শিব (সংস্কৃত: शिव, Śiva, আ-ধ্ব-ব: [ˈɕivə]; আক্ষরিক অর্থে "শুভ" বা "মঙ্গল") একজন হিন্দু দেবতা। তিনি ত্রিমূর্তির (হিন্দুদের তিনটি বিশেষ প্রাথমিক দৈবসত্ত্বা) অন্যতম। ত্রিমূর্তির শিব ধ্বংসের প্রতীক। হিন্দুধর্মের শৈব শাখাসম্প্রদায়ের মতে, শিবই হলেন সর্বোচ্চ ঈশ্বর। অন্যদিকে স্মার্ত সম্প্রদায় শিবকে পঞ্চদেবতার (স্মার্ত হিন্দুদের পাঁচ মুখ্য দেবতা) অন্যতম মনে করেন।
যে সকল হিন্দুধর্মাবলম্বী শিবকেই প্রধান দেবতা মনে করে তাঁর পূজা করেন, তাঁরা "শৈব" নামে পরিচিত। বিষ্ণু-পূজক বৈষ্ণব বা দেবী-পূজক শাক্তদের মতো শৈবরাও হিন্দুধর্মের অন্যতম প্রধান শাখাসম্প্রদায়।
যোগ শাস্ত্রে The eight limbs of Patanjali বা ‘পতঞ্জলির অষ্টাঙ্গ যোগ’গুলো হচ্ছে- ওঁম (Yama), নিয়ম (Niyama), আসন (Asana), প্রাণায়াম (Pranayama), প্রত্যাহার (Pratyahara), ধারণ (Dharana), ধ্যান (Dhyana) ও সমাধি (Samadhi)।
এবং বলা হয়ে থাকে যে, পতঞ্জলির এই অষ্টাঙ্গ-যোগের মধ্যেই নিহিত রয়েছে শরীর ও মনের গূঢ় সম্পর্ক সূত্রগুলো। কীভাবে ? তা বুঝতে হলে পতঞ্জলির দৃষ্টিভঙ্গি দিয়েই প্রথমে আমাদেরকে বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণ করতে হবে।
১.০ ওঁ (Yama): ‘ওঁ’ হচ্ছে মূলত কিছু মরাল কোড (moral codes)। এগুলো সেই সূত্র যেখানে ব্যক্তি তাঁর পারিপার্শ্বিক অবস্থার সাথে কীরকম আচরণ করবে তার ব্যাখ্যা করা হয়েছে। এজন্য ‘ওঁ’-কে ব্যক্তির সামাজিক আচরণ সূত্র বা নৈতিক আচরণবিধিও বলা হয়। ওঁ পাঁচ ধরনের- ... বিস্তারিত
আমাদের মধ্য থেকে বেশি মানুষ মনে করে জীবনটাকে একই ভাবে কাটিইয়ে নিতে। এটা মনে হয় কোনো রীতি। আমরা মনে করি সকল কিছুরই শুরু আছে, মধ্য আছে এবং অন্ত কাল আছে। কিন্তু হিন্দু ধর্মে এই রীতি একটু অমিলে থাকে। তারা বিশ্বাস করে সময়ে এবং জীবনের রীতিতে, একই সাথে।
বৃত্তকার সময় এই নিয়মিত সময় আমাদের এখনের দিনে নিয়ে এসেছে। কিন্তু হিন্দুরা এটাকে অন্যভাবে দেখে। অন্য এক বিশ্বব্রহ্মান্ডের সময় হিসেবে। হিন্দুরা বিশ্বাস করে চারটি যুগে। এগুলো অনেক অনেক সময় ধরে থাকে। এই চার যুগের নাম- সত্য যুগ, ত্রেতা যুগ, দ্বাপর যুগ এবং কলি যুগ। এবং এই বিশ্বের জন্য এই বৃত্ত কোনোদিনও শেষ হয় না এবং শুরুও হয়নি। এটা জন্ম নেয়নি শেষ হবার জন্য আবার শেষ হবে না জন্ম নেবার জন্য।
"আমার ধর্ম ঠিক, আর অপরের ধর্ম ভুল – এ মত ভাল না। ঈশ্বর এক বই দুই নাই। তাঁকে ভিন্ন ভিন্ন নাম দিয়ে ভিন্ন ভিন্ন লোকে ডাকে। কেউ বলে গড, কেউ বলে আল্লা, কেউ বলে কৃষ্ণ, কেউ বলে শিব, কেউ বলে ব্রহ্ম। যেমন পুকুরে জল আছে – একঘাটের লোক বলছে জল, আর-একঘাটের লোক বলছে ওয়াটার, আর-একঘাটের লোক বলছে পানি – হিন্দু বলছে জল, খ্রীষ্টান বলছে ওয়াটার, মুসলমান বলছে পানি, - কিন্তু বস্তু এক। মত-পথ। এক-একটি ধর্মের মত এক-একটি পথ, - ঈশ্বরের দিকে লয়ে যায়। যেমন নদী নানাদিক থেকে এসে সাগরসঙ্গমে মিলিত হয়।"
বৈষ্ণব ভক্তি শাস্ত্রে ঈশ্বরের প্রতি প্রেম নিবেদনে পাঁচটি ভাবের উল্লেখ রয়েছে – শান্ত, দাস্য, সখ্য, বাৎসল্য ও মধুর।. শ্রীরামকৃষ্ণ এই ভাবগুলির কয়েকটি অভ্যাস করেন।
কালীদর্শন ও বিবাহে মধ্যবর্তী সময়ে কিছ
... বিস্তারিত
হরেকৃষ্ণ। আমি এখানে শ্রীল প্রভুপাদ কর্তৃক অনুবাদ ও ভাষ্যকৃত ভগবদগীতা যথাযথ থেকে ধারাবাহিকভাবে উপস্থাপনের আশা রাখছি। প্রথমে মুখবন্ধ থেকে আলোচনা তুলে ধরব, তারপর একে একে সংস্কৃত শ্লোক, উচ্চারণ, শব্দার্থ, অনুবাদ শেষে প্রভুপাদ কর্তৃক তাৎপর্য তুলে ধরব। আশা করি যারা ব্যস্ততার কারণে গীতা অধ্যয়ণ করার সময় পায় না তারা সবাই উপকৃত হবেন। ইংরেজীতে শ্রীমদ্ভগবদগীতা যথাযথ কপিটি চাইলে www.iyfbd.com এর ডাউনলোড মেনু থেকে সংগ্রহ করতে পারেন। হরেকৃষ্ণ। ওঁ নমো ভগবতে বাসুদেবায়। শ্রীমদ্ভগবদগীতা যথাযথ ।মুখবন্ধ। পার্ট-৩ ভগবদগীতার মর্মোপলব্ধি করতে হলে প্রথমেই আমাদের দেখতে হবে অর্জুন কিভাবে তা গ্রহণ করেছিলেন। ভগবদগীতার দশম অধ্যয়ে (১০/১২-১৪) তা বর্ণনা করা হয়েছে-