অলোক বোস বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম প্রতিনিধি ষষ্ঠী পুজার মধ্যদিয়ে মঙ্গলবার মাগুরায় শুরু হয়েছে ঐতিহ্যবাহী কাত্যায়নী পূজা। প্রতিমা আর প্যান্ডেলে ব্যবহার করা হচ্ছে আধুনিক আলোকসজ্জা। মণ্ডপ জুড়ে তাই উৎসবের আমেজ।
ধর্মীয় বিধি মেনে পূজা শেষ হবে আগামী শনিবার। তবে পূজাকে কেন্দ্র করে মেলা চলবে এক মাস।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ১৯৫০ সালে শহরতলীর পারনান্দুয়ালী এলাকার সতীশ মাঝি তার সম্প্রদায়ের লোকজন নিয়ে প্রথমে এ পূজার আয়োজন করেন, যা পরে গোটা জেলায় ছড়িয়ে পড়ে। সময়ের পরিক্রমায় প্রতিমা-মণ্ডপ আর প্যান্ডেল নির্মাণে এসেছে আধুনিকাতার ছোঁয়া। এ বছর জেলায় ৭৭টি মণ্ডপে এ পূজা হচ্ছে। শহরে তৈরি হয়েছে ৭টি মণ্ডপ।
শহরের সাতটি পূজা মন্ডপে তৈরি করা হয়েছে আলোকসম্পাত নির্ভর দৃষ্টিনন্দন সব প্রতিমা। দর্শকদের আকৃষ্ট করতে গেইট-প্যান্ডেল তৈরি করা হয়েছে বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থাপত্যের আদলে। এসব মণ্ডপে আলোকসম্পাতের মাধ্যমে নানা ধর্মীয় কাহিনী ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে।
জামরুল তলা পূজা কমিটির সাধারণ সম্পাদক পংকজ কুমার কুণ্ডু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, তাদের পূজা মণ্ডপে এ বছর পৌরাণিক কিছু কাহিনী ফুটিয়ে তোলা হবে। আলোকসম্পাতের মাধ্যমে দেখানো হবে 'সীতা হরণ' আর 'রাবণ বধ' কাহিনী।
শহরের প্রতিটি পূজা কমিটি এবার যেন প্রতিমা-মণ্ডপ আর প্যান্ডেল সাজানোর অঘোষিত প্রতিযোগিতায় নেমেছে। পূজার পাঁচ দিনে লাখো দর্শনার্থীর কথা মাথায় রেখে আইন-শৃংখলা বাহিনীও তৎপর।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এ কে এম শাহাবুদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, পূজা ও মেলা নির্বিঘœ করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। পূজারি ও ভক্তরা যাতে স্বচ্ছন্দে পূজা উপভোগ করতে পারেন, সে জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর থাকবে।
এদিকে পূজা উপলক্ষে মাসব্যাপী মেলায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে দোকানিরা আসতে শুরু করেছেন মাগুরায়। এরই মধ্যে তারা বিভিন্ন মণ্ডপ এলাকায় পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন। শিশুদের খেলনা থেকে শুরু করে গৃহস্থালীর নানা সামগ্রী পাওয়া যাচ্ছে এসব দোকানে।
কাত্যায়নী পূজা উপলক্ষে মাগুরার দুই যুবক মনতোষ রায় ও উৎপল অধিকারী প্রথমবারের মতো একটি ওয়েবসাইট চালু করেছেন। এ ওয়েবসাইটে (http://www.kartayone.4softbd.com) সরাসরি পূজা দেখা যাবে; পাওয়া যাবে পূজা সম্পর্কে নানা তথ্যও।
ধন্যবাদ দাদা, এত সুন্দর একটা পূজার কথা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য্ এই পূজার নাম শুনেছি এর আগে অনেক বার তবে এর সম্পর্কে জানতামনা। আপনি বেশ তথ্য দিলেন । সাথে কিছু ছবি দিলে আরো অনেক ভালো হতো মনে হয়। ধন্যবাদ।