গত পর্বের পর সত্যিকার অর্থেই আমাদের এই সনাতন ধর্মের শুরুকাল যে অনেক আগের এই প্রামান্য চিত্রগুলো তারই সাক্ষী দেয়
এই মুর্তি টি ইসলাম আসার আগের সময়কার আরবের একটি আর্টিফেক্ট যাতে দেখা যায় দেবী স্বরস্বতী বসে আছেন হাসের উপর।
এই
চেরাগটি পাওয়া গেছে প্রাচীন আরবীয় আর্টিফেক্ট এর থেকে-এখানে দেখা যায়
অনেকটা বৈদিক প্রদিপ এর মত এই প্রদিপের মুখ পাঁচটি-যা বৈদিক নিয়মে এখনো
হিন্দুদের ঘরে ঘরে জ্বলে ওঠে।প্রাচীন আরবীয় উপকথা আলাদীন এর যাদুর চেরাগ ও
এই বৈদিক সভ্যতার ই অবদান-যা এখন অনেকেই স্বীকার করেনা।
{উপরের ছবি}
এখানে প্রথম দেবতার মুর্তি হল হিন্দুদের আয়ু দেবতা-যিনি জীবনের
দেবতা-কিন্তু আজও সাইবেরিয়ার প্রত্যন্ত অন্চলে পুজিত হন রোগ শোক থেকে
উত্তরনের জন্য।বাকি দুইটা মুর্তি এখনও মন্গোলিয়াতে প্রচলিত দেবতা-এই মুর্তি
তিনটাই প্রমান করে যে বহু সহস্র বছর আগে পৃথিবী জুড়ে প্রচলিত ছিলো হিন্দু
ধর্ম।
{নিচের ছবি} এই ছবিটা ইতালির এক পুরাতাত্বিক খননে পাওয়া গেছে যাতে দেখা যায় কৈশ্যল্যা-কৈকেয়ী এবং সুমিত্রা-রাজা দশরথের তিন স্ত্রী।
এটি
১৬ শতকের একটি বইয়ের থেকে নেয়া-যার নাম "The Cosmos and its Mathematical
Study" লিখেছেন মোহাম্মদ আল তুসি-এটা পাওয়া গেছে ঈজিপ্সিয়ান
লাইব্রেরিতে-যাতে দেখা যায় অনেকটা ভারতীর দেবদেবীদের মত কয়েকটা হাত বিশিষ্ট
এই লোক বসে আছে-এবং এক একটা হাতে এক একটা বস্তু উনি ধরে আছেন।এটা হিন্দু
ধর্মের অনেকদিনের চর্চার প্রতিফলন বলেই আর্কিওলজিষ্টরা ধরে নেন।
এটা এক আরবীয় রমনীর ছবি যাতে দেখা যায় মহিলা কপালে তিলক এঁকে আছেন যা কেবল হিন্দু রমনীরা কপালে এঁকে থাকেন।
এটি
একটি প্রাচীন শিলালিপি যাতে দেখা যায় একজন লোক একটা ঘোড়া নিয়ে সামনে এগুতে
গেলেই আরেকজন তাকে প্রতিহত করছে-এই ঘটনা বৈদিক দৃষ্টিকোন থেকে বিচার করলে
এটা অশ্বমেধ যজ্ঞের একটা ছবি-যেটা ছিলো তখনকার হিন্দু রাজাদের এক প্রকার
যজ্ঞ বিশেষ-একটি ঘোড়াকে ছেড়ে দেয়া হত-সে যেদিক যেদিক যাবে সে দিকে রাজার
বাহিনী যাবে এবং ঐ রাজার বিজয় নিশান উড়াতে উড়াতে-তাই সে রাজার বশ্যতা
স্বীকার না করার জন্য আশেপাশে দেশের রাজারা এই ঘোড়াকে প্রতিহত করতে
চাইত-এবং অনেক সময় দুই দেশের মাঝে যুদ্ধ লেগে যেত-এই কারণে।
ইতালিতে
আর্কিওলজিকাল খোঁড়াখুড়ির সময় এই মাটির পাত্রটি পাওয়া যায়-যেখানে দেখা যায়
দুটো বানর যুদ্ধ করছে আর মাঝে দাড়িয়ে একজন সুপুরুষ-রামায়নের বালি আর
সুগ্রিবএর মাঝে যুদ্ধের বর্ণনার সাথে যা পুরোপুরি মিলে যায়-আর মাঝের
সুপুরুষ হলেন শ্রীরামচন্দ্র। ইতালি তে এই পাত্রের চিত্রটিই প্রমান করে
এখানেই এক সময় হিন্দু ধর্মের প্রচলন ছিলো।
এটা
ব্রিটিশ করোনেশনের সিংহাসন যেটা লন্ডনের ওয়েস্টমাস্টার আ্যবেতে আছে।এটি
এমন একটি সিংহাসন যাতে প্রথম বসে শাসন করেছিলেন একজন হিন্দু রাজা-এই
লন্ডনের বুকে বসেই-অনেক কাল আগে। এখন ও ব্রিটেনে এই সিংহাসন সংরক্ষিত আছে।
এই স্কাল্পচার টি দেখতে ঠিক দেবাদিদেব শিবের মত-কিন্তু রোমান এই স্কাল্পচার কে বলা হয় "দেবতা নেপচুন" যাকে পাওয়া গেছে ভলগনা অন্চলে। কিন্তু এই দেবতার হাতের অস্ত্র ত্রিশুল- হাত ও পায়ের ভন্গিমা-ঠিক দেবতা শিবের মত।