মন্দিরের
মাঝে লুকায়িত জ্যামিতিঃ
বাইরের জ্যামিতিঃ
হিন্দু স্থাপত্যে
মন্দির ডিজাইন করার জন্য এক লুকানো জ্যামিতিক নিয়মে মন্দিরের ডিজাইন করা হয়। একে
বাইরে থেকে অনেকেই বুঝতে পারেন না। কিন্তু মন্দিরের ডিজাইন করার সময় এই জ্যামিতির
কারুকাজ বোঝা যায়। এবং এই জ্যামিতির ব্যাবহার হয়ে আসছে হাজার হাজার বছর ধরে যাকে
আজকে আমরা বাস্তু বিদ্যা বলি। এই বাস্তু বিদ্যা হল হিন্দু শাস্ত্রের এক অবিস্মরণীয়
অবদান।
মন্দিরের পার্শ্ব
চিত্রে সেই জ্যামিতিক খেলা
লুকানো জ্যামিতিঃ
হিন্দু শাস্ত্র
অনুসারে জ্যামিতিকে বলা হয় সৃষ্টির ধারক। এই জ্যামিতি
সকল সৃষ্টির মাঝে লুকায়িত রুপে দেখা যায়। এই ব্রহ্মাণ্ড এর প্রতিটি বস্তুই
জ্যামিতি দ্বারা আচ্ছাদিত।
বৈদিক শাস্ত্র সমূহের বিজ্ঞানের নাম হল বাস্তু শাস্ত্র। এটা হল বাড়ি ও মন্দির
স্থাপনার পুরাতন জ্ঞান। যাকে পরবর্তীতে বৌদ্ধ রা নিজেদের মত করে সাজিয়ে নেয় এবং
নাম দেয় ফেং সুই। এই বাস্তু বিদ্যাতেই নিহিত আছে সমস্থ পৃথিবীর স্থাপত্য জ্ঞান।
এই মন্দির ঈশ্বর স্তব এবং বৈদিক প্লানেটারিয়াম হিসেবে তৈরি করা হচ্ছে। তাই এতে
রাখা হয়েছে বাস্তু বিদ্যার সকল সুত্র সমূহ
মন্দিরের প্লান
বাস্তু পুরুষ মণ্ডল
এর গ্রিড অনুযায়ী এই মন্দিরের প্লান আঁকা
হয়েছে। বাস্তু পুরুষের ব্রহ্ম মন্ডলে মন্দিরের
গর্ভ গৃহ অবস্থান করছে। মন্দিরের পুরো জমিটাকে বাস্তু মতে ৩২ ভাগে ভাগকরে এই প্লান করা হয়েছ্যেছ
ফ্লোর
প্লান এ বাস্তু পুরুষ মন্ডল
নিকোলাস কোপারনিকাস
নয়টি মণ্ডল নির্বাচন করেছিলেন বাস্তু পুরুষ মণ্ডল এর। এই প্ল্যানে নবম মণ্ডল
হিসেবে পৃথিবীকে ধরা হয়েছে।
এভাবেই সময়কে
বিশ্লেষন করে বাস্তুর মাধ্যমে হিন্দু মন্দির সমূহের ডিজাইন করা হচ্ছে হাজারো বছর
ধরে।
মন্দিরের স্কেল /
উচ্চতা
এই মন্দিরের উচ্চতা সম্পর্কে শ্রীল প্রভুপাদ বলেছিলেন যে এটা- ত্রিশ তলা বাড়ির
সমান উচু হবে।এবং এটা টিকে
থাকবে হাজারো বছর। মন্দিরের এই উচ্চতা আনার জন্য বাস্তু পুরুষের জ্যামিতি ব্যাবহার করা হয়েছে।
আকাশের ও নক্ষত্র রাজির সাথে সম্পর্ক স্থাপন
আকাশের গ্রহ
নক্ষত্রের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করতে এই মন্দিরের ডিজাইনে এক পরিকল্পিত নকশা
বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
সূর্যের সাথে সম্পর্ক
সূর্যের রশ্মির সাথে সম্পর্ক স্থাপনের জন্য এই মন্দিরের ব্যাপ্তি উচ্চতার সাথে
এভাবে পরিমাপ করা বানানো হবে। এই
ব্যাপ্তি সূর্যের সাথে ২৩.৫ কোনে আবর্তিত। এই ডিজাইন বাস্তবায়ন হলে যে কোন কেউ মন্দিরের যে কোন প্রান্ত থেকে
মন্দিরের সকল অংশ দেখতে পাবেন।
গ্রীষ্ম ও বসন্ত কালে
সূর্যের উত্তরায়ণ এবং দক্ষিনায়নের সাথে সম্পর্ক রাখার জন্য এই মন্দিরে রাখা হয়েছে
কাঁচের আবরণ যার ফলে যে কোন ঋতু
তে সূর্য রশ্মি এই মন্দিরে প্রবেশ করতে পারবে।
খুবই দুঃখের সাথে জানাচ্ছি এই পর্বে ও এই লেখা সমাপ্ত করা
গেলনা। এই বিশাল মন্দিরের এত ফিচার একসাথে লেখা অনেক কষ্টের। আমাকে ক্ষমা করে দেবেন এই অনিচ্ছা
কৃত অপরাধের জন্য।
|