আজকে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করব সনাতন ধর্মের বেশ কিছু হারিয়ে যাওয়া সুত্র- যা এতদিন লোক চক্ষুর অন্ত্রালেই ছিল- কিন্তু অনুসন্ধিৎসু মানুষ ধীরে ধীরে উন্মোচন করছে সেই সুত্র গুলো। আসুন দেখে নেই ধীরে ধীরে
এই শিবলিন্গটি ভ্যাটিকান সিটির এট্রুস্কান যাদুঘরে প্রদর্শিত হচ্ছে।এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা মতে 'এট্রুরিয়া' এবং 'এট্রুস্কান' হল খ্রীষ্টপূর্ব ২য় থেকে ৮ম শতক এর সময়।উত্তর ইটালিকে একসময় এট্রুশিয়া বলে ডাকা হত। ভ্যাটিকানের প্রাসাদের দেয়াল খুড়ে এই শিবলিন্গ পাওয়া গেছে । মূলত ভ্যাটিকান শব্দটা এসেছে সংস্কৃত ভাটিকা থেকে বা আশ্রম ভাটিকা থেকে।তাই এটা অবশ্যই বলা যায় যে খ্রীষ্টান ধর্মের তীর্থ হবার আগে এই ভ্যাটিকানেই এক সময় হয়ত হিন্দু ধর্ম ছিলো প্রধান ধর্ম।
ছবিতে দেখা যায় রাম -লক্ষন আর সীতা হেটে বনবাসে যাচ্ছেন-যা রামায়নের একটি ঘটনা-কিন্তু এই ছবিটা পাওয়া গেছে ইটালির প্রাচীন আর্কিওলজিকাল খোঁড়াখুড়ির সময়।ইতালিয়ান আর্কিওলজিষ্টরা এই ছবি দেখেই ধারনা করেন একসময় ইউরোপের অনেক গুলো দেশে হিন্দু তথা সনাতন ধর্ম প্রচলিত ছিলো।
একজন অষ্ট্রেলিয়ান বুশম্যানের ছবি এটা-যাতে দেখা যায় এই বুশম্যানের কপালে তিলক আঁকা-এটা একসময় হিন্দুধর্মের পালনের ঈন্গিত বহন করে।
একজন রোমান কনসুলেট ধুতি পড়ে আছেন।উনার হাতে ও কপালে তিলক আঁকা আছে-যা প্রমান করে রোমান দের মাঝে হিন্দুত্বের প্রচলন ছিলো যা ছড়িয়ে ছিলো সারা ইউরোপে।
ছবিটা প্রাচীন রোমান কন্সিউলেট পম্পেই এর-এতে দেখা যায় উনি যে পোশাক টা পরে আছেন তা অনেকটা আজকের হিন্দুদের এক পাড়ের ধুতির প্রাচীন সংস্করন। উনার কপালে তিলক কাটা আছে -সেটা এখন ও বৈষ্ণবরা হাতে ও মাথায় পরিধান করে। সেকালে রোমান দের মাঝে নামের শেষে "দেব" লাগানোর একটা প্রথা ছিলো যা এখন ও সম্ভ্রান্ত হিন্দু পরিবার গুলোতে ব্যাবহৃত হয়।তাই বলা যায় এক সময় রোমানদের মাঝে হিন্দু তথা সনাতন ধর্ম প্রচলিত ছিলো-যা আজ বিলুপ্তপ্রায়।
প্রাচীন পিরামিডের হিন্দু স্থপতি বসে আছেন বেদীতে-যার নকশায় গড়ে উঠেছিলো প্রাচীন মিশরের অনেক গুলো পিড়ামিড।
প্রাচীন ঈজিপ্টের একজন রাজা যিনি হাতে বুকে ও মাথায় তিলক এঁকে বসে আছেন সিংহাসনে-হাতে একটা পাত্র। হিন্দু ধর্ম-আর্য মতবাদ এবং বৈদিক সংস্কার যে পুরো পৃথিবীতে ছড়ি্যে ছিলো এটা তার ই প্রমান।
প্রাচীন ঈজিপ্ট এ নন্দী (গরু)র পুজার প্রচলন ছিলো যা আজো দেবাদিদেব মহাদেবের বাহন হিসেবে হিন্দুসমাজে পুজিত হয়।
"আ্য পেস্টোরাল সিন" নামে এই মোজাইকে আঁকা ছবিতে দেখা যায় একটি মানুষ বাঁশি বাজাচ্ছে সাথে কিছু গাভী চড়ে বেড়াচ্ছে মাঠে। মোজাইক টি পাওয়া যায় গ্রিসের এথেন্সের ৬০কিমি দুরে কোন এক খনন কাজের সময়। এটি প্রার ১৮০০ বছরের পুরোনো-এবং নিঃসন্দেহে এটি ভগবান শ্রীকৃষ্ণের বাল লিলার সময়কার একটি চিত্রপট।এটা প্রাপ্তির স্থান থেকে এটা বলা যায় যে প্রাচীন গ্রীসে এক সময় হিন্দু ধর্ম প্রচলিত ছিলো-ধীরে ধীরে যা বিকৃত হয়ে এখনকার বিলুপ্তপ্রায় অবস্থায় এসে পৌছেছে।
এমন সুন্দর একটি পোষ্ট কি বলে যে ধন্যবাদ দিবো আপনাকে বুঝতেই পারছিনা। প্রতিটি ছবি ই সনাতন ধর্মের পূর্বের যে প্রভাব আর বিস্তৃতি ছিলো তাই প্রদর্শন করে। অনেক ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ আপনাকে। যদিও আমাদের এই সাইট টি হিন্দু ধর্ম বিষয়ক কিন্তু এখানে কোন সাম্প্রদায়িকতা থাকবেনা। সকল ধর্ম সম্পর্কে ই ভালো ভালো দিকগুলো আমরা আলোচনা করবো। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে অনেক চরমপন্থীরা এই বিষয়টা ভালোভাবে দেখেনা।(যদি কোন হিন্দু ইসলাম ধর্ম নিয়ে লেখে) তাই আসলে লেখা হয়না। তবে আপনার মন্তব্যে অনুপ্রানিত আমরা ধন্যবাদ আপনাকে।