তি ধ্যান করি আমি লইয়া ভক্তি"।
দেবী গায়ত্রীর তিন রূপ। সকালে তিনি ব্রাহ্মী; রক্তবর্ণা ও অক্ষমালা-কমণ্ডলুধারিনী। মধ্যাহ্নে বৈষ্ণবী; শঙ্খ, চক্র, গদা ধারণকারিনী। সন্ধ্যায় শিবানী; বৃষারূঢ়া, শূল, পাশ ও নরকপাল ধারিনী এবং গলিত যৌবনা।
শব্দ-কল্পদ্রুম অনুসারে, যজ্ঞকালে একবার ব্রহ্মার স্ত্রী সাবিত্রী একা যজ্ঞস্থলে আসতে অস্বীকৃত হলে, ব্রহ্মা ক্রুদ্ধ হয়ে অন্য নারীকে বিবাহ করে যজ্ঞ সমাপ্ত করার পরিকল্পনা করেন। তাঁর ইচ্ছানুসারে পাত্রী খুঁজতে বের হয়ে এক আভীরকন্যাকে (গোয়ালিনী) পাত্রী মনোনীত করেন ইন্দ্র। বিষ্ণুর অনুরোধে তাঁকে গন্ধর্ব মতে বিবাহ করেন ব্রহ্মা। এই কন্যাই গায়ত্রী।
গায়ত্রীর ধ্যানে আছে, তিনি সূর্যমণ্ডলের মধ্যস্থানে অবস্থানকারিনী, বিষ্ণু বা শিবরূপা, হংসস্থিতা বা গরুড়াসনা বা বৃষবাহনা। তিনি একাধারে ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও শিব। হিন্দু বিধান অনুসারে, সকাল, দুপুর ও সন্ধ্যায় গায়ত্রী ধ্যান করতে হয় এবং এই মন্ত্র ধ্যান বা পাঠে মুক্তি প্রাপ্ত হয় বলে এর নাম ‘গায়ত্রী’। বেদজ্ঞ আচার্যের কাছে এই মন্ত্রে দীক্ষিত হলে তাঁর পূণর্জন্ম হয় ও তিনি দ্বিজ নামে আখ্যাত হন। সেই কারণে দ্বিজ অর্থাৎ ব্রাহ্মণগণের উপাস্য। বৈদিক গায়ত্রী মন্ত্রে আদলেই অন্যান্য দেবতার গায়ত্রী রচিত হয়েছে, দ্রষ্টব্য গণেশ, কালী, গুহ্যকালী, নারায়ণ, রাধা প্রভৃতি ।
আসুন শুনে ফেলি কিছু গায়ত্রী মন্ত্রের ভিডিও ও অডিও সাউন্ড ট্রাক - হারিয়ে যাই চৈতন্যের অন্তরালে - [video]http://www.youtube.com/watch?v=ty2XLidTzfc[/video]
কোন এক অজানা কারণে পোষ্টে লিংক টা কাজ করছেনা, তাই কমেন্টে দিয়ে দিলাম, দাদা। অনেক ভালো হয়েছে পোষ্ট টি। সময় হলে আরও একটু আলোচনা করতে পারেন এই মন্ত্রটি নিয়ে। ধন্যবাদ ১ম টি এখানে
দীক্ষার সময় গুরুর কাছ থেকে আমিও গায়ত্রী মন্ত্র পেয়েছিলাম। এই গায়ত্রী থেকে যা কিঞ্চিত ভিন্ন এবং গুরু সেটা কানেকানে দিয়েছিলেন। তাই এখানেও তা বলতে পারব না।
দাদা, গুরু থেকে প্রাপ্ত মন্ত্রটির কত অক্ষরের তা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমর কি জানতে পারি আপনি যে মন্ত্র পেয়েছেন তা কত অক্ষরের। যেমন ওঁ এটি একাক্ষর মন্ত্র, হরে কৃষ্ণ......... মন্ত্রটি ৩২ অক্ষরের। গুরু কত অক্ষরের মন্ত্র দেয় তা জানার খুব ইচ্ছা। সেটার মন্ত্রবীজ বের করতে হবে।